দরিদ্র মেধাবীদের পাশে ৬১ ‌বছরের কুমারী শিবুলাল

দরিদ্র মেধাবীদের পাশে ৬১ ‌বছরের কুমারী শিবুলাল

Monday December 12, 2016,

2 min Read

কুমারী শিবুলাল কেরলের কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন। লেখাপড়ার মর্ম টের পান ছোটবেলাতেই। পরে তিনি কেরল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি করেন। লেখাপড়ায় বেশ ভালোই ছিলেন।

image


বিদ্যোত্সাহী কুমারী শিবুলাল এখন দুটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯৯ সালে Sarojini Damodaran Foundation এবং ২০০৪ সালে Advaith Foundation এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন কুমারী শিবুলাল। এছাড়াও বর্তমানে তিনি Samhita Academy নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যা। এই সংএস্থাটির প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৭ সালে।

জীবনের অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন কুমারী। স্বামী এসডি শিবুলাল ছিলেন Infosys এর প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও। এই সংস্থাটিকে প্রথম দিকে টিঁকে থাকার জন্যে খুবই লড়তে হয়েছে। সেইসময় নিজের মঙ্গলসূত্রটিও বন্ধক রাখতে হয়েছিল কুমারীকে।

বিয়ের পর কুমারী কিছুদিন মুম্বইয়ে ছিলেন। পরে স্বামীর সঙ্গে চলে যান আমেরিকায়। এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জননী তিনি। আমেরিকা থেকে পাকাপাকিভাবে ভারতে ফেরার পরে মেয়ের জন্ম হয় বলে জানালেন।

Sarojini Damodaran Foundation নামের সংস্থাটি দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের লেখাপড়া চালাতে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। কেরল ও কর্নাটকের বাসিন্দা মেধাবী বহু ছাত্রছাত্রীকে সংস্থার তরফে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ৫০০০ মেধাবী পড়ুয়া স্কলারশিপ পেয়েছেন।

কুমারী জানালেন, স্কলারশিপ পাওয়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ভিতর অনেকেই পরবর্তীকালে ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কিংবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরে তাঁরাও এগিয়ে এসেছেন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তায়।

The Samhita Academy নামে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ট্রাস্টি হিসাবে কাজ করছেন কুমারী – ওই সংগঠনের তরফে অবহেলিত ও দরিদ্র ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালানোর জন্যে নিজস্ব স্কুল গড়া হয়েছে। কুমারী বললেন, ওদের একছাদের নীচে এনে লেখাপড়া করানো গেলে তা সব দিক দিয়ে মঙ্গলের। সেই উদ্দেশেই স্কুল গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ ভারতে এই সংগঠনের নিজস্ব স্কুলের সংখ্যা এখন ৫টি।

৬১ বছর বয়সেও একজন অক্লান্ত ও প্রাণবন্ত স্বেচ্ছাসেবী কুমারী শিবুলাল। তিনি জানালেন, দরিদ্র মেধাবী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্যে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও তাঁর সংগঠনের তরফে অদূরভবিষ্যতে এ ধরনের স্কুল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।