হাতের মুঠোয় ভূস্বর্গ সৌজন্যে মেহবিশ

হাতের মুঠোয় ভূস্বর্গ সৌজন্যে মেহবিশ

Tuesday November 24, 2015,

2 min Read

পুরো কাশ্মীরটাকেই নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে এসেছেন ২৩ বছরের মেহবিশ মুস্তাক। তাঁর 'ডায়াল কাশ্মীর' অ্যাপ অ্যাপের দুনিয়ায় নয়া সংযোজন। এখানেই শেষ নয়, কাশ্মীরের প্রথম মহিলা অ্যাপ ডেভেলপারও তিনিই।

২০১৩ সালে ভূস্বর্গের অ্যাপটি বাজারে নিরে আসেন মেহবিশ। পরিবারের কাছ থেকে সবসময়ই সমর্থন পেয়েছেন মেহবিশ। বরাবরই একটা ইচ্ছে ছিল মেহবিশের, এমন কিছু একটা করবেন, যাতে তিনিই প্রথম হন। আর সেই চাহিদা থেকেই মেহবিশ কাশ্মীরের প্রথম মহিলা অ্যাপ ডেভেলপার। শ্রীনগরেই তাঁর জন্ম এবং বড় হয়ে ওঠা। প্রযুক্তির প্রতি টান তাঁর বরাবরই। 


image


কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন তিনি। চারজনের সংসারে তিনিই সবচেয়ে ছোট। বাবা ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বড় ভাইও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এমবিএ পরে দিল্লিতে চাকরি করছেন।

মেহবিশ জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাপে কাশ্মীরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নম্বরের হদিশ পাওয়া যাবে। অনেক সময়ই দরকারে গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বরগুলি পাওয়া যায় না। 'ডায়াল কাশ্মীর' সেই অভাবটাই পূরণ করেছে। কাশ্মীরের কোনও স্কুলের, কিংবা হাসপাতালের বা জরুরি পরিষেবার নম্বর দরকার পড়লে 'ডায়াল কাশ্মীরে' পাওয়া যাবে সব কিছুর হদিশ। ২০১৩ সালের নভেম্বরে মেহবিশ অনলাইনে একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের কোর্স করেন। এই কোর্সের পরই 'ডায়াল কাশ্মীর' তৈরি হয়। 'ডায়াল কাশ্মীরের' প্রথম ভার্সান তৈরি হয় দু'সপ্তাহে। মেহবিশের কাছে তখন সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল ফোন নম্বর জোগাড় করা। কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই কাজটি তিনি করে ফেলেন। অনেক সময় অফিসিয়াল সাইটগুলিও কাজ করে না। কিন্তু 'ডায়াল কাশ্মীর' সব সময় মানুষের পাশে থাকবে।


image


বিভিন্ন তথ্য সমন্বিত ডিরেক্টর হয়ে উঠেছে 'ডায়াল কাশ্মীর'। কোনও ফোন নম্বর, ই-মেল আইডি, কাশ্মীরের জরুরি পরিষেবার নম্বর পাওয়া যাবে। ডিরেক্টরির মত 'পিনকোডের সন্ধান', 'রেলওয়ের সময়', 'ছুটির তালিকা', 'মুসলিম প্রেয়ার টাইমিং' ইত্যাদির হদিশ পাওয়া যাবে সেখানে। অ্যাপটি আসার পর সাধারণের অনেক রকম সুবিধা হয়েছে।

মাঝে মাঝেই সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে ভূস্বর্গ। সব সময় শান্তির জীবনও কাটানো যায় না। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষও একটা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। প্রযুক্তির উন্নতি কাশ্মীরের মানুষও উপেক্ষা করতে পারে না। আর তাই মেহবিশ প্রযুক্তিকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন কিছু নিজের তৈরি অ্যাপে ঢোকাতে চান মেহবিশ।


image


লেখক – শাশ্বতী মুখার্জী

অনুলেখক-চন্দ্রশেখর চ্যাটার্জী