১৪ টাকায় মাইক্রোস্কোপ বানালো বালুরঘাটের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরদল

১৪ টাকায় মাইক্রোস্কোপ বানালো বালুরঘাটের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরদল

Tuesday April 18, 2017,

2 min Read

১৪ টাকায় মাইক্রোস্কোপ! ভুল শোনেনি।একদম ঠিক। মাত্র ১৪ টাকা খরচ করলেই আপনার মুঠোয় ধরা মোবাইল ফোনটি হয়ে উঠতে পারে অণুবীক্ষণ যন্ত্র। এমন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ হাইস্কুলে পড়ুয়ারা। সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসেবে পাশে পেয়েছে শিক্ষকদের।

image


মাইক্রোস্কোপ শব্দটা শুনলেই একটি জটিল এবং বহুমূল্য যন্ত্রের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু নতুন ভাবনা ও নতুন কিছু আবিষ্কারের ঝোঁক সেই মাইক্রোস্কোপকেই অনেক সহজলভ্য করে দিয়েছে। বালুরঘাটের ললিত মোহন আদর্শ হাইস্কুলের পড়ুয়ারা ক্লাসঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেছে অণুবীক্ষণ যন্ত্র। মাত্র ১৪ টাকা খরচ করলেই সেই মাইক্রোস্কোপ পাওয়া সম্ভব। ‘দামে কম হলেও কার্যকারিতা বেশি বই কম নয়।

সাধারণ মাইক্রোস্কোপের থেকে এই যন্ত্রের চেহারাও আলাদা। ‘হাতের কাছে থাকা সামান্য কটা জিনিস ব্যাবহার করেই তৈরি হয়ে যায় এই যন্ত্র। জলের বিন্দুতেও ছোট জিনিসকে বড় দেখায়। সেই কনসেপ্টকে ব্যবহার করি আমরা। লেজার টর্চের আলোকে প্যারালাল করতে একটি লেন্স ব্য বহার করা হয়। তবে আসল কাজ করে দেয় তৈরি করা যন্ত্রের ওপরে রাখা মোবাইলটি। আর দরকার ৩টি স্ক্র, ৩টি বোর্ড, ব্যাটারি এবং প্রয়োজন পড়লে এলইডি। সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রে প্রয়োজনে ছবি তুলে রাখা যায়’, সস্তার অণুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরির উপায় বাতলে দিলেন ননীগোপাল মণ্ডল।

বলছিলেন স্কুলে সবসময় ওরা শেখাতে চেষ্টা করেন কীভাবে কম খরচে পড়ুয়াদের হাতে যন্ত্রগুলি তুলে দেওয়া যায়। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। ছাত্ররা নিজেরাই তৈরি করেছে এই যন্ত্র, বলছিলেন গর্বিত শিক্ষক ননীগোপালবাবু।

ইতিমধ্যে এই আবিষ্কারের স্বীকৃতিও পেয়েছে পড়ুয়ারা। ‘স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়ার নীতি আয়োগ। ললিত মোহন আদর্শ হাইস্কুলকে অটল ট্রিঙ্কারিং ল্যাবের জন্য মনোনীত করা হয়েছে’,জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

তাদের তৈরি মাইক্রোস্কোপ তোলপাড় ফেলে দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারাও। ‘দাদারা পথ দেখিয়েছেন।সাহায্য করেছেন শিক্ষকরাও। ভবিষ্যতে গবেষণায় অনেক বেশি কার্যকর হবে এই অণুবীক্ষণ যন্ত্র’, আনন্দ ধরে রাখতে পারে না ক্ষুদে বিজ্ঞানী অমল দাস। প্রান্তিক এলাকা, সীমিত পরিকাঠামো, অভাব যাদের নিত্যসঙ্গী তারা প্রমাণ করে দিয়েছে অন্বেষণের নেশা থাকলে ছোট হাতেও বড় কাজ করা যায়। কোনও বাধাই সেই প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারে না।