১৬ জানুয়ারির আগেই আমরা জেনে নিতে চেয়েছিলাম স্টার্টআপ দুনিয়া ঠিক কী চাইছে তথাকথিত লৌহপুরুষের কাছে। এসব জানতে সম্প্রতি ইওরস্টোরি একটি সার্ভে করে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া সার্ভে বোঝার জন্য আপনারা যারা সময় বের করেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। অভিযোগ, চ্যালেঞ্জ অথবা প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই উৎসাহ বোধ করি। কিন্তু কর্যকরভাবে অংশ নিতে লজ্জা পাই, পিছিয়ে আসি। আপনাদের আবেগ তাড়িত এবং উৎসাহ-ব্যঞ্জক সাড়া আমাদের অভিভুত করেছে।
এই সমীক্ষা থেকে কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে। ভারতের স্টার্টআপগুলির কী দাবি সেটাও সামনে চলে এসেছে। এখানে আমরা সেটাই ভণিতা না করে তুলে ধরলাম।
প্রায় ২,২০০ উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তাদের আশা, উদ্বেগ, বর্তমান সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা এবং পরিবর্তনের অপেক্ষার কথাও শুনেছি। গত পাঁচ বছরে স্টার্টআপগুলিতে প্রতিনিয়ত কী আলোচনা হয়েছে তাও উঠে এসেছে আমাদের সার্ভেতে। স্টার্টআপগুলির জন্য যে নিয়মকানুন, সেগুলি যাতে আরও সরল করা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিজে তার উদ্যোগ নিন, স্টার্টআপগুলির এই দাবি হঠাৎ ওঠেনি। ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তা এই ঝামেলার কথা তুলেছেন। সোজা কথায়, তাঁদের বক্তব্য কাজের ক্ষেত্র সরল করতে স্টার্টআপগুলির সাহায্য প্রয়োজন।
দ্বিতীয় চিন্তার বিষয় হল বর্তমান কর আইন। ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা বলেন, অনেকেই পিছিয়ে আসেন কর পদ্ধতির কারণে। রাজ্য, কেন্দ্র দু তরফেই ট্যাক্সের লেভি সরাসরি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্টার্টআপগুলির সামনে।
তারপরই আসছে ফান্ডিংয়ের ভরসা এবং বিনিয়োগকারীর কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা। ১৬ শতাংশ জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রিসোর্সের অভাবই ব্যবসার অন্তরায়। ৮ শতাংশ কথা বলেছেন নানা বাহ্যিক ইস্যু যেমন, হাতেকলমে শিক্ষা এবং পুঁথিগত বিদ্যার ফাঁক পূরণ, নানা পরামর্শের জন্য ইন্ডাস্ট্রির লিডারদের কাছে ঘেঁষতে পারা, আইআইটি অথবা আইআইএম নেটওয়ার্ক ছাড়াও বিভিন্ন কলেজে ঢোকার সুযোগ পাওয়া এইসব বিষয় নিয়ে। সব মিলিয়ে এটা খুব স্পষ্ট গোটা দেশের সবগুলি স্টার্টআপ উদ্যোক্তাই চান সোজাসুজি ব্যবসা করতে। কোনও পেঁচালো পদ্ধতি নয়। হেনস্থা হতে চান না। ফলে সরকারের কাছে তাঁদের দাবী সরল হোক ব্যবসার পদ্ধতি। আর এটা সম্ভব হবে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক হস্তক্ষেপেই। তাই গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে ১৬ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কীধরণের স্টার্টআপ নীতি নিয়ে আসেন সেদিকেই।