নিখিলের ফ্যাশন নিয়ে কলকাতায় Communism

নিখিলের ফ্যাশন নিয়ে কলকাতায় Communism

Thursday August 31, 2017,

2 min Read

ঘর সাজানোয় পরিপাটি হলে ফেলে দেওয়া জিনিসেও ঘর সাজিয়ে তোলা যায়। বেড়ার ঘরে যখন আলো ঢোকে। তখন সেটাও সুন্দর লাগে। কিন্তু যারা মনে করেন গৃহসজ্জা আসলে মর্যাদার প্রতীক তারা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার খোঁজেন। ব্র্যান্ডেড লিনেন দিয়ে সাজিয়ে তোলেন ঘর। বাজারের সেরা সোফা, সেরা কুশন, সব থেকে আকর্ষক বেডশিট, শোপিস, দিয়েই ঠিকরে বেরয় সেসবের মালিকের অভিজ্ঞান। কিন্তু তামাম কলকাতা ছেঁচে একটা দুটো পেলেও, গৃহ সজ্জার ব্র্যান্ডের বড়ই অভাব। হয় ইম্পোর্ট করতে হয় না হয় ব্র্যান্ডেড জিনিসের যমজ নকল দিয়ে কাজ চালাতে হয়। সব মনের মতো পাওয়া যায় কই!

image


কলকাতাবাসীর সেই খেদ মেটাতে তিনদিনের জন্য ‘কমিউন ইন্ডিয়া’ নিয়ে শহরে হাজির হলেন কলকাতারই ছেলে, তরুণ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং ফ্যাশন স্টাইলিস্ট নিখিল মানসাটা। পার্কের গ্যালাক্সিতে ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট হয়ে গেল ‘কমিউন ইন্ডিয়া ফার্স্ট এডিশন’।

একই মানসিকতার ছাপ রয়েছে এমন সব ব্র্যান্ডকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছেন। ব্র্যান্ডগুলি মান বজায় রাখায় চেষ্টা করেছেন। সব ব্র্যান্ড বেশ উঁচু দরের আর বিলাসবহুল।

মা অনিতা মানসাটা কলকাতার স্বনামধন্য ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। নিজের আর্কিটেকচারাল ফার্ম আছে। গত ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। লাইক মাদার লাইক সান। ছেলে নিখিল মানসাটা আপাতত মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। কিন্তু শেকড়ের টানে বারবারই কলকাতায় ফিরে আসেন। এবার মায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে কলকাতায় নিয়ে এলেন ‘কমিউন ইন্ডিয়া’র ফার্স্ট এডিশনের মত একজিবিশন। মা—ছেলে দুজনেই মনে করেন, হাল ফ্যাশনের হোম ডেকর এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ড কলকাতায় নিয়ে আসার সময় হয়েছে। সেই মতো নিখিল নিজের পছন্দের কিছু নামজাদা ব্র্যান্ড নিয়ে করে ফেললেন তিন দিনের ‘কমিউন ইন্ডিয়া এডিশন ওয়ান’। ডিজাইনার লেবেল Péro, ভেলভেট রিবনের স্টেশনারি, আমান খান্নার তৈরি ভাস্কর্য আনা হয়। পোশাক থেকে এক্সেসরিজ, সিরামিক, মোমবাতি, স্টেশনারি সবকিছুই ছিল।

কমিউন ইন্ডিয়া কলকাতা তো সবে শুরু। এরপর সারা দেশে এমনকি বিদেশেও একই আইডিয়া নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার কথা ভাবছেন এই তরুণ ফ্যাশন স্টাইলিস্ট। ১৭ বছর বয়সে প্রথম ইন্টার্নশিপ করেন এবং তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাননি। ছাত্রাবস্থাতেই একটি ব্রিটিশ পাবলিকেশনের কভার শুট স্টাইলের সুযোগ পান, আজও তাঁর কাছে সবচেয়ে সুখকর সেই অভিজ্ঞতা। এমন পরিবারে বড় হয়েছেন যেখানে মাকে সবসময় ডিজাইন করতে দেখেছেন। মায়ের সেই সৃজনশীলতা তাঁকে উৎসাহ যুগিয়েছে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলের এই ছাত্র যান লন্ডন। ইতালীয় ফ্যাশন স্কুল ইনসস্টিটিউটো মারিনগোনিতে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং স্টাইলিশ হওয়ার পাঠ নেন। ৩ বছরের প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন ম্যাগাজিন যেমন রাশিয়ান ভোগ, টেটলার, গ্ল্যামারে কাজ করেন। ২০১০ এ ভারতের ভোগ—এর সঙ্গে জুড়ে যান। কাজ করেন বছর খানেক। সেই সময় থেকে নিজের ব্যবসা শুরু। ফ্রি-ল্যান্স ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর এবং ফ্যাশন স্টাইলিস্ট হিসেবে কাজ চলতে থাকে। নিজের নামেই রেখেছেন সংস্থার নাম, নিখিল মানসাটা।