মেয়েদের ‘দ্বিতীয়’ কেরিয়ারের পথ ‘ফ্লেক্সি কেরিয়ারস’
Tuesday August 25, 2015,
2 min Read
সংসার না কেরিয়ার? কোনটা আগে? বিয়ের পর মেয়েদের জীবনে অত্যাবশ্যক একটি প্রশ্ন। আর সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অনেক মহিলাকেই এর মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নিতে হয়। আর সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংসারই হয়। ঠিক এখান থেকেই ‘ফ্লেক্সি কেরিয়ারস ইন্ডিয়া’র জন্ম। এর প্রতিষ্ঠাতা সৌন্দর্য রাজেশ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বর্ণনা করলেন তাঁর সংস্থার লক্ষ্য।
১৯৯০-৯৩ তাঁর জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। বিজনেস স্কুল থেকে পাস করে সিটিব্যাঙ্কে ‘ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি’ হিসেবে যোগ দেন। তারপর বিয়ে করেন। প্রথম সন্তানের জন্ম দেন এবং চাকরি ছেড়ে দেন। এই অবস্থা একা সৌন্দর্য-র জীবনে নয়, একটি সমীক্ষার বিশ্লেষণ করলেই তা বোঝা যাবে। কোনও কর্মস্থানে লিঙ্গভেদে বিচার করলে কমবয়সী মেয়েরা রয়েছেন ২৯%, মধ্যবয়সি মহিলা রয়েছেন ১৫% এবং বয়স্ক মহিলা রয়েছেন ১০%-এর কম। কমবয়সি এবং মধ্যবয়সিদের মধ্যের মধ্যে অনুপাতের এই ভেদটা কিন্তু অনেকটাই। সেই জন্যই ‘লেবার ফোর্স পার্টিসিপেসন রেট’-এ ১৩১টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১২০।
সেই চাকরি ছাড়ার পর অনেক কষ্ট করে সৌন্দর্য এমবিএ পড়ানোর সুযোগ পান। সেখানেই তিনি লক্ষ্য করেন, অনেকের মধ্যে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। এরপর তিনি এবং তাঁর চার সঙ্গী ‘অবতার’-এর কাজ শুরু করেন। এঁদের প্রধান কাজই ছিল, যে সমস্ত মহিলাদের কেরিয়ারে বাধা পড়েছে, তাঁদের আবার সুযোগ করে দেওয়া। চাকরিক্ষেত্রে মহিলাদের আরও বেশি করে সুযোগ করে দিতে ৫ বছর পর তাঁরা নিয়ে আসেন ‘অবতার-ই-উইন’। ‘অবতার-ই-উইন’-ই বর্তমানে ‘ফ্লেক্সি কেরেয়ারস ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত। এটি শুরু হয়েছিল ২০০ মহিলাকে নিয়ে। বর্তমানে পুরো ভারতে এদের এদের সদস্যসংখ্যা ২৭,০০০।
এরপর ‘ফ্লেক্সি’ শুরু করল ‘সেগু’ সেশন। অর্থাৎ মহিলাদের দ্বিতীয় কেরিয়ার পর্বের পথপ্রদর্শন করা শুরু হল। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভেদ মুছে ফেলাই ‘ফ্লেক্সি’র লক্ষ্য। এখনও পর্যন্ত তিনহাজার মহিলাকে তারা দ্বিতীয়বার কেরিয়ার করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখনও সৌন্দর্যকে পরিবার এবং কেরিয়ারকে একই সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। মেয়েদের জীবনে অনেকগুলো ভূমিকা থাকে- মেয়ে, স্ত্রী, বউ, মা, বন্ধু, শিল্প বা বাণিজ্য সংগঠক-প্রত্যেকটা ভূমিকার মধ্যে আলাদা আলাদা শক্তি থাকে, এই সমস্ত শক্তি নিয়েই সৌন্দর্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, মেয়েদের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে, তার অপচয় না হয়।