User-এর সমস্যা মিটলেই বিনিয়োগ আসবে - নিকেশ অরোরা

User-এর সমস্যা মিটলেই বিনিয়োগ আসবে - নিকেশ অরোরা

Sunday January 17, 2016,

3 min Read

হয়তো ঘটনাটা আপনাদের মনে আছে। কয়েকমাস আগের কথা। একজন ভারতীয় একটি জাপানি সংস্থার সাথে যুক্ত হবার পরই সেই সংস্থা তাদের সুদের হার এবং ভারতে তাদের বিনিয়োগ - দুটোই বাড়িয়ে দেয়। জাপানি সংস্থার নাম সফটব্যাঙ্ক, এবং মানুষটি হলেন নিকেশ অরোরা। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়ার ইভেন্ট চলাকালীন একটি আলোচনাপর্বে সফটব্যাঙ্ক সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং সিওও এই নিকেশ অরোরা এমন কিছু বিষয় উত্থাপন করেন, যেগুলি ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য রীতিমত প্রাসঙ্গিক। ওনার বক্তব্য থেকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দশটি অংশ আমরা তুলে দিলাম -


image


ভারত কেন ওনার সবথেকে পছন্দের জায়গা -

“১৮ মাস আগে মাসায়োশিতে যুক্ত হবার পর আমরা আগামীদিনে বিশ্বের কোন অংশকে বাজার হিসাবে বেছে নেব, সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম। এবং কাকতালীয় ভাবে ঠিক সেইসময়ই ভারতের সরকার বদল হয়, এবং ভারতে স্টার্টআপ সিস্টেম ও স্মার্টফোনের ব্যবসায় জোয়ার আসে। আগামী ১০-১৫ বছরের জন্য এই পরিসরের নিরীখে ভারত রীতিমত সম্ভাবনাময়”।

ঊবার এর সিইও ট্রাভিস কালানিকের সাথে একই সুরে তিনি সবথেকে ভালো বিনিয়োগস্থল হিসাবে বে এরিয়া, বেজিং ও বেঙ্গালুরুর কথা উল্লেখ করেন।


স্টার্টআপের শিক্ষা –

”শিক্ষা বলতে গেলে এটাই যে, বড় সংস্থা হোক, বা স্টার্টআপ, কিংবা স্টার্টআপ থেকে গড়ে ওঠা বড় সংস্থা – সমস্তক্ষেত্রেই একটা জিনিস দেখা যায়; যারা বড় কিছু করতে চায়, যেসব সংস্থা বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে চায়, তাদের সাফল্যের হার সবসময় এদিকওদিক থেকে কেবলমাত্র বিনিয়োগ খুঁজে চলা মানুষদের থেকে অনেক বেশি।”


সংস্থা বাছাই করবেন কিভাবে?

. “স্টার্টআপ, টিম, বিনিয়োগ ও অন্যান্য হাজারো বিষয় নিয়ে সারাদিনই আলোচনা চলছে। আমার মনে হয় যে শুধুমাত্র বিনিয়োগ যোগাড় করা নিয়ে না ভেবে কিভাবে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো যায়, সেই দিকে বরং মনোনিবেশ করা উচিত।” ওনার পরামর্শ এই যে উদ্যোক্তারা বরং উপভোক্তাদের সমস্যা মেটানোর দিকে নজর দিন, আর তাতে সফল হলে আপনা থেকে বিনিয়োগ এসে যাবে।


প্রসঙ্গ শিক্ষা –

“সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় হল শিক্ষা। প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় বদল আনতে পারি। কিন্তু এ ধরনের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যপক সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সেইজন্যই এর রুপায়ণ একটু কঠিন।”


পলিসি প্যাকেজ থেকে প্রত্যাশা –

“আমি বিশ্বাস করি যে আমরা কিছু সাফল্য পেয়েছি। সরকারের বিভিন্ন অংশ থেকে এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষকে আমরা একটা সাধারণ মঞ্চে আনতে পেরেছি এবং ওনারা সকলেই আজ একজায়গায় এসেছেন একটি সাধারণ বিষয়কে উদ্দেশ করার জন্য। সামনে এখনো অনেকটা পথ চলা বাকি। তবে হ্যাঁ, প্রথম লড়াইটায় আমরা জিততে পেরেছি,” বললেন নিকেশ।


সফটব্যাঙ্ক সৌরশক্তি প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে -

“অন্যান্য শক্তির বদলে সৌরশক্তির ব্যবহার প্রচলন করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে ভারতের।” এর সাথে উনি আরো যোগ করলেন এই লক্ষ্যে ভারত সরকার খুবই ভালো কাজ করছে।


‘মায়ায়োশি সন’ এর মত নিকেশও ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বিষয়ে আগ্রহী-

“আমরা‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু প্রশ্ন হল, এতে আমরা বিনিয়োগ করব কিভাবে?


সেই চিরাচরিত প্রশ্ন – পণ্যক্ষেত্রের তুলনায় কি পরিষেবাক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি?

“ভারতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এখন সবে গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ফলে আমাদের সবার উপরই দায়িত্ব বর্তায় যত্নের সাথে এই পরিসরে কাজ করার। ২০১৫ টা ছিল ভ্যালুয়েশান এবং বেশ কিছু খারাপ ঘটনার বছর। এইবছর কিছু কাজ দেখা যাবে।”


ভ্যালুয়েশানের বাজার কি খারাপ?

“বড় সংস্থাগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে এবং ছোটো সংস্থগুলি দ্রুতই উঠে যাবে।”


ডিপ-ডিসকাউন্ট মডেল আর কতদিন চলবে?

“আমরা চাই যে আমাদের গ্রাহকের অভিজ্ঞতা যেন ভালো হয়। সমস্ত সংস্থাকে আমি পরামর্শ দেব যে আপনারা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার দিকটা নজর দিন। এবং গ্রাহকরা কাকে বেছে নেবে সেরা সংস্থা হিসাবে, সেটা আমরা তাদের উপরই ছেড়েছি।”



লেখক - তৌসিফ আলম

অনুবাদ - সন্মিত চ্যাটার্জী