ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে চাপ তৈরি করছে সিওল

ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে চাপ তৈরি করছে সিওল

Thursday January 18, 2018,

2 min Read

ক্রিপ্টোকারেন্সির বাড়াবাড়ি কপালে ভাঁজ ফেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসনের। বছরের শুরুতেই তাই সেদেশের জাস্টিস মিনিস্টার পার্ক স্যাঙকির ঘোষণা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যে কোনও রকমের ব্যবসা বন্ধ করতে বিল আসছে শিগগিরই।
image


স্যাঙকির ঘোষণার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম পড়ছে। ২০ হাজার মার্কিন ডলার থেকে বিটকয়েনের দাম পড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার মার্কিন ডলারে। গোটা দুনিয়া জুড়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ক্রিপ্টোকয়েন, বিটকয়েন, ইথোরিয়ামের বড় বাজার দক্ষিণ কোরিয়া। একটা হিসেব বলছে সারা বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের ২০ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়াতেই রয়েছে। ব্যান করা হতে পারে খবর চাউর হতেই বিটকয়েন ১২ শতাংশ এবং ইথেরিয়াম ৮৮ শতাংশ দাম কমেছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বাজারেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিটকয়েন। ওমনিটেলের শেয়ার পড়েছে ৩০ শতাংশ, ভিদেন্তে ২৯.৯৬ শতাংশ, ডিজিটাল অপটিকস ১৩.৭ শতাংশ এবং কেপিএম টেক ৫.৪৮ শতাংশ শেয়ার পড়েছে। যদিও HK/SIN, ক্রিপ্টোকারেন্সি সামান্য রিকভার করে।

খুব একটা খোলসা না করলেও স্যাঙকি তাঁর প্রেস স্ট্যাটমেন্টে জানিয়েছেন, ‘ভার্চুয়াল কারেন্সি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি অর্থাৎ ডিজিটাল টাকা। চোখে দেখা যায় না অথচ আছে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন এই ভার্চুয়াল কারেন্সিতে। যার কোনও আয়কর হয় না। সরকারিভাবে যার কোনও হিসেবে থাকে না। আর তাই দক্ষিণ কোরিয়ার জাস্টিস মিনিস্ট্রি এই ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য বিল তৈরি করছে’। ২৯৭ সদস্য বিশিষ্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বেশিরভাগ ভোট লাগবে এই বিলকে আইনে পরিনত করতে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক মাসও লাগতে পারে। আবার বছরের পর বছরও কেটে যেতে পারে। নির্ভর করছে কীভাবে ইস্যুটা দেশের মানুষ গ্রহণ করছেন।

বড় বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকাটা স্বাভাবিক, বিশেষ করে জুয়া জাতীয় খেলায় লেনদেনে। ‘কোরিয়ায় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বাড়াবাড়ি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। সরকার এটা বেশিদিন চলতে দিতে পারে না’,এক বিবৃতিতে বলে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ক্রিপ্টোকারেন্সি সমস্যার মূল খুঁজতে টাস্কফোর্স গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ২০১৭ র শেষে ক্রিপ্টোকারেন্সির খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলে। এর ফলে সরকার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যেয় অশান্তি তৈরি হয়। দক্ষিণ কোরিয়া এমন উদাহরণ তৈরি করেছে যা অন্য দেশগুলিকেও বাধ্য করবে পদক্ষেপ করতে।

সম্প্রতি অবশ্য সেদেশের অর্থমন্ত্রী কিম ডং ইয়নের কথায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যান করা নিয়ে মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস যা ভাবছে আমরা তার সঙ্গে একমত নই’, বলে দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের সত্যতা মেনে সিএনএনের এক সাংবাদিক জোসেফ ইয়ং জানান, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে এখনই ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না। এখনও কিছু চূড়ান্তই হয়নি।’