মহিলারা শুনছেন তো? 'আমিত্ব'কে জাগিয়ে তুলতে হাতে রাখুন কিছু বই

মহিলারা শুনছেন তো? 'আমিত্ব'কে জাগিয়ে তুলতে হাতে রাখুন কিছু বই

Monday December 21, 2015,

4 min Read

সফল হতে গেলে নিজের শিক্ষক এবং গাইড হওয়ার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। নিজের দিকে তাকান, বোঝার চেষ্টা করুন, নিজের দক্ষতার জায়গাগুলি খুঁজে বের করুন। এটাই নিজের মধ্যে শক্তি যোগাবে, আরও বড় চ্যালেঞ্জ লড়ার বিশ্বাস গড়বে। মহিলাদের পড়ার মতো কিছু বইয়ের তালিকা দেওয়া হল যেখান থেকে শেখা যাবে কীভাবে নিজেকে ভালোবাসতে হয় এবং নিজের কাজ কীভাবে আরও ভালোভাবে করতে হয়।

image


Nice girls don’t get the corner office: unconscious mistakes women make that sabotage their careers

কাজের জায়গার অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এই বই। লেখক ড. লুই ফ্রাঙ্কেল খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন এবং ১০১টি আচরণ নির্দিষ্ট করেছেন যেগুলি মহিলারা কিশোরী বয়সে শেখে এবং সেগুলিই পরিনত বয়সে বিপদের কারণ হয়। তিনি লেখেন, আমি জাকার্তা, প্যারাগুয়ে, ফ্র্যাঙ্ক-ফুর্ট, ওয়েলিংটন অথবা ডেট্রয়েট যেখানেই কাজ করি না কেন দেখে অবাক হয়ে যাই কাজার জায়গায় একই ভুল করে মেয়েরা। হাউস্টেনের থেকে হংকং-এ বাড়বাড়িটা আরও বেশি। জানি এগুলি ভুল। যদি মহিলারা এইসব ক্ষেত্রে অন্যভাবে আচরণ করে তাহলে তাদের কেয়ারিরয়ারগ্রাফ এমদিকেবাঁক নিতে পারে যা কোনও দিন ভাবেইনি।

The life organizer: a woman’s guide to a mindful year

‘দীর্ঘদিন ধরে একঘেয়ে ক্লান্তিকর, খিটখিটে, বোতলবন্দি জীবন কাটানোর চাইতে যদি গোছানো, নিজের মতো করে জীবন চালানো যায় তাহলে কী হবে’? জেনিফার লউডেনের এই লোভনীয় শুরুটাই প্রলুব্ধ করবে, কীভাবে জীবন সাজানো যায় তা ভাবতে। জীবন সাজানো এবং আরও ভালোভাবে চালানো নিয়ে কী বলতে চাইছে এই বই পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন।

Women who think too much: how to break free of overthinking and reclaim your life

করুন মনোবিজ্ঞানী ড. সুজান নোলেন হকসিমা তাঁর গবেষণার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, একটা বিষয় নিয়ে মহিলারা কত বেশি ভাবে এবং সেটাই দুখ, হতাশা, দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোন কোন বিষয়গুলি মহিলাদের বেশি ভাবায় তিনি শুধু সেই দিকগুলিই তুলে ধরেননি, একই সঙ্গে নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে রেখে অর্থবহ জীবন ধারণ করার পদ্ধতিও উল্লেখ করেছেন।

20-something, 20-everything: a quarter-life woman’s guide to balance and direction

এই বইটা হল ২০ এবং ৩০ বছরের মধ্যকার মহিলাদের জন্য যারা পরিবার, কেরিয়ার এবং বিয়ে নিয়ে জীবনে বড় পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এবং সবসময় কোনটা বাছবে তা নিয়ে ভাবছে। লেখিকা ক্রিস্টাইন হেসলার নিজেকে এইরকম একটা পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকী সাফল্যের দ্রুত উর্দ্ধগামী গ্রাফ থামিয়ে স্টার্টআপকে বেছে নিয়েছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা এবং শতাধিক মহিলার সঙ্গে কথা বলে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। মহিলাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের কেরিয়ার, পরিবার, বয়ফ্রেন্ড, সন্তান ইত্যাদি নানা বিষয়ে পরামর্শও দিতেন। বুঝিয়ে দিতেন আজকালকার মহিলাদের কীভাবে ক্ষমতায়ন ঘটানো যাবে এবং জীবনে পথ খুঁজে নেবে।

I love myself when: a self-esteem companion book for women who forget

মাইকেল কালপের এই বইটি নিজের প্রতি ভালোবাসা এবং তার ফলে প্রতিক্ষণের সিদ্ধান্তে তার প্রভাব, এই সম্পর্কিত। যদি নিজেকে ভালো না বাসেন তাহলে তার প্রভাব প্রতি স্তর-কাজ, জীবন, সম্পর্ক সবেতেই পড়বে। এটা বলে দেবে কীভাবে নিজেকে প্রথমে রাখবেন, প্রথমে বেছে নেবেন। এক সময় এই অভ্যেসই আপনাকে উৎসাহ দেয় এমন কিছু বেছে নিতে সাহায্য করবে, নিজের স্বপ্নকে তাড়া করার উৎসাহ যোগাবে এবং স্বাস্থ্যকর পছন্দগুলিই জীবনে আনন্দ বয়ে আনবে।

Warrior Goddess training: become the woman you are meant to be

যোদ্ধা দেবীর সম্পর্কে নাড়াচাড়া করলে সেই জ্ঞান দিয়ে আসল নিজেকে খুঁজে পাওয়া এবং নিজের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে বোঝা সম্ভব হয়। আর এটাই এমন জীবন গড়ে দেবে যা আপনার ভেতর-বাইরের স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি। হিদার অ্যাশ আমারা লিখেছেন, ‘যদি প্রতিটি রন্ধ্র রন্ধ্র দিয়ে নিজেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসতে না পারেন, নিজের ক্ষমতা এবং আবেগের গুরুত্ব দিতে গিয়ে যদি লড়তে হয়, নিজের জীবনের ওপর যদি সামান্যতম দখলদারি না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে বিদ্রোহের সময় এসেছে। যোদ্ধা দেবীর শক্তি নিজের মধ্যে টানার সময় হয়েছে’।

Play like a man, win like a woman

গেইল ইভানস তাঁর এই বইয়ে লিখেছেন, কাজের দিক থেকে পুরুষের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েও কেন মহিলারা একই ক্ষমতা পায় না? লেখিকার মতে এর কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ মহিলাই কীভাবে খেলা খেলতে হয় শেখেননি কখনও, শেখেননি কীভাবে ব্যবসার খেলা খেলতে হয়। এই বইয়ে তিনি সব ক্ষেত্রের মহিলাদের জন্য লিখেছেন,সাফল্যে চাবিকাঠি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দিয়েছেন। কখন ঝুঁকি নেওয়া থেকে কখন চাকরি ছাড়বেন, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এমনকী এও বলেছেন, পুরুষের ঠিক করে দেওয়া নিয়ম বিশ্বস্ততার সঙ্গে মানতে হবে এমন কোনও কথা নেই। মহিলারা জানেন কী নিয়ম আছে। নিজের সুবিধার কথা ভেবে সেটা ব্যবহার করবেন।

লেখক-তানভি দুবে

অনুবাদ-তিয়াসা বিশ্বাস