শিক্ষিত ও সুস্থ ভারত গড়াই মিশন কবিতার

কিছু ভ্রান্ত ধারণা, বেশ কিছু সমস্যা ও উৎসাহের অভাব৷ নিট ফল - এখনও এদেশে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলির তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে শিক্ষাক্ষেত্র৷ ফলে এই জায়গায় সুযোগ ও সম্ভাবনার সদ্ব্যবহার করা যায়নি৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের বোধদয় হলেও আমূল পরিবর্তন এখনও হয়নি৷ আর এটিকেই এখন পাখির চোখ করেছেন ভিলগ্রো সংস্থার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার কবিতা রাজগোপালন৷ ‘ভাবনা থেকেই পরিবর্তনের শুরু হয়৷ আর সেই ভাবনা যখন বাস্তবে পরিণত হয় তখনই পরিবর্তন হয় জীবনেরও৷’ এটিকেই মূল মন্ত্র করে এগিয়ে চলেছেন কবিতাদেবী ও তাঁর সংস্থা৷ শিক্ষাক্ষেত্রে আরও বেশি করে বিনিয়োগের পাশাপাশি কীভাবে তা আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে উদ্যোগী হতে বিভিন্ন সংস্থাকে উৎসাহ জোগানোই তাঁদের লক্ষ্য৷ তাঁরা শিক্ষিত, সুস্থ ও উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখেন৷ শিক্ষার প্রতি পিছিয়ে পড়া শিশুদের আগ্রহ বাড়ানোও তাদের লক্ষ্য৷ শুধু তাই নয়, স্কিল ডেভলপমেন্টের বিষয়েও তারা একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন৷

শিক্ষিত ও সুস্থ ভারত গড়াই  মিশন  কবিতার

Sunday September 20, 2015,

2 min Read

তবে, শিক্ষাক্ষেত্র সম্পর্কে এখনও কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন কবিতাদেবী৷ তিনি বলেন, ‘এই ক্ষেত্রটাকে অনেকেই এখনও অলাভজনক হিসেবে দেখেন এবং সেই অনুযায়ীই পদক্ষেপ করেন৷ আবার কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষা পাওয়া যায় না বলেও অনেকের ধারণা৷ কিন্তু, সরকারি এমনকী বেসরকারি অনেক ক্ষেত্রেও আমরা এর উল্টো ছবি দেখতে পেয়েছি৷ যেখানে কম খরচেই উচ্চমানের শিক্ষা দেওয়া হয়৷ যেটাই মডেল হওয়া উচিত এবং এই ধারণাকেই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই৷’


image


কিন্তু, তাদের এই অভিযানে যোগ দেওয়ার মাপকাঠিটা ঠিক কী? তাঁর কথায়, ‘বিভিন্ন সংস্থা যারা নিজেদের পণ্য অথবা পরিষেবা দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রের গভীর সমস্যাগুলি দূর করতে সাহায্য করতে পারবে আমরা তাদেরকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি৷’

পাশাপাশি, ওই সংস্থাগুলির পদক্ষেপের ফলে পিরামিডের নীচে থাকা অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষদের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ার বিষয়টিও দেখা হয়৷ পাশাপাশি, পড়ুয়ারা এতে লাভবান হবে কি না এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও ওই পরিবারগুলির আয় বাড়ার সম্ভাবনাও বিবেচনা করে দেখা হয়৷

কতটা লক্ষ্যপূরণ হয়েছে, তা জানতে বিভিন্ন স্কিল ট্রেনিং কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন পড়ুয়াদের চিহ্নিত করা হয়, যারা পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে চাকরি করছে৷ পাশাপাশি, তাদের গড় আয় ও চাকরির মেয়াদ সবই নজরে রাখা হয়৷ আর এই তথ্যগুলি জোগাড় করার পরই বোঝা যায় যে তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে কি না৷পাশাপাশি, শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতির জন্য প্রযুক্তির ভূমিকাও অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন কবিতাদেবী৷ তবে, প্রথম প্রথম তাদের নানান অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল৷ সেই সব বাধা কাটিয়ে এখন তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করার কাজে মসৃণভাবেই এগিয়ে চলেছেন৷ দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিশা দেখাতে পারছেন তাঁরা৷ এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গেলেও তা কাটিয়ে তাদের শিক্ষিত ভারত গড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে বলেই আশা ভিলগ্রোর কর্মীদের৷