আবিষ্কারের আনন্দে লেখাপড়া শিখছে হিমাচল

আবিষ্কারের আনন্দে লেখাপড়া শিখছে হিমাচল

Tuesday January 31, 2017,

2 min Read

আবিষ্কার একটি স্টার্টআপ। সুদূর হিমাচলের কোলে দারুণ ফুল ফোটাচ্ছে। ফুলই বটে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াকে কেবল আর পাঠ্য বইয়ের অক্ষরে বেঁধে না রেখে প্রয়োগের ব্যবহার করে আরও মনোগ্রাহী আরও কার্যকর করে তুলেছে এই সংস্থা। সংস্থা বললে কম বলা হবে বরং একে বলা উচিত সরিৎ শর্মা এবং তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা গুপ্তার একটি মিশন। মার্কিন মুলুকে দুর্দান্ত কেরিয়ার তাচ্ছিল্য করে দেশে ফিরে এসেছেন ওঁরা। সন্ধ্যা নিজে আওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি। বিষয় সেমি কন্ডাক্টর। আর তাঁর স্বামী সরিতের পিএইচডডির বিষয় ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এখন জীবনের বাকি সময়টা স্কুল পড়ুয়াদের সোজা ভাষায় খুব সামান্য জিনিইস পত্র দিয়ে প্রায়োগিক ভঙ্গিমায় লেখা পড়া শেখান ওরা।

image


ওরা বলেন ওরা শিক্ষামূলক কাজকর্ম করে থাকেন। ক্লাশরুম লার্নিং নিয়ে কাজ করে থাকে এই সংস্থা। মধ্যশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষায় পঠনপাঠনরত ছাত্রছাত্রীরাই আবিষ্কারের টার্গেট অডিয়েন্স। স্কুলপাঠ্য অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয় নিয়েও কাজ করে থাকে আবিষ্কার।

এজন্য এনসিইআরটি টেক্স বুকগুলি থেকে প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্লাশরুম কিট তৈরি করা হয়। এছাড়া রয়েছে কীভাবে প্র্যাকটিক্যাল করতে হবে, সেই সম্পর্কিত গাইড লাইন। প্রতিটি বিষয়ে কীভাবে পড়াশোনা করতে হবে, সেই সম্পর্কেও পড়ুয়ারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা লাভ করে থাকে।

এক্ষেত্রে ক্লাশ রুম লার্নিংয়ের পাঠ্যসূচি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে তা পড়ুয়াদের কাছে সহজবোধ্য হয়ে ওঠে। শিখতে শিখতে পড়ুয়ারা যেন নতুন কিছু জানার রোমাঞ্চ অনুভব করে, বিষয়গুলি যেন তাঁদের ভালোলাগায়, সে বিষয়েও নজর রাখেন সরিৎ এবং সন্ধ্যা।

আবিষ্কার মধ্যেমধ্যে রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেরও আয়োজন করে থাকে। সেখানে পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকা দুতরফকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। হিমাচলপ্রদেশের পালামপুরে আবিষ্কারের কার্যালয়। এটি বর্তমানে পরিচালনা করেন ‌আট সদস্যের একটি দল। আবিষ্কারের তরফে জানানো হয়েছে, সংস্থার লক্ষ্য ছাত্রছাত্রীদের ভিতর সৃজনশীল ভাবনার বীজ বুনে দেওয়া। সেইসঙ্গে বিশেষভাবে তাঁরা নজর রাখছেন, যাতে পডুয়ারা ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিংয়েও পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন।

সংস্থার আয় হয় রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পগুলি থেকে। এছাড়া শুভানুধ্যায়ীদের অনুদান ও সিএসআর গ্রান্ট থেকেও টাকা আসে। সংস্থাটি আগামীদিনে স্কুল পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ভিতর আরও কাজ করতে ইচ্ছুক। সম্প‌্রতি এই সংস্থা টাটা সোশ্যাল আন্ত্রেপ্রাইজ চ্যালেঞ্জের সেরা দশে জায়গা পেয়েছে।