নেট নিউট্রালিটি: মার্চের আগেই জল্পনা শেষ হোক, চায় TRAI

নেট নিউট্রালিটি: মার্চের আগেই জল্পনা শেষ হোক, চায় TRAI

Friday January 13, 2017,

2 min Read

নেট নিউট্রালিটি নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্টেক হোল্ডার, ইন্টারনেট প্রোভাইডারের মতামত নেবে টেলিকম রেগুলেটরি সংস্থা ট্রাই। নেট নিউট্রালিটি হলে আমার আপনার অর্থাৎ আম আদমিক কীসে লাভ সেটাও ঠাহর করতে সময় লেগে যাচ্ছে কেন্দ্রের। মার্কিন মুলুকে নেট নিউট্রালিটি নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনার পর ফেডারাল কমিউনিকেশন কমিশন ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে একটি পলিসি পেপার প্রকাশ করে জানিয়েছিল কোনও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোনও সংস্থা বা কোনও ওয়েবসাইটকে আলাদা করে কনটেন্ট ডাউনলোডের জন্যে অগ্রাধিকার দিতে পারবে না। তারমানে কনটেন্ট বা ডেটা আপলোড বা ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সকলেরই সমানাধিকার থাকবে।

image


নেট নিউট্রালিটি নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক চলছে এদেশেও। সম্প্রতি এ বিষয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বা ট্রাই সম্প্রতি একটি কনসালটেশন পেপার প্রকাশ করেছে। এ ধরনের কনসালটেশন পেপার এর আগেও একবার ট্রাই-এর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়। এটি দ্বিতীয় ধাপ। ট্রাই সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে যে কনসালটেশন পেপারটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে কয়েকটি প্রসঙ্গ জানতে চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি কার্যকর করার আগে ট্রাই রেগুলেটরদের দৃষ্টিভঙ্গি জেনেবুঝে নিতে চাইছে। যেমন, জানতে চাওয়া হয়েছে, ভারতে নেট নিউট্রালিটির চালু করতে হলে রেগুলেটররা সবচেয়ে কার্যকরী উপায়গুলি হিসাবে কী কী মনে করছেন।

এই সব দেখেশুনেই ট্রাই তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে এও দেখে নেওয়া হবে, নেট নিউট্রালিটি কার্যকর ‌করা এবং তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কাদের হাতে ন্যস্ত করা যেতে পারে। গত বছরের মার্চ মাস থেকেই‌ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। বিষয়ের জটিলতা অনুধাবন করেই ট্রাই-এর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কনসালটেশন করা হবে দুটি ধাপে। গত বছরের মে মাসে প্রথম কনসালটেশন পেপারটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে রেগুলেটরদের তরফে কয়েকটি প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে – যেগুলি গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উত্থাপিত ওই বিষয়গুলির পর্যালোচনা করছে বলে খবর। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে কনসালটেশন পেপারে বেশ কিছু ইনপুটও দেওয়া হয়েছে। তবে ইনপুটগুলি কী, তা জানা না গেলেও প্রতিটি ইনপুটই অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, এগুলি বিশদে পর্যালোচনার পরে নেট নিউট্রালিটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।

২৮ ফেব্রুয়ারির আগে বিষয়টি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। এর আগে রেগুলেটরদের সঙ্গে আবারও আলোচনা করা হবে। জানতে চাওয়া হবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া। প্রসঙ্গত, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার নীতি রূপায়ণে সরকারের তরফে নেট নিউট্রালিটি চালু করাটা এখন অন্যতম জরুরি কাজ।