হাইপারলুপ বেঙ্গালুরুর সঙ্গে জুড়বে চেন্নাই আর মুম্বাই

হাইপারলুপ বেঙ্গালুরুর সঙ্গে জুড়বে চেন্নাই আর মুম্বাই

Thursday December 29, 2016,

2 min Read

ইলন মাস্কের যুগান্তকারী হাইপারলুপ প্রযুক্তি এবার ভারতের পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনে বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন সংস্থাটি ঘোষণা করেছে তাদের ভারতের কর্মকাণ্ডের কথা। ঘোষণার পরেই গোটা দেশে সাড়া পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী-সহ এদেশের রাজনীতিকদের অনেকেই হাইপারলুপ প্রকল্পটিকে ভারতে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এটা স্পষ্ট রাজনীতির দড়ি টানাটানিকে বাদ দিলে অগ্রগতির দৌড়ে উসেইন বোল্টের গতিতে এগোচ্ছে বেঙ্গালুরু।

image


সিলিকন ভ্যালির একটি স্টার্ট আপ সংস্থা যার নাম হাইপারলুপ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজিস (এচটিটি)। ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে প্রকল্পের কাজ শুরুও করে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি মুম্বই-ব্যাঙ্গালুরু করিডর। দ্বিতীয়টি ব্যাঙ্গালুরু-চেন্নাই করিডর। এই দুটি করিডরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরীগুলির ভিতর সংযোগ গড়ে তোলা যাবে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটির সঙ্গে সহযোগী হিসাবে যুক্ত আইআইএম আমেদাবাদ ও ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠানও।

মনে করা হচ্ছে হাইপারলুপ বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দিচ্ছে অন্য সব শহরের থেকে অন্তত কয়েকশ গুণ। চেন্নাই আর মুম্বাইয়ের সঙ্গে বেঙ্গালুরুকে জুড়ে দিলে ব্যবসা বাণিজ্যে যেমন গতি বাড়বে তেমনি চরচর করে বাড়বে অর্থনীতির গ্রাফ।

এই প্রকল্প রূপায়নে সম্প্রতি এগিয়ে চলেছে পিলানির বিড়লা ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের মতো সংস্থাও। বিআইটিস-এর পড়ুয়ারা এই প্রকল্পের সঙ্গে বিআইটিএস হাইপারলুপ নামে যুক্ত। এছাড়া, ইন্দোরের একটি স্টার্ট আপও সম্প্রতি প্রকল্পে সহযোগী হিসাবে কাজ করছে। ইন্ডোরে্র ওই স্টার্ট আপটির নাম হল, ডিজিডব্লিউ হাইপারলুপ। এদের তরফে একটি করিডর নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেটি দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগ ঘটাবে।

তবে পরিবেশবিদদের একাংশ এই প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে আপত্তি তুলেছেন, যদিও পরিবহনের জন্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রকল্পে। তবে হাইপারলুপের কাজ চলছে দুবাইতেও। মার্কিন অপর একটি সংস্থা হাইপারলুপ ওয়ানের তরফে দুবাইতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়ে্ছে।