ঘটা করেই বাজারে এল টিআইবি ভারতীয় ব্র্যান্ড। সোনম কাপুর, চারমি কউর এবং নাগার্জুনের মতো রুপোলি পর্দার তারকার হাত ধরেই ভারতের আত্মপ্রকাশ করল টিআইবি। ফ্যাশন দুনিয়ায় টিআইবির আলাদা নাম-ডাক আছে। এদেশের সামাজিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে টিআইবি-র জন্ম হয়েছিল জেকেভি রেড্ডির হাতে। তাঁরই সুযোগ্য প্রপৌত্র কেশব রেড্ডি টিআইবির নতুন ফ্যাশন নিয়ে নাম কিনেছেন। অন লাইনে টি শার্ট বিক্রি করে টিআইবি। তার লোগো ময়ূর। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় পতাকা। ভারতের জাতীয় পতাকা দিয়ে এ দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে চায় টিআইবি। শুধুমাত্র ব্যবসা করা টিআইবি-র উদ্দেশ্য নয়, ব্যবসার সঙ্গে রয়েছে এ দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ফ্যাশন ভাবনা।
রেড্ডি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তেন তখন থেকেই তাঁর ভাবনায় দেশপ্রেম। সে ভাবনাকে মাথায় রেখে টিআইবি আমেরিকায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, টি শার্ট বিক্রি করলে এক জোড়া টিওএমএস জুতো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে আবে আইওয়্যার। এদেশেও, দেশপ্রেমের কথা মাথায় রেখে নতুন ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে। এ ব্যাপারে ফ্ল্যাগ ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিলেন শিল্পপতি নবীন জিন্দল। পারিবারিক ব্যবসা ছিল বলেই উৎসাহ পেয়েছিলেন কেশব রেড্ডি। আমেরিকায় এক সংস্থা প্রথমে এই ধারণা নিয়ে আসে। কেশব রেড্ডি বলেছেন, আমেরিকার এক কোম্পানির ভাবনা মিলে যায় তাদের আদর্শের সঙ্গে। রেড্ডির পারিবারিক বন্ধু ইশান দোধিওয়ালা টিআইবি-র সহ প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মতে রেড্ডি বিশ্বাস করেন মধ্যবিত্ত ভারতীয় আর যুব সমাজের কাছে টিআইবি-র এই দেশপ্রেম ভাবনা জনপ্রিয় হবে। টি-শার্ট বাজারে আনার আগে দেশের বিভিন্ন শহরের ১০০ জন নানা পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিল টিআইবি। দেখা গেল এ দেশে ব্যবসা করার সব পথ খোলা। এখন বাজারে শুধুমাত্র টি-শার্ট এনেছে তারা। তা পাওয়া যায় তিনটে রঙে। দাম ৯৯৯টাকা।
টিআইবি-র এই টি-শার্ট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ধামাকা শুরু হয়ে যায়। একদিনেই সব টি-শার্ট বিক্রি হয়ে যায়। এর জন্য আলাদা করে তাদের কোনও বিজ্ঞাপনী প্রচার চালাতে হয়নি। এর ফলেই আশায় বুক বেঁধেছে টিআইবি। কেশব রেড্ডি মনে করছেন আগামী তিন বছর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে পারলে বাজারে তারা আরও সাড়া ফেলবেন। এই মুহূর্তে ১৫ থেকে ২০ রকমের জিনিস বিক্রি করেন তারা। এর থেকে বছরে প্রায় এক কোটি টাকা তাদের ঘরে আসে। রেড্ডি মনে করেন লক্ষ্য ঠিক রাখলে সামনে এগোনো যায়। এর জন্য টাকার অভাব হয় না। টিআইবি-র মূল লক্ষ্য ভারতীয় পোশাক তৈরি করা। যে পোশাক মধ্যবিত্ত সবসময় পরতে পারবে।