নারীর অসুবিধে বুঝতে যে ভদ্রলোক প্যাড পরতেন

অরুণাচলম মুরুগনন্থম। নামটা আপনি জানেন। গরিব মহিলাদের জন্যে স্যানিটারি প্যাড এবং প্যাড তৈরির মেশিন বানিয়ে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন। পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাতুরের এই মানুষটিকে সকলের চেনা উচিত। কারণ তাঁর লড়াই এবং তাঁর সাফল্যের কাহিনি যেকোনও মানুষকে অফুরন্ত প্রেরণা দেবে। তাঁর অনলস প্রয়াসের কাহিনিই আজ আপনাদের শোনাবো।

নারীর অসুবিধে বুঝতে যে ভদ্রলোক প্যাড পরতেন

Thursday June 30, 2016,

8 min Read

মুরুগনন্থমের বাবা অরুণাচলম ছিলেন একজন তাঁতি। মা বনিতা ঘর সামলাতেন। বড় যৌথ পরিবারেই মানুষ হয়েছেন মুরুগা। এই নামেই সবাই ডাকত, কৌতূহলী সদা চঞ্চল ছেলেটিকে। উঁচু নিচু জাতের বালাই ছিল না। বাবা মা বারণ করলেও মুচি, মেথর, কসাই সবার সঙ্গে মিশত। খেলত। জানার চেষ্টা করত সবার জীবনযাত্রার মৌলিকতা। স্কুলে পড়াশুনোতেও ভালো ছিল। স্বভাবেও বেশ ভালো। বাধ্যেরও ছিল অধিকাংশ ক্ষেত্রে। ওর জন্মের সময় মা বনিতা দেবী চেয়েছিলেন একটা মেয়ে হোক। হয়ে গেল ছেলে। তাই ছেলেকেই মেয়ের মতো করে সাজাতেন। ঝুটি বেধে দিতেন। টিপ পরিয়ে দিতেন। শ্যামলা মুখে সাদা পাউডার রীতিমত ফুটে উঠত। ওর এরকম চেহারা দেখে বন্ধুরা খেপাত। কিন্তু সে সবে কান দিতেন না। গাসওয়া হয়ে গিয়েছিল। মায়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহসও পেতেন না। তবে যা একবার স্থির করে নিতেন তা তিনি করবেনই। এরকমই ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। বাবা কিছুটা প্রশ্রয় দিতেন। বাবার সঙ্গে ভালো জমতো মুরুগার। বাবার কাজে সাহায্য করতে চাইতেন। হাতে হাতে কাজ কিছুটা শিখেও ফেলেছিলেন। কিন্তু বাবাকে বেশিদিন পাননি মুরুগনন্থম। পথ দুর্ঘটনায় অকালে মারা যান বাবা। সেটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। তার পর মা কাজে নামেন। খেত মজুরের কাজ। দশ টাকা, পনের টাকা রোজের কাজ। সংসার কোনওমতে চলে। তখন মুরুগা ক্লাস টেনে। সামনে পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত নিলেন পড়াশুনো বন্ধ করে দেবেন। স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিলেন। লেগে গেলেন কাজে।

image


একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ। প্রথমটাতে তো শ্রমিকদের চা, পান, বিড়ি-সিগারেট এনে দেওয়ার কাজ করতেন। কিন্তু মাথা পরিষ্কার ছিল। তাই চটপট শিখে ফেললেন ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। কিন্তু একাজের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব সামলাতেন মুরুগা। ওয়েল্ডিং কারখানার মাতাল মালিককে খানা খন্দ নর্দমা থেকে তুলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ। রোজ রাতের এটাই রুটিন ছিল। ৩৬৫ দিন। খুবই বিরক্ত লাগত। বেশ কিছুদিন চলার পর মুরুগা মালিককে সপাটে বলে দেয় ‘অনেক হয়েছে এবার আমি চললাম।’ কিন্তু মুরুগার কাজে এবং ব্যবহারে ভীষণই খুশি ছিলেন ওই মালিক ভদ্রলোক মুরুগাকে আটকান। বলেন, কোথাও যাওয়া চলবে না বরং এই ওয়েল্ডিং কারখানার মালিক হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। প্ৰথমটায় হতচকিত ছিলেন মুরুগা ভাবছিলেন ব্যাটা নির্ঘাত নেশায় বলছে। কিন্তু মালিক বলেন তিনি নেশা করে এটা বলছেন না, তিনি সিরিয়াস। তখন মুরুগাও সিরিয়াস হন। কিন্তু কারখানা কেনার টাকা পাবেন কোথা থেকে। সে রাস্তাও দেখিয়ে দেন ওই ভদ্রলোক। সাহুকারের কাছ থেকে ধারে টাকা নিয়ে কারখানা কিনে নেন মুরুগা।

সেই শুরু। কারখানা কিনেই কারখানার নাম বদল করেন। গ্রিল বানানোর প্যাটার্ন বদলান। নাম ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। টাকা হয়। পড়শির ঈর্ষা হয়। মায়ের কথা মত বিয়েও করেন। 

স্ত্রীর প্রতি এক গভীর অনুরাগ ছিল মুরুগার। স্ত্রীকে খুশি রাখতে চাইতেন। একদিন দুপুরে দেখেন স্ত্রী কিছু লুকচ্ছেন শাড়ির আঁচলে। হাত পিছনে দিয়ে। এবং দেখতে চাইলে বিরক্ত হচ্ছেন। লজ্জিত বোধ করছেন। কৌতূহলী মুরুগা অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে দেখলেন স্ত্রীর হাতে পুরনো ছেঁড়া ময়লা কাপড়।ঋতুকালীন ব্যবহারের উপকরণ। চিন্তায় পড়ে গেলেন মুরুগা। স্ত্রীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। 

স্ত্রীকে বলেন স্বাস্থ্যকর যেগুলো দোকানে পাওয়া যায় সেগুলো কেন ব্যবহার করেন না উনি। তখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন এই নামটা জানতেন না মুরুগনন্থম। তার উত্তরে মুরুগার স্ত্রী বলেন সেটা কিনতে গেলে ঘরে দুধ নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আর জানেন এ দেশের অধিকাংশ নারী কাপড় দিয়েই কাজ চালিয়ে নেন। স্ত্রীকে খুশি করার একটা গোপন ইচ্ছে সব সময়ই ছিল মুরুগার। তাই নিজেই উদ্যোগী হয়ে একটি ডাক্তার খানা থেকে স্যানিটারি প্যাড কিনতে যান। কিন্তু সেখানে দেখেন দোকানদার মহিলা লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন। লুকিয়ে লুকিয়ে প্যাডটি এনে তাড়াতাড়ি খবরের কাগজে মুড়িয়ে কালো পলিথিনের ব্যাগে ভরে মুরুগার হাতে ধরিয়ে দিতে পারলে বাঁচে। এত লজ্জা কেন। দ্বিতীয় চিন্তা মাথায় ঢুকল মুরুগার। সামাজিক সংস্কারের বাধা। একজন পুরুষের হাতে স্যানিটারি প্যাডের প্যাকেট তুলে দেওয়ার সঙ্কোচ। মাথার ভিতর গিজগিজ করছিল অনেক প্ৰশ্ন। 

প্যাকেটটি হাতে নিয়ে ভীষণ ইচ্ছে করছিল খুলে দেখেন ওতে কী আছে। কেন এত হালকা। মনে এটা তুলো দিয়ে তৈরি। আবিষ্কারের ইচ্ছে সেদিন উৎসাহ পেল। মনে হল সেকি দশ গ্রাম ওজনের তুলোর দাম যেখানে মাত্র দশ পয়সা হওয়া উচিত সেখানে কেন এর দাম ৬ টাকা। এত মার্জিন! তিনি ব্যবসায়ী। ফলে বাণিজ্যের কথাটাই মাথায় এসেছিল। কিন্তু সামাজিক বাধা টপকে ব্যবসাটা করা যায় কীভাবে তাই ভাবতে থাকলেন। পাশাপাশি, ভাবলেন, যদি তিনি সস্তায় এটা সত্যিই তৈরি করতে পারেন তাহলে তো একটা বিপ্লব ঘটে যাবে। গ্রামের শহরের মফঃস্বলের গরিব গুর্বো মহিলাদের স্বাস্থ্যের প্রশ্ন। এটা ওদের হাতে পৌঁছে দেওয়া যাবে যেন তেন প্রকারেণ। প্যাড তৈরি করার প্রক্রিয়া নিয়ে এবার মনোনিবেশ করলেন মুরুগা। বাজার থেকে তুলো কিনে সেটা দিয়ে একধরণের একটা প্যাড বানালেন ঠিকই কিন্তু পরীক্ষা করাতে নিয়ে এলেন স্ত্রীর কাছে। স্বামী নিজে হাতে প্যাড বানিয়ে এনেছেন দেখে আরেক বিপত্তি। কোনও ক্রমে স্ত্রীকে দিয়ে বললেন এটা কেমন হল জানাতে। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেল কোনও উত্তর পেলেন না। বরং স্ত্রীর মধ্যে বিরক্তিই দেখলেন মুরুগা। 

লজ্জার মাথা খেয়ে জিজ্ঞেস করলেন। গোপনে উত্তর পেলেন। কিন্তু তা মোটেই আশা ব্যঞ্জক নয়। এক কথায় উত্তর এলো ‘বিপজ্জনক’, আর একটু প্রশ্ন করতেই ঝাঁঝিয়ে উঠলেন স্ত্রী, সাফ বলে দিলেন এরকম প্যাড যেন আর কখনও না নিয়ে আসেন। ফলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসল। কিন্তু কথায় কথায় ঋতু চক্র সম্পর্কে আরও ভালো করে জানলেন। মুরুগা দেখেছিলেন শুক্রবারের সন্তোষী মার ব্রত করে যে মহিলারা তাদের কেউ কেউ শুক্রবার মন্দিরের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকে। সেই থেকে ওঁর ধারণা হয়েছিল ঋতুচক্রের সঙ্গে শুক্রবারের একটা যোগ নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু স্ত্রীর কাছে জানলেন এটা চক্রাকারে ঘটে। শুক্রবার বা মঙ্গলবারের ব্যাপার নেই। এভাবেই জ্ঞান বাড়তে থাকল। পাশাপাশি আরও ভালো প্যাড বানানোর পরীক্ষাও করতে থাকলেন। 

কিন্তু স্ত্রীকে তো আর দেওয়া যাবে না। অগত্যা ছোটো বোনেদের ধরলেন। প্রাথমিক লজ্জা কাটিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিল। কিন্তু ফিডব্যাক দিতে গিয়ে আকারে ইঙ্গিতে ইশারায় উত্তর দিতে থাকল বোন। তারপর যে ঘরে ঠাকুর দেবতার ছবি নেই কেবল মাত্র সেই ঘরেই এসব বলবেন। এত ফ্যাচাং না করে সোজা সাপটা উত্তর চাইলেই ফোঁস করে ওঠে বোন। বলে মাকে বলে দেবে। পিছিয়ে আসেন মুরুগা। মাকে রীতিমত ভয় পেতেন। কিন্তু তাঁর বানানো ন্যাপকিন কেমন হচ্ছে সেটা জানা তার দরকার। তাই মনে হল মেডিকেল কলেজের ছাত্রীরা তাঁকে সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু তারও মুরুগার মুখে এসব শুনে পালিয়ে গেল। 

এবার পড়ে রইল তাঁর কাছে একটা মাত্র অপশন। নিজে প্যাড পরে পরীক্ষা করা। আজ্ঞে হ্যাঁ! ঠিকই শুনছেন কৃত্রিমভাবে নারী জননাঙ্গ তৈরি করে, নিজে প্যাড পরে পরীক্ষাও করেছেন মুরুগা। কসাই বন্ধুর দোকান থেকে ছাগলের রক্ত এনে, ফুটবলের ব্লাডারে ঢুকিয়ে, সেই ব্লাডারে ফুটো করে সেটা শরীরের সঙ্গে আটকে, তাতে প্যাড পরে পরীক্ষা করেছেন মুরুগা। ওই ভাবে সাইকেল চালিয়েছেন, আস্তে হেঁটেছেন, দৌড়েছেন। এবং টের পেয়েছেন তার প্যাডের সমস্যা। রক্ত শুষছে না। বাজে গন্ধ হচ্ছে। বহুজাতিক সংস্থার প্যাডে কী থাকে যে রক্ত শোষে। সেটা জানতে রীতিমত উঠে পড়ে লাগলেন মুরুগা। মেডিকেল কলেজের ডাস্টবিন ঘেঁটে ব্যবহৃত প্যাড নিয়ে আসতেন কারখানায়। গবেষণা করতেন। জানতে পারলেন সেলুলোজ ফাইবার ব্যবহার করা হয়। যেটা ওক, পাইন গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে স্বামী মেডিকেল কলেজের মেয়েদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে খবর পেতেই ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না শুরু গৃহিণীর। এতই অভিমান, যে বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী। কিছুদিন পর বিচ্ছেদের নোটিশও এলো শ্বশুর বাড়ি থেকে। একদিন মাও মুরুগার কাণ্ড কারখানা দেখে ভূতে ধরা পাগল ঠাওরালেন। মনের দুঃখে মুরুগাকে ছেড়ে চলে গেলেন। এবার এতদিন যারা মুরুগার গ্রিলের ব্যবসার নামডাকে ঈর্ষান্বিত ছিল সেই সব প্রতিবেশীরা এবার সুযোগ পেয়ে গেল, চরিত্রের বদনাম দিতে শুরু করল। বিকৃত কাম। যৌন রোগী এসব বলে পঞ্চায়েতের বিচার বসালো। মোড়ল বিধান দিলেন চেন দিয়ে বেঁধে নিমগাছে ঝুলিয়ে রাখো। ভূত না পালালে গ্রাম থেকে বের করে দাও। শোনার পরই পালালেন মুরুগা। চলে এলেন শহরে।

এবার তাঁর আরেকটি অধ্যায় শুরু হল। কপর্দকহীনতার অধ্যায়। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ জানতেন তাই কাজ পেয়ে গেলেন। থাকতেন একগাদা কুলির সঙ্গে গাদাগাদি করে। তাবলে প্যাড বানানোর ভূত কিন্তু ঘাড় থেকে নামেনি। বরং এখন আরও তীব্র হয়েছে সে বাসনা। এখন তিনি শুধু প্যাড নয় প্যাড বানানোর মেশিনও লাগবে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন দাম সাড়ে তিন কোটি। ফলে অগত্যা এটাও বানানোর চেষ্টা শুরু হল। দীর্ঘ আট বছরের প্রচেষ্টায় শেষমেশ আধুনিক, স্বাস্থ্যকর, টেকসই, এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব থেকে সস্তায় প্যাড তৈরির মেশিন বানিয়ে ফেললেন মুরুগনন্থম। আর সেটা বানাতে তাঁর খরচ পড়ল মাত্র ৬৫ হাজার টাকা। ঠেকে ঠেকে শিখেই সাফল্য পেয়েছেন মুরুগা।

খুঁজছিলেন একটা সুযোগ। পেয়েও গেলেন। আইআইটি মাদ্রাজে Innovation for the betterment of society শীর্ষক একটি প্রতিযোগিতায় নাম দেন। আর তাতেই সকলের নজর কাড়ে মুরুগার দীর্ঘ লড়াইয়ের এই কাহিনি। দিকে দিকে রটে যায় নাম। মা বৌ মেয়ে সব এক এক করে ফিরে আসে জীবনে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল Innovation Award এ পুরস্কৃত করেন মুরুগাকে। বিবিসি থেকে আল-জাজিরা সবাই তাঁকে নিয়ে খবর করে। গোটা দেশের মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে মুরুগার কৃতিত্বের ওপর। তাঁকে শাস্তি দিয়েছিল যে গ্রাম সেই গ্রামের মানুষই তাঁকে নিয়ে গর্বিত হতে শুরু করে। নিজেদের পরিচয় দিতে শুরু করে যে তাঁরা মুরুগনন্থমের গ্রামের মানুষ।

image


তবুও তাঁর সংস্থা জয়শ্রী ইন্ডাস্ট্রিজের বানানো প্যাড প্ৰথম দিকে সস্তা বলে বিক্রি হচ্ছিলো না। তখন তিনি তাঁর কাছে থাকা সবগুলি প্যাডই স্ত্রীকে ব্যবহার করতে দেন। স্ত্রী ততদিনে স্বামীর কাজের গতি প্রকৃতি বুঝতে পেরেছেন। গর্বিতও। সেই প্যাড তাই তাঁর বান্ধবীদের মধ্যে বিক্রি করা শুরু করেন। খুলে যায় মুরুগার বিজনেস মডেল। সিদ্ধান্ত নেন, কেবল মাত্র মহিলা উদ্যোগীদেরই বিক্রি করবেন প্যাড তৈরির মেশিন। এই ভাবে আজ ১০ লক্ষ মহিলা সরাসরিভাবে এই প্রকল্পে আদয় করছেন। উপকৃত হচ্ছেন ২৯ টি রাজ্যের কোটি কোটি মহিলা। শুধু দেশে নয় অন্য ১৯ টি দেশে মুরুগার মডেলেই উপকৃত হচ্ছেন মহিলারা। সস্তায় কিনতে পারছেন প্যাড। কাপড়ের অভ্যাস দূর করার কাজে মুরুগার এই উদ্যোগের স্বীকৃতিও এসেছে দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। মুরুগা চান ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মহিলারা স্বাস্থ্যকর ভাবে ঋতুচক্রের মোকাবিলা করুন। উত্তরপ্রদেশে শুরু হয়েছে তাঁর বিশেষ অভিযান। সেই রাজ্যের সরকারের তরফ থেকে দুর্দান্ত সাড়াও পেয়েছেন অরুণাচলম মুরুগনন্থম। এরপর শুরু হবে একে একে অন্য রাজ্যে তাঁর বিশেষ অভিযান।

অদম্য অধ্যবসায় আর লক্ষ্যে পৌঁছোবার অনলস লড়াই তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে। সেই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ক্লাস টেনের বিদ্যা নেই এমন একটা মানুষ দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন। এটাই আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেবে।