অঙ্কুশের মুকুটে পালক গুজলেন শাহরুখ খান

অঙ্কুশের মুকুটে পালক গুজলেন শাহরুখ খান

Saturday May 28, 2016,

2 min Read

কলকাতার ছেলে অঙ্কুশ নন্দীর জয়যাত্রার গল্পটা আগেই আপনাদের বলেছি। এবার ওর মুকুটে পালক গুঁজে দিলেন খোদ বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। কীভাবে? আজ সেগল্পই শুনব।
image


ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যানিমেশন অ্যান্ড কার্টুন ফিল্ম ফেস্টিভালের আয়োজন করেন অঙ্কুশ। গত বছর দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছিল এই উদ্যোগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক অ্যানিমেটর এতে অংশগ্রহণ করেছিল। এবার দ্বিতীয় দফায় অ্যানিমেশন ফেস্টিভালের আয়োজন করেছে অঙ্কুশদের সংস্থা PSSAMTEK MEDIA LIMITED, সারা পৃথিবী থেকে ওঁদের কাছে আসা ৫০ থেকে ৬০টি ছবির ভিতর গোটা কুড়ি ছবিকে বেছে নিয়ে ফেস্টিভালে দেখানো হয়। ফেস্টিভালে দেখানোর জন্যে নিজেদের তৈরি ছবি পাঠিয়েছিলেন ফ্রান্স, ইজরায়েল, চায়না, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের অ্যানিমেটররা। অঙ্কুশ বললেন, গত বছরের ফেস্টিভালে কান্ট্রি থিম ছিল ইজিপ্ট, ইজরায়েল আর ফ্রান্স। যৌথভাবে। আর এবছর কথা চলছে কোরিয়ার সঙ্গে। দূতাবাসের সায়ের অপেক্ষা। সেই কাহিনিও আমরা আপনাদের আগেই শুনিয়েছিলাম। কিন্তু কাহিনির ট্যুইস্টটা বরং আজ পড়ুন।

আগেরটি পড়তে ক্লিক করুন।

আজ জানাবো কিভাবে এগোচ্ছে গোটা প্রক্রিয়া, কাদের কাদের সঙ্গে পাচ্ছেন অঙ্কুশরা। ইতিমধ্যেই ওদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে শাহরুখ খান, গৌরি খানের সংস্থা রেডচিলিস। redchillies.vfx কার্টুন অ্যানিমেশনের দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দেওয়া সংস্থা। অঙ্কুশদের ফেস্টিভাল এবং প্রতিযোগিতায় প্লেসমেন্ট পার্টনার হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন ওঁরা। এর ফলে এই ইন্টারন্যাশনাল কার্টুন অ্যান্ড ফিল্ম ফেস্টিভালে যারা ভিডিও এফেক্টস্‌ ক্যাটাগোরিতে নাম দেবেন তাদের মধ্যে বাছাই করা প‌্রথমসারির কয়েকজনকে কাজ কিংবা ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে রেডচিলিস। শাহরুখ খানের এই সংস্থাই রা ওয়ান, ক্রিশ থ্রি এবং ফ্যানের মত ছবিতে ভিডিও এফেক্টসের কাজ করেছে। ফলে দেশের একনম্বর সংস্থায় কাজ করার সুযোগ আসতে পারে এই অ্যানিমেশন ফেস্টিভালের মারফত।

এছাড়াও সুভাষ ঘাইয়ের ফিল্ম ট্রেনিং সংস্থা হুইসলিং উডের সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি হয়েছে অঙ্কুশদের। জয়ী এবং বাছাই করা কিছু প্রতিযোগীকে হুইসলিং উডে কম খরচে ফিল্ম নিয়ে পড়াশুনো করার সুযোগ করে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে। ফলে ইতিমধ্যেই দেশের দুটি প্রধান সংস্থার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চলা শুরু করে দিয়েছে হাতি বাগানের অঙ্কুশ।

কলকাতার ছেলে, কলকাতাতেই বড় হয়ে ওঠা, বাবার লড়াই, স্বপ্ন দেখা, তাহলে কলকাতা থেকেই নয় কেন গোটা কর্মকাণ্ড! জিজ্ঞেস করায় বলছিলেন কলকাতাকে ছেড়ে নয়, বরং কলকাতাকে নিয়েই সব ভাবনা ঘুরপাক খায়। কিন্তু কাজের যোগাযোগ, পরিকাঠামো, গ্রহণযোগ্যতা, আধুনিকতার প্রশ্নে দিল্লি, নয়ডা, গুরগাঁও, মুম্বই, পুনে, ব্যাঙ্গালুরু এসব শহর এগিয়ে থাকে। দিল্লির স্কুলে স্কুলে ঘুরে পড়াশুনোর পরিধির ভিতর ইতিমধ্যেই কার্টুন অ্যানিমেশনকে জায়গা করিয়ে দিতে পেরেছেন অঙ্কুশ। অন্যান্য জায়গাতেও দারুণ সাড়া পেয়েছেন। কিন্তু কলকাতায় একটা কোনও কাজ করতে গেলে প্রচুর ঠেলতে হয়। ঠেলা গাড়ির শহর নিয়ে উষ্মা, অভিমান আর মিশ্রিত আবেগ নিয়ে কলকাতার অঙ্কুশ ডালপালা মেলছেন গোটা ভারতে। ভারত ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বকে একমঞ্চে নিয়ে আসার লক্ষ্যে অবিচল। আর এরকম তরুণ তুর্কীদের হারালে মন ফাঁকা ফাঁকা লাগে বিচলিত কলকাতার।