Google এর CEO সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে আলাপ করুন

Google এর CEO সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে আলাপ করুন

Thursday January 05, 2017,

2 min Read

গুগল ইনকর্পোরেশনের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের জীবনটা অন্যরকম সংগ্রামের। নিজের আইডিয়া নিয়ে লড়ে যাওয়ার মতো দম ছিল বলে সুন্দর গুগলের সিইও-র আসন অলঙ্কৃত করতে পেরেছেন। আসলে সুন্দরের কাজটা হল কর্পোরেট রি-স্ট্রাকচারিং নিয়ে। এই ধারণা বাস্তবায়িত করতে গিয়ে গুগলে যোগদানের পরে সুন্দরকে সংগঠনের ভিতর লড়তে হয়েছে। বাতিল হয়েছেন। শেষে জয়ী হয়েছেন।
image


২০০৪ সালে সুন্দর গুগলে যোগ দেন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসাবে। পরে প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হন। গুগলের ৪৪ বছরের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের লেখাপড়া পৃথিবীর কয়েকটি নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আমেরিকায় গিয়েছিলেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করবেন বলে। কিন্তু মাঝপথে লেখাপড়ায় ইতি দিয়ে কর্পোরেট কেরিয়ারে ঢুকে পড়েন।

২০০৪ সালে গুগলে যোগ দেওয়ার চার বছরের ভিতরই ক্রমে আকাশ ছুঁতে থা্কেন। ছিলেন সংস্থার প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ২০১২ সালে ক্রোম ও অ্যাপসের সিনিয়র ভা্ইস-প্রেসিডেন্ট হন। ২০২৪ সালে এরপর অ্যানরয়েডের প্রোডাক্ট চিফ হয়েছেন। অতঃপর ২০১৫ সালের আগস্টে সিইও।

২০১৬ সালে কাজের কৃতিত্ব হিসাবে সুন্দরকে ২৭৩৩২৮টি শেয়ার দিয়ে গুগল পুরস্কৃত করেছে। ওঁর বছরে রোজগার দাঁড়িয়েছে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। শুধুমাত্র শেযার থেকেই ওঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১৯৯ মিলিয়ন ডলার।

সুন্দরকে বলা হয়ে থাকে একজন ইঞ্জিনীয়ারিং জিনিয়াস। প্রাথমিকভাবে অতিব্যয়ের কারণে তাঁর প্রকল্প ক্রোম ব্রাউজারটি বাতিল হলেও পরে সেটিই সাদরে গৃহীত হয়। ইন্টারনেটের দুনিয়ার এটি এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্রাউজার।

গুগলে এখন অতি প্রভাবশালী একটি নাম চেন্নাইয়ে বড় হয়ে ওঠা ছেলে সুন্দর পিচাই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তিনি স্বনামধন্য। ওঁর সুবাদেই গুগল পেয়েছে নিজস্ব ব্রাউজার। এর ফলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি কাজ করতে পারছেন ইন্টারনে্ট গ্রাহকরা।

গুগলে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমে ছোট একটি দল নিয়ে কাজ করছিলেন। মোটে কয়েক বছরের ভিতর শীর্ষে গিয়ে ‌বসলেন। এর কারণ ধারাবাহিক সাফল্যের নজির।

তবে মানুষ হিসাবে সুন্দর কিন্তু নিতান্ত সাধারণ যে কোনও সহৃদয় যুবকের মতোই। মানুষকে সাহায্য করতে খুব ভালোবাসেন। এছাড়া, খানিকটা নস্টালজিক মেজাজের। নিয়ম করে আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়াদের সঙ্গে স্কাইপে যোগাযোগ রাখেন।

ভালোবাসেন ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন। ভালোবাসেন গিটারে টুং টাং। ছেলেবে্লা থে্কেই দারুণ ক্রিকেট খেলতেন। স্কুল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন বরাবর। সুন্দর নিজে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা ইঞ্জিনীয়ার। মা স্টেনোর চাকরি করতেন। তবে ১৯৭২ সালে সুন্দরের জন্মের পরেপরেই মা লক্ষ্মী পিচাই ওই চাকরিটি ছেড়ে দেন। পুত্রসন্তান মানুষ করাই ছিল উদ্দেশ্য।

খড়গপুর আইআইটি থেকে মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের বি টেক করার পরে স্কলারশিপ নিয়ে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে মেটিরিয়াল সায়েন্স ও সেমিকন্ডাটর ফিজিক্স নিয়ে এমএস করেছেন সুন্দর। লেখাপড়ায় বরাবর খুবই ভালো ছিলেন।আসলে পিএইচডি সমাপ্ত করে লেখাপড়ায় কেরিয়ার করার জন্যে বিদেশে গিয়েছিলেন সুন্দর। কিন্তু সেখানেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন। আর কর্পোরেট দুনিয়ায় প্রবেশ। যদিও এর কারণটা সঠিকভাবে জানা যায় না।

তবে সিদ্ধান্তটা যে সুন্দরের ঠিকই ছিল, তা মনে করেন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা সুন্দরের পূজারিরা!