রেলে সুহানা সফর, বিকাশের ওমিত্রা

গন্তব্য এক,চলাও একসাথে কিন্তু রেলের দুটি লাইন মেলে না কখনও।রেলের ভেতর সফররত যাত্রীদের একসূত্রে মিলিয়ে দেওয়ার কাজটাই করছে‘ওমিত্রা’।অ্যাপ্লিকেশনটির মাস্টারমাইন্ড বিকাশ জাগেতিয়ার উদ্দেশ্য ট্রেনের যাবতীয় তথ্য পরিবেশন করে যাত্রী সাধারনের সুবিধা প্রদান করা।

রেলে সুহানা সফর, বিকাশের ওমিত্রা

Sunday October 04, 2015,

2 min Read

পুজোর ছুটিতে সপরিবারে বেড়াতে যওয়ার আনন্দই আলাদা। আর তা যদি হয় ট্রেনে চেপে।সবাই মিলে এক কামরাই বেশ হইহই ব্যাপার।তবে মাঝে মাঝে যাত্রা শুভ আর সুখকর হয় না যদি না মেলে সবাইকে একসাথে।আবার আপাতকালীন প্রয়োজনে মূমূর্ষ রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনযাত্রায় একই অসুবিধা।বয়স্ক মানুষকে লোয়ার বার্থ দেওয়া বা এককামরায় সহযাত্রীকে না পাওয়া, বেশ বিভ্রান্তিকর ব্যাপার। বর্তমান মোবাইলের যুগে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আরও সহজতর হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অ্যাপ আরও বেশি করে মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে ঘনিষ্টতর করেছে। ‘ওমিত্রা’ এমনই এক অ্যাপ, যা ভ্রমণবিলাসী মানুষের ট্রেনযাত্রাকে আরও বেশি করে স্বাচ্ছন্দ্যমূলক করার চেষ্টায় সহযোগী।


image



কথায় আছে এক গন্তব্যে একসাথে চললেও রেলের দুটি লাইন মেলে না কখনও।কিন্তু রেলের ভেতর সফররত যাত্রীদের একসূত্রে মিলিয়ে দেওয়ার কাজটাই করছে বিকাশ জাগেতিয়া মস্তিষ্কপ্রসূ এই ‘ওমিত্রা’। তাঁর এই উদ্ভাবনের পেছনে ৩০ ঘণ্টার ট্রেনযাত্রার সফরের এক অভিজ্ঞতা। একবার হায়দ্রাবাদ থেকে রাজস্থানের দিকে যাচ্ছিলেন বিকাশ। সেই সময় মানুষের ট্রেন নিয়ে নানা সমস্যার কথা তিনি জানতে পারেন। যেমন, একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্য বিভিন্ন কম্পার্টমেন্টে ছড়িয়ে রয়েছেন, খাবারের মান নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ কিংবা ট্রেনের স্টেশন সংক্রান্ত নানা তথ্য নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত ইত্যাদি।

এর পরই জন্ম নেয় ‘ওমিত্রা’। ট্রেনে টিকিট কাটার সঙ্গে সঙ্গে একটি এসএমএস আসে। সেই এসএমএস ধরে ‘ওমিত্রা’ ট্রেনটির সব বিশদ বিবরণ পাঠিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সহযাত্রীদের তালিকাও, যাতে সুবিধামতো বার্থ পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা এখন অপরিচিত কারও সাথে কথা বলতে অসুবিধে বোধ করেন। ‘ওমিত্রা’-র আশা তাদের দ্বারা এই জড়তা অনেকখানি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। খাবারের নানা বৈচিত্র্য এবং ভ্রমণের আরও বিবরণ তাঁদের অ্যাপে যোগ করতে চলেছে ‘ওমিত্রা’। ‘ওমিত্রা’র এই চিন্তাভাবনাই এখনও পর্যন্ত ৪০০০ মানুষকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করেছে।


image


‘ওমিত্রা’ একটি ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ আনতে চলেছে যার নাম ‘রিস্তা’। এ নিয়ে রেল দফতরের সঙ্গেও কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা। তবে ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদে এই অ্যাপটি কাজ করা শুরু করেছে।আ্যাপটির মাধ্যমে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোনও ট্রেনের সুরক্ষা বিষয়ের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমান প্রজন্ম ভীষণভাবেই টেক-স্যাভি। ট্রেন সম্পর্কে নানা তথ্য নিয়ে হাজির ‘ওমিত্রা’ খুব শিগগিরিই তাঁদের পছন্দের তালিকায় নতুন নাম হয়ে উঠতে চলেছে বলে বিশ্বাস বিকাশ জাগেতিয়ার।