১০০ টাকার নোট নিয়ে RBI এর নির্দেশিকা বিফলে
Friday November 25, 2016,
2 min Read
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরনো ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোট বাতিলের পরে সারা দেশে ত্রাহি ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ নোট বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে সারা দেশজুড়ে অসংখ্য সাধারণ মানুষ দারুণ ভোগান্তির শিকার। ব্যাঙ্কগুলিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টার লম্বা লাইন। এ দি্কে পুরনো টাকা জমা দিয়ে নতুন যে ২০০০ টাকার নোটগুলি মিলছে, তাতে কাজ চলছে না। কেননা বাজারে ২০০০ টাকার নোট ভাঙিয়ে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা যাচ্ছে না। দোকানিরা খুচরো দিতে চাইছেন না। ফলে নোট বাতিলের জেরে পরিস্থিতি সবদিক দিয়েই খারাপ।
এর পাশাপাশি তথৈবচ অবস্থা এটিএমগুলিরও। এটিএমগুলির সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ছে। বহুক্ষেত্রে এটিএমে টাকাও নেই। কোথাও কোথাও শাটার নামানো। এখনও দুসপ্তাহ পরেও টাকার এই ক্রাইসিস। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরিশ্রমের পরে আচমকা শুনতে হচ্ছে, এটিএমে টাকা নেই। সব মিলিয়ে হতাশার একশেষ। সময় নষ্ট আর মনের কষ্ট।
তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা কিন্ত অন্যরকম ছিল। যাতে গ্রাহকরা বিপদে না পড়েন, সে জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত দোসরা নভে্ম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করে বলে জানা গিয়েছে। ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, সারা দেশের ২০ হাজার এটিএমের ভিতর অন্তত ১০ শতাংশ এটিএমে যেন ১০০ টাকার নোট রাখা হয়। বলাবাহুল্য, গ্রাহকদের সুবিধার্থে এই নির্দেশিকা জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
ক্লিন নোট পলিসি বাস্তবায়িত করতে রিজার্ভ ব্যা্ঙ্ক ওই নির্দেশিকা জারি করলেও কার্যত তাতে কাজের কাজ তেমন কিছুই হয়নি। বহু এটিএম রীতিমত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তার ওপর ১০০ টাকার নোটের তো একরকম আকাল পড়ে গিয়েছে। এদিকে খুচরো ব্যবহারের জন্যে বাজারহাটে লোকে সাধারণত ভরসা করেন ১০০ টাকার নোটের ওপরই। ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রধানদের ওই নির্দেশিকাটি পাঠিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সারা দেশে মোট এটিএমের সংখ্যা ২ লক্ষ। এ ক্ষেত্রে মোট কটি ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই নির্দেশিকা মেনে কাজ করেছে, সে খবরও এখনও জানা যায়নি।