ইয়োর স্টোরির মুকুটে নতুন পালক

ইয়োর স্টোরির মুকুটে নতুন পালক

Friday October 09, 2015,

3 min Read

ইয়োর স্টোরির যাত্রাপথে এবার যুক্ত হল ভারতীয় বাণিজ্যজগতের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির নাম। ভারতের বৃহত্তম আন্ত্রেপ্রেনার-ফোকাসড মিডিয়া টেক কোম্পানি ইয়োর স্টোরিতে লগ্নি করতে এগিয়ে এসেছেন বেশ কয়েকজন মার্কি ইনভেস্টর। এদের মধ্যে রয়েছে Kalaari Capital, Qualcomm Ventures, T V Mohandas Pai এবং Ratan Tata. কাকতালীয় হলেও একটা কথা বলতেই হয়। লগ্নি এল এমন একটা সময়ে যখন সবচেড়ে বড় সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছিল ইয়োর স্টোরি।

image


কী সেই সিদ্ধান্ত? ২০০৮ সালে ইয়োর স্টোরি গড়ে তুলেছিলেন শ্রদ্ধা শর্মা। তারপর অনেকটা পথ পেরিয়েছেন শ্রদ্ধা।বিশ্বায়নের বাতাসে এগিয়ে গিয়েছে দেশও। ভারত এখন অনলাইনে যুক্ত। ২০১৭ সালের মধ্যে সেই অনলাইনে যুক্ত ভারতবাসীর ৫০ কোটির কাছে পৌঁছনোর অভিযানে বেরিয়ে পড়েছে ইয়োর স্টোরি। সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভারতীয় ভাষায় ইয়োর স্টোরি প্রকাশ হয়েও গিয়েছে। দেশজুড়ে তরুণ উদ্যোগপতিদের সাফল্যের কাহিনি নিজের ভাষায়। যে ছটি ভাষা প্রথম তালিকায় রয়েছে তা হল হিন্দি, বাংলা, তেলুগু, কন্নড়, তামিল ও মারাঠি। সঙ্গে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ইংরেজি ভাষায় ইয়োর স্টোরি তো রয়েইছে। ইয়োর স্টোরি বিশ্বাস করে সাফল্যের উদযাপনে ভাষার ব্যবধানও থাকা উচিত নয়। প্রত্যেক ভারতীয়র তার নিজের ভাষায় এমন একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত যেখানে সে তার সাফল্যের কথা দেশবাসীকে জানাতে পারবে। আঞ্চলিক ভাষায় ইয়োর স্টোরি সেই পথই দেখাতে চায়। লক্ষ-লক্ষ ভারতবাসী এখানে তাদের কাহিনি তুলে ধরতে পারেন টেক্সট, ভয়েস বা ভিডিওর সাহায্যে। যে কেউ আঞ্চলিক ভাষার এই সাইটে নিজের নাম রেজিস্ট্রার করতে পারেন india.yourstory.com সাইটে।

এমন একটা সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শ্রদ্ধা শর্মা বলেন," ইয়োর স্টোরিতে সাফল্যের বহু কাহিনি তুলে ধরা হয়। সে সবই ইংরেজিতে। কিন্তু আমরা চাই অনলাইনে যুক্ত লক্ষ-লক্ষ ভারতবাসীর কাছেও একইভাবে পৌঁছে যেতে। যাতে তাঁরাও তাঁদের সাফল্যের কথা নিজের ভাষায় তুলে ধরতে পারেন। ভাষাগত এই গণতান্ত্রিকতার মাধ্যমে আমরা আসলে দুয়ার খুলে দিতে চাই। অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো ঘটনা, উদ্ভাবন, লড়াই করে উঠে আসার এইসব কাহিনি তুলে ধরার জন্য আমরা প্রত্যেকের প্রথম পছন্দ হতে চাই।" ভারতের আনাচেকাঁনাচে সত্যিই এমন কত সাফল্যের কাহিনি লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু লোকে জানতে পারছিল কই। ইয়োর স্টোরি আসার পরে সেই ছবিটা বদলেছে। কিন্তু ইংরেজি তো ভারতবাসীর মাতৃভাষা নয়। অনেক মানুষের কাছে পৌঁছন গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছিলেন একটা বড় অংশই। সেই অংশের কাছেই এবার সরাসরি পৌঁছতে চায় ইয়োর স্টোরি। ভারতের মতো বিশাল এক দেশে, বিভিন্ন ভাষাভাষীর দেশে এমন একটা সিদ্ধান্ত কিন্তু সহজ নয়। তা সত্ত্বেও ইয়োর স্টোরির এই সাহসী সিদ্ধান্তে লগ্নিকারীরা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং ভরসা রেখেছেন সেজন্য তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রদ্ধা শর্মা।

২০০৮ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ইয়োর স্টোরিতে প্রকাশিত হয়েছে দেশজুড়ে ২০ হাজারেরও বেশি উদ্যোগপতির কথা। ইয়োর স্টোরি এবং তার সিস্টার প্ল্যাটফর্ম Her Story, Social Story, YS TV, YS Research, YS Pages পৌঁছে গিয়েছে ৬ কোটি পাঠকের কাছে। সবচেয়ে বড় কথা ভারতে শুরুয়াতি বা স্টার্টআপ ব্যবসার এখন সবচেয়ে আলোচিত প্ল্যাটফর্ম ইয়োর স্টোরি। শুধু সাফল্যের কথা তুলে ধরাই নয়, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রচার ও প্রসারে ২২০টিরও বেশি ইভেন্ট, যেমন YS Meetups, Tech Sparks, Mobile Sparks ও She Sparks, আয়োজন করেছে টিম ইয়োর স্টোরি। এইসব ইভেন্টের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের জীবনে।