বছর তিরিশেক আগে আমাদের বাড়িতে ড্রাইভার হিসেবে এসেছিলেন দেশ রাজ। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক যুবক। ছোটোবেলা থেকেই আমাদের বন্ধু। বাবার ভাইয়েরর মতো। এর মধ্যে গাড়ির মডেল বেশ কয়েকবার বদলেছে। কিন্তু চালক বদলায়নি। এতদিনে কত চড়াই উৎরাই পেরিয়েছেন রাজ কাকা। নির্ঘাত অ্যাক্সিডেন্ট থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গোটা পরিবারটাকে কতবার যে বাচিয়েছেন তাঁর কোনও লেখাজোখা নেই। আপদ বিপদে রাজ কাকাই ব্রেক কষেছেন, তাই আজও বেঁচে আছি। এখন রাজ কাকা বৃদ্ধ। ৭০ বছর বয়স। অবসর নেওয়া উচিত অথচ রোজগারে ব্রেক কষলে খাবেন কী। চলবে কী করে?
এটাতো আমাদেরই ভাবার কথা তাই না? রাজ কাকা একা নন। এরকম অসংখ্য মানুষ আছেন ভারতের মধ্যবিত্ত উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোয়। দিনরাত এক করে খেটেই চলেছেন। কাজ গেলে ওদের কীভাবে চলে, কেউ কি ভাবছেন ?
২০১৪ র সেপ্টেম্বরের পর উত্তরটা কারও কারও কাছে আছে। মাইক্রো পেনশন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুরু করেছে গিফ্ট এ পেনশন স্কিম। একটা পিজার দামেরও অর্ধেক দামে আপনি এখন পারবেন অপনার ঘরের কাজের মেয়েটিকে পেনশন দিতে। যে আপনার শিশুকে আগলে রাখছে তাঁর বার্ধক্যে তার দিকেও আপনি এগিয়ে দিতে পারবেন সহযোগিতার হাত। প্রতি মাসে কিছু টাকা মাস মাইনে থেকেই নয় ওঁকে বলুন পেনশন স্কিমে জমাতে। কিছু টাকা দিন আপনিও। অবসরের সময় ওই কর্মচারী পাবেন পেনশন। মাথা উঁচু করে বাঁচার রশদ।
স্বল্প উপার্জনকারী মানুষ সঞ্ছয় করতে চান অথচ সঞ্ছয় করার ক্ষমতা সীমিত তাদের জন্যেই এই “GIFT A PENSION” প্রকল্প। যারা এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন তারা SBI LIFE এর জীবনবীমা সংক্রান্ত সমস্ত সুবিধাও পাচ্ছেন। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই প্রকল্প। ক্রমেই গিফ্ট এ পেনশনের ওয়েবসাইটটির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে।
ফলে আশার কথা হল, রাজ কাকা এবার তাহলে অবসর নিতে পারবেন। পেনশন পাবেন আর পায়ের উপর পা তুলে অদ্ভুত সব অ্যাডভেঞ্চারের গল্প শোনাবেন তাঁর নাতি নাতনিদের।