লোকসভায় আয়কর সংশোধনী বিল আনল কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের নিম্ন কক্ষে আজ ওই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিলের প্রস্তাবনায় কালো টাকার উপর কর চাপানোর বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। দেখে যাক কী কী প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে।
৫০০ ও ১০০০ টাকার বাতিল নোট চলতি বছরের মধ্যে অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ২,৫০,০০০ এর বেশি টাকা জমা পড়লে সেই টাকা করযোগ্য। অ্যাকাউন্টে আড়াই লাখের বেশি হিসাববহির্ভূত টাকা থাকলে অথবা করযোগ্য টাকার উপর কর এখনও যাঁরা মিটিয়ে দেননি তাঁদের জমা টাকার উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। এছাড়া শাস্তি হিসাবে কেটে নেওয়া হবে আরও ১০ শতাংশ টাকা। এছাড়া দিতে হবে অতিরিক্ত সারচার্জ। বেশি টাকা জমা দিলে সেই টাকার উৎস সম্পর্কে দিতে হবে সঠিক ব্যাখ্যা। আর তা দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের উপর চাপানো হবে আরও কড়া নিয়ম। এবার এক অভূতপূর্ব ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে মোদি সরকার।
হিসাববহির্ভুত মোট টাকার মাত্র ২৫ শতাংশই শুধু থাকবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। বাকি ২৫ শতাংশ কিংবা বাকি পরিমাণ টাকা আগামী চার বছরের জন্যে চলে যাবে সরকারি ফান্ডে।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা আর প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক স্কিমের কাজে লাগানো হবে সেই টাকা। কিন্তু সেই টাকার উপর কোনও গ্রাহককে সুদও দেবে না সরকার। আর যাঁরা অতিরিক্ত করের ভয়ে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেবেন না, তাঁদের জন্য থাকছে আরও কঠোর নিয়ম। যদি তল্লাশি চালিয়ে কারও কাছ থেকে এরকম টাকা উদ্ধার করা হয়, সেক্ষেত্রে ট্যাক্স ও পেনাল্টি মিলিয়ে মোট টাকার ৮৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। বাকি ১৫ শতাংশ ফেরত দেওয়া হবে মালিককে।
আয়কর সংক্রান্ত এই সংশোধনীগুলি বৃহস্পতিবারই অনুমোদন হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সোমবার ২৮ নভেম্বর প্রস্তাবনা আকারে এটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংশধনী বিল পাশ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, লোকসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি। রাজ্যসভায় যদিও সরকার সংখ্যালঘু। তবে সেখানেও এই বিল পাশের ব্যাপারে আশাবাদী কেন্দ্র।