শৌচালয় সার্চ করুন অ্যাপ্লিকেশন পি বাডিতে

রেঁস্তরো হোটেল পরিবহন অনেক কিছুইতো আছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে।এবার শৌচালয়ের খোঁজ পৌছে দিতে উদ্যোগী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘পি বাডি’। জিপিএসের মাধ্যমে ম্যাপ ব্যবহার করে ‘অ্যাপ্লিকেশন’টিকে মানুষের কাছে সহজবোধ্য করে তুলেছে ‘পি বাডি’।

শৌচালয় সার্চ করুন অ্যাপ্লিকেশন পি বাডিতে

Sunday September 27, 2015,

2 min Read

শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় টয়লেট দেখতে না পেয়ে এদেশে অনেকেই পরিবার সহ বাধ্য হন কোন রেঁস্তোরায় ঢুকতে।লজ্জার মাথা খেয়ে বলতেও পারেন না শ্রেফ টয়লেট ব্যবহারের জন্য ঢুকেছিলেন।তাই খাবারের ওর্ডার দিতেই হয় তখন বাংলায় বহুল প্রচলিত প্রবাদটির কথা মনে পড়ে যায়।‘ফেল কড়ি মাখো তেল ,আমি কি তোমার পর?’অথচ হাতে থাকা অ্যান্ড্রোয়েড সেটটি যদি সেই দিশা দেখাতে পারতো, কতই না উপকার হতো।দিল্লির একটি সংস্থা ‘পি বাডি’ নিয়ে এলো এক অভিনব অ্যাপ্লিকেশন, যাতে এই মোবাইলের দুনিয়ায় খুব সহজেই আপনি খোঁজ পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাছের শৌচালয়ের। রাস্তায় বেরোলে গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা যে কোনও সদাব্যস্ত মানুষের কাছে যার খোঁজ রাখা অপরিহার্য।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত মিশনে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠতেই পারে ‘পি বাডি’। ঠিক কী করে এই ‘পিবাডি’?


image


এরকম অভিনব পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ‘পি বাডি’র প্রধান দীপ বাজাজ। দীপ জানিয়েছেন, রাস্তায় বেরোলে গর্ভবতী মহিলাদের যখন তখন শৌচালয়ের প্রয়োজন হতেই পারে এবং অবশ্যই সেটা পরিচ্ছন্ন হতে হবে। আশেপাশে সেই মুহূর্তে শৌচালয় থাকাটাও আবশ্যক। কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যাবে কী করে? ঠিক এখানেই মানুষের চাহিদা পূরণ করেছে ‘পি বাডি’। মোবাইল অ্যাপে ‘জিপিএস’-এর মাধ্যমে খুব সহজেই ধরা পড়ে যাবে শৌচালয়ের হদিশ। সেই সঙ্গে তার সম্পূর্ণ বিবরণ। অর্থাৎ সেটি পরিষ্কার কি না, কত টাকা লাগবে, তার ছবি এবং সঠিক মূল্যায়ন করে ‘রেটিং’।

'গুগল প্লেস্টোরে’ এরকম অনেকগুলি অ্যাপ রয়েছে ।মূত্রালয়, ফ্ল্যাশ, স্বচ্ছ ভারত টয়লেট লোকেটর, গোটটাগো, টয়লেটফার্স্ট। শুধুমাত্র শহরেই নয়, গ্রামেরও সমস্ত শৌচালয়ের হদিশ এখানে রয়েছে। মহিলাদের বর্তমানে শহরের বাইরে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসূত্রে যেতে হয়, তখন এই অ্যাপ যথেষ্ট সহায়তা করে। ‘পিবাডি’র অ্যাপ্লিকেশনে সচিত্র ম্যাপ বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।


image


কিন্তু ভারতের মতো দেশে সুলভ শৌচালয় পাওয়াটাই দুষ্কর। ২০১২ সালে ‘ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস’ যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে গ্রামবাসীদের ৩২ শতাংশের নিজেদের বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে এবং ৯ শতাংশ বাড়ি থেকে দূরে শৌচালয় ব্যবহার করতে যায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক কচকচানি কম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদীও ১০ কোটি শৌচালয় বানানোর কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু শুধু বানালেই তো হবে না, তাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটাই তো মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। দীপ জানিয়েছেন, তাঁরাও চান মানুষের কাছে পরিষ্কার একটা শৌচালয় প্রস্তুত করতে। শহরে বিভিন্ন বিলাসবহুল রেঁস্তোরায় সুলভ শৌচালয় ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু সমস্যা হল, সেই রেস্তোরাঁয় কিছু না কিছু খেতে হবেই, নয়তো সেটি ব্যবহার করা যাবে না। ‘পি বাডি’ সংস্থার কর্মীরা এবার মুম্বই শহরে ঘুরে এই সব শৌচালয় নথিভুক্ত করনের কাজে নেমে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প এবং অফিসের কাছে ‘পি বাডি’ আবেদন করেছে, তাদের শৌচালয় নথিভুক্ত করাতে।