AC জামা তৈরি করল স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি

AC জামা তৈরি করল স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি

Tuesday October 18, 2016,

2 min Read

ঠাণ্ডা থাকবেন ২৪ ঘণ্টা। গায়ে জামাকাপড় থাকলেও থাকবেন কুল কুল কুল। আরামদায়ক এ ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্লাস্টিক ব্যবহার করে তৈরি স্বল্পখরচের এক বিশেষ ধরনের জামাকাপড় আবিষ্কার করেছেন। এই জামাকাপড়গুলি গায়ে চাপালেই বাতানুকূলে থাকার মতো আরামদায়ক অনুভূতি হবে।

image


এ বিষয়ে সায়েন্টিকফিক ম্যাগাজিনে বিস্তারিতভাবে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক ম্যাগাজিন জানাচ্ছে, ইনফ্রারেড বিকিরণের রূপে শরীরের তাপমাত্রা নির্গত হয়ে থাকে। 

বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি নতুন ধরনের এই কাপড়ের জামা পড়লে কটনের কাপড়ের চেয়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতল থাকবে। যে কোনও সিন্থেটিক কাপড়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস শীতল থাকা যাবে।

বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমগুলির অন্যতম চর্চার বিষয়বস্তু। দি‌ ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, সাধারণ অবস্থায় যখন কোনও মানুষ ব্যায়ামজাতীয় কোনও কাজ করছেন না, সেইসময় ইন‌ফ্রারেড বিকিরণের জেরে ৫০ শতাংশ তাপ ক্ষয় হয়ে থাকে। লিড স্টাডি অথর ই কিউ বলেছেন, আমাদের আবিষ্কৃত জামাকাপড়গুলি পড়লে ব্ল্যাঙ্কেট পড়ার মতোই আরাম পাবেন। শরীর সর্বদাই থাকবে উষ্ণ।

স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দলটি বস্ত্রবয়নের যে উপকরণ ব্যবহার করছেন, তার আচরণ বিপরীতধর্মী। এর ফলস্বরূপ কাপড়জামা থেকে তাপ বিনা বাধায় বাইরে বের হয়ে যাবে। নতুন এই প্রযুক্তি জনপ্রিয় হলে বাতানুকূল যন্ত্র ‌এবং পাখা ব্যবহার করার কোনও দরকার হবে না।

যে ‌ধরনের সুতো ব্যবহার করা হচ্ছে তা কঠিন প্রকৃতির। গবেষকরা জানিয়েছেন, তবে ‌তৈরি কাপড় হবে অতি নরম প্রকৃতির। কাপড়জামাগুলি বাইরে থেকে দেখে বা হাতে রেখে কোনও বিশেষত্ব বোঝা যাবে না। তবে পরলেই মালুম হবে কাকে বলে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল!