ভারত পারে, বিশ্বাস করেন নিলেকানি

ভারত পারে, বিশ্বাস করেন নিলেকানি

Tuesday November 10, 2015,

2 min Read

রবি নাওয়াল, পেশায় ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া ক্যান’ নামে একটি বই লিখে উদ্যোগের দুনিয়ায় নজর কেড়েছেন আইআইএম-আহমেদাবাদের এই প্রাক্তনী। মোটরসাইকেল-ট্যাক্সি, ছাদে কৃষি, রাজ্য থেকে রাজ্যে পর্যটন প্রচার, গ্রামীণ ওষুধসহ মোট ২১ টি অভিনব ব্যবসার কথা লিখেছেন তিনি, এবং প্রতিটিই ছোট গল্পের আকারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রতিটি গল্পেরই একেকটি স্টার্টআপ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

image


বইটির প্রকাশক সংস্থা ব্লুমবারি। রবি জানালেন, “এই বইয়ে বর্ণিত ব্যবসার সম্ভাবনাগুলিকে বাস্তবায়িত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে, এবং এ বিষয় তাঁরা উত্সাহও দেখিয়েছেন”।

বিভিন্ন অংশ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে রবি নওয়ালের ইন্ডিয়া ক্যান। এর মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্ক কর্তা ও উদ্যোগের দুনিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম দীপক পারেখ, ইনফোসিসের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ও UIDAI এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি, কেলগ স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের প্রাক্তন ডিন দীপক সি জৈন। পারেখ বলেন, “বইটিতে খুবই সহজভাবে অভিনব সব ব্যবসার পরিকল্পনা রয়েছে যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে এবং ভারতের পরিবর্তনে সহায়ক হবে। ২১টি গল্পই সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনের গল্প বলে। এখানে প্রতিটি চরিত্রই সত্যিকারের উদ্যোগপতি যারা ভারতের শুভ পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর”। এইচডিএফসি-এর হাউসিং ফিন্যান্সের চেয়ারম্যান পারেখ আরও বলেন, “প্রথম বইতেই নওয়াল নতুনযুগের লেখক হিসেবে নিজের ছাপ রেখেছেন এবং যারা ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে বিশ্বাস করেন তাদের প্রত্যেকের এই বইটি পড়া উচিত”।

নিলেকানি বলেন, “ভারতের একশো কোটি জনগণের আকাঙ্খা যে প্রচলিত ব্যবসা পদ্ধতিতে মিটবে না তা আপাতত পরিস্কার, এরজন্য প্রয়োজন অভিনব ধারণা ও পরিকল্পনা। রবি তাঁর বইয়ে নানা এরকম ধারণার সন্ধান দিয়েছেন, এইগুলি নিয়ে তর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং তার বাস্তবায়ন দরকার”।

সাসিন গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বর্তমান ডিরেক্টর দীপক সি জৈন বলেন, “উন্নয়নের মূলমন্ত্র অভিনবত্ব। প্রত্যেকের পাঠযোগ্য ছোট গল্পের সংকলন হিসেবে ভারতের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলার পথ হিসেবে ইন্ডিয়া ক্যান সত্যিই একটি অভিনব উদ্যোগ, আমি আশা করব এটি গুরুত্বের সঙ্গে সাফল্য পাবে”।

লেখক বিশ্বাস করেন প্রভাব বিস্তারের একটি শক্তিশালী অস্ত্র লেখা। বললেন, “সমস্যার তাত্ত্বিক আলোচনা ও পাঠ্য বই সুলভ সমাধানে আমি বিশ্বাসী নই। আমি কোনো গুরুগম্ভীর বই লিখতে চাইনি, আমি চাই সাধারণ মানুষ আমার বই পড়ুক”।