আচ্ছা ভাবুন তো, হঠাৎই একদিন অফিস যাওয়ার সময় আপনাকে আর ঠেলতে হলো না ট্রেন,বাস, ট্রামের ভিড়। সহ্য করতে হলো না দীর্ঘ ট্রাফিক জামে ফেঁসে থাকা অন্য প্যাসেঞ্জারের ঘামের দুর্গন্ধ। আপনি আপনার বাড়ির ছাদ থেকেই ড্রোনে চড়ে হুস করে পৌঁছে গেলেন অফিসে। কেমন হবে? শুনতে বেশ মজা লাগছে, তাই না? ভাবছেন এও কি সম্ভব? হুঁ হুঁ দাদা, সম্ভব। চীনে শুরু হয়ে গেছে, কলকাতাও বেশি দূরে নেই।
EHang এক চীনা ফার্ম। পৃথিবীতে তারাই প্রথম প্যাসেঞ্জার ড্রোন EHang 184 বানিয়েছে। ড্রোনটি এ বছর আমেরিকার নেভাদায় পরীক্ষা করা হবে। এ বছর জানুয়ারিতে, লাস ভেগাসের কনভেনশন সেন্টারে CES গেজেট শো চলাকালীন Guangzhou বেসড Ehang সংস্থা তাদের EHang 184 মডেল থেকে পর্দা তোলে।
একটি রিপোর্ট বলছে, কোম্পানির একটি ভিডিও তে 184 কে উড়তে দেখা গেছে। মনে হচ্ছে একটি ছোট্ট হেলিকপ্টার। অন্যান্য ড্রোনের মতোই এর কনফিগারেশন। চারটি প্রপেলার। Ehang থেকে বলা হচ্ছে ড্রোনটি দুঘন্টায় পুরো চার্জ হয়ে যায়। ১০০ কিলো ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম ২৩ মিনিট। এয়ার কন্ডিশানড কেবিনে ছোট ব্যাকপ্যাকসহ একজন আরাম করে সফর করতে পারবেন। কেবিনে রিডিং লাইটও আছে। সিঙ্গেল পার্কিং স্পটে প্রপেলার ফোল্ড করে এটিকে পার্ক করা যাবে।
উড়বার জন্য তৈরি হয়ে প্যাসেঞ্জারকে দুটি নির্দেশ দিতে হবে- “take off” এবং “land”। ট্যাবলেটে সিঙ্গেল ক্লিক করেই কাজ হয়ে যাবে। ড্রোনটি জমি থেকে ১০০০-১৫০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ১১,৫০০ ফুট খাড়াইয়ে এটি প্রতি ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার টপ স্পিডে ওড়ে। অফিসের ব্যস্ততার সময়ে আর ট্রাফিক জামে এই দুর্দান্ত ড্রোন ট্যাক্সির কথা আপনারা ভাবতেই পারেন।