FTcash এর ‘ক্যাশলেস ম্যাজিক' ছোট ব্যবসায়ীদের জন্যে

‘টিক্যাশ’ই এই সুবিধা করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রচার থেকে শুরু করে ক্রেতাদের পুরস্কার দেওয়া সবই করতে পারবেন এই সব ছোট ব্যবসায়ীরা এবং পুরটাই অফলাইনে। ‘টিক্যাশের’ মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা ‘ট্রানজাকশন’ হয়েছে এখনও পর্যন্ত ।

FTcash এর ‘ক্যাশলেস ম্যাজিক' ছোট ব্যবসায়ীদের জন্যে

Sunday October 04, 2015,

2 min Read

সব্জির অর্ডার দেওয়ার জন্য সঞ্জীব সেদিন ফোন করেছিলেন বাড়ির সামনের সব্জিবিক্রেতাকে। তাঁকে অবাক করে দিয়ে ওই সব্জিবিক্রেতা জানান হোয়াটসঅ্যাপে সব্জির তালিকা পাঠিয়ে দিতে। সঞ্জীব যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখন ওই সব্জিবিক্রেতা অন্য আরেকজনকে দিয়ে সব্জি বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার জন্য আরেকদিন আসতে হয় ওই সব্জিবিক্রেতাকে।


ঘটনাটা খুব সামান্যই। কিন্তু এটা থেকেই একটা বুদ্ধি খেলে যায় সঞ্জীবের। সঞ্জীব একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডেপুটি সিএফও। যে সমস্ত ছোটখাটো ব্যবসায়ী এতখানি প্রযুক্তিতে সড়গড়, সেই সমস্ত ব্যবসায়ীর জন্য সঞ্জীব নিয়ে এলেন ‘টিক্যাশ’। অর্থাৎ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ‘ক্যাশলেস ট্রানজাকশন’। শুধুমাত্র ‘ট্রানজাকশন’ই নয়, ওই সব ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রচার, কিংবা ক্রেতাদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে ‘টিক্যাশের’ মাধ্যমে এবং এই সবটাই হবে ‘অফলাইন’-এ। ক্রেতারাও খুব সহজেই এই সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনতে পারবে। শুধু তাই নয়, বিলও পাবেন ক্রেতারা। সঞ্জীবের সঙ্গে এই ব্যবসায় যোগ দেন দিপক কোঠারি। দিপক সঞ্জীবের সহকর্মী ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু হয় ‘টিক্যাশের’।

সঞ্জীব জানিয়েছেন, ‘টিক্যাশের’ মাধ্যমে ক্রেতারা জিনিসটি কেনার আগে তার ‘ডেমো’ দেখে, তারপর তা বিচার করে কিনতে পারেন। মুম্বইয়ের ছোট শহর পোয়াইয়ে প্রথম এই ব্যবসা শুরু হয়। ‘টিক্যাশের’ পরবর্তী লক্ষ্য মুম্বইয়ের অন্যান্য জায়গায় এই ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়া। এখনও পর্যন্ত ১৫০ জন ব্যবসায়ী ‘টিক্যাশের’ সুবিধে ভোগ করেন। সঞ্জীবের মতে, ২০১৬-র মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০০০। এখনও পর্যন্ত ‘টিক্যাশের’ মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা ‘ট্রানজাকশন’ হয়েছে।


image


সঞ্জীব জানিয়েছেন, ‘টিক্যাশের’ এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার। পাঁচ বছর আগেও এই ব্যাপারটা ভাবাই যেত না। তখন স্মার্টফোন ব্যবহার করতেন শুধুমাত্র অভিজাত মানুষেরা। কিন্তু গত ১২ থেকে ১৮ মাসে চিত্রটা অনেকটাই বদলেছে। সমাজের সব স্তরের লোকের কাছেই স্মার্টফোন রয়েছে। তাই তাঁরাও প্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট সড়গড় হয়ে উঠেছে।