ক্লাশ আই কিউ এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন। কলকাতার স্টার্টআপ। এবছর আইআইএম কলকাতা এবং টাটা সোশ্যাল আন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ চ্যালেঞ্জের শীর্ষ বাছাইয়ের তালিকায় রয়েছে। সমাজ গঠনে এর থেকে গঠনমূলক কাজ বিশেষ একটা হয় না। গ্রামের পাঠশালার ঘরকে স্মার্ট ক্লাসরুমে বদলে দিয়েছে এই সংস্থা। শুধু কি তাই বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে এই স্টার্টআপ।
আক্ষরিক অর্থেই সাদামাঠা ক্লাশরুমগুলি আই কিউ স্মার্ট ল্যাবে বদলে গিয়েছে। এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হয়েছে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের। এখানে ছাত্রছাত্রীদের এমন পদ্ধতিতে ক্লাশ করানো হচ্ছে, যাতে তাঁরা শেখার সময় মজা পায়।
ক্লাশ আই কিউ মনে করে, ছাত্রছাত্রীদের মজাদারভাবে শেখানো গেলে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে তা সহায়তা করে থাকে। সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, পুরনো শিক্ষাপদ্ধতি ও আধুনিক যুগের শিক্ষাপদ্ধতির ভিতর সংযোগস্থাপনের কাজটিও চালাচ্ছে ওরা।
ইতিমধ্যেই স্কুলস্তরে কাজ চালাচ্ছে ক্লাশ আই কিউ। এর ভিতর রয়েছে অ্যাকটিভিটি বেসড লার্নিং ও স্কিল বেসড লার্নিং। এছাড়া, নিয়মিতভাবে এই সংস্থা ট্যালেন্ট সার্চ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করে থাকে। এছাড়া, ভিডিও-র মাধ্যমেও ক্লাশ করানো হয়ে থাকে।
বেশি বেশি সংখ্যক স্কুল ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষিত করার জন্যে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প নিয়েছে এই সংস্থা। গত ১২ মাসে ১৬৪টি গ্রামীণ স্কুলে প্রকল্পটির পাইলট রান করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এতে অংশগ্রহণকারী স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫০৯ জন।
এছাড়া আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি জেলার স্কুলগুলিতে এই সংস্থা কাজ চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে নেওয়া হয়েছে একটি অভিনব উদ্যোগ। সেটি হল স্থানীয় স্তরে শিক্ষাক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলি আছে এর মোকাবিলায় বেকার যুবক-যুবতীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ৮৪ জন কর্মহীন শিক্ষিত যুবক-যুবতীকে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের ভিতর নেতৃত্বদানের ক্ষমতা জাগিয়ে তোলা হচ্ছে।