অনলাইন চর্মরোগ চিকিৎসায় নয়া দিগন্ত ‘মাইডারমেসি’

অনলাইনে চর্মরোগ চিকিৎসার এক নয়া দিক খুলে দিয়েছে ‘মাইডারমেসি’। অন্তত ১৫০ জন ডাক্তার রয়েছেন রোগীদের স্বার্থে। ‘টেলি রেডিওলজি’ এবং ‘টেলি ডারমাটোলজি’র সুবিধে রয়েছে এখানে।

অনলাইন চর্মরোগ চিকিৎসায় নয়া দিগন্ত ‘মাইডারমেসি’

Sunday September 27, 2015,

2 min Read

চর্মরোগ এমনই অসুখ, যা নিয়ে মানুষ কোনোদিনই খুব একটা চিন্তিত নয়। যার ফলে ডাক্তারের কাছে যেতেও তাঁদের প্রবল অনিহা। আর বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের যুগে সব কিছু হাতের নাগালে পাওয়ার ‘বদভ্যাস’ মানুষকে গ্রাস করেছে। সাধারণের ঠিক এই মনোভাবকে কাজে লাগিয়েই চর্মরোগ চিকিৎসার এক নয়া দিক খুলে দিয়েছে দিল্লির ‘মাইডারমেসি’। একটা ফটো তুলে পাঠিয়ে দিলেই নিমেষে মিলছে সঠিক চিকিৎসা।


image


‘মাইডারমেসি’র প্রতিষ্ঠাতা অঙ্কিত ওহিয়ো-র কেস ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বাওমেডিক্যাল-এর স্নাতক। প্রায় দশবছর চর্মরোগের বিভিন্ন বিষয় তিনি ব্যস্ত ছিলেন। বিভিন্ন চর্মরোগ-চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় তাঁর ব্যবসা শুরু করতে সুবিধা হয়েছে। অপর এক প্রতিষ্ঠাতা কুবের কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের স্নাতক। কুবের এই ব্যবসার বিজনেস ম্যানেজমেন্টের দিকটি দেখেন।

২০১৩ থেকেই ‘মাইডারমেসি’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। অঙ্কিত এবং কুবের চেয়েছিলেন এমন একটা ‘ই-কমার্স’ ওয়েবসাইট খুলতে, যা চর্ম, চুল এবং বিভিন্ন যৌনরোগের চিকিৎসা করবে। নিজেদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে ২০১৫ সালের মে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচে ‘মাইডারমেসি’ খোলা হয়।

২০১৪ সালের ‘ফ্রোস্ট অ্যান্ড সুলিভান’-এর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে চর্মরোগীর সংখ্যা এসে দাঁড়াবে ১৯ কোটি। সেখানে মাত্র সাতহাজার ডাক্তার রয়েছে ভারতে। ঠিক এই অভাবটাই পূরণ করতে চেয়েছে ‘মাইডারমেসি’ । রোগীদের উত্তর দিতে এই ওয়েবসাইটে সবসময় উপস্থিত পাওয়া যায় ১৫০ জন ডাক্তারকে। এই সব ডাক্তারদের কাছ থেকে উত্তর পেতে ৩০০-১০০০ টাকা ভিসিট লাগে। এই ক’মাসের মধ্যে ‘মাইডারমেসি’র গ্রহণযোগ্যতা এতটাই বেড়েছে যে, প্রত্যেক মাসে প্রশ্নকর্তাদের সংখ্যা বেড়েছে একলক্ষ। এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভারতীয়।

তবে ‘মাইডারমেসি’র ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নেহাত কম নয়। ‘লিব্রেট’, ‘আইক্লিনিক’, ‘হেলথকেয়ারম্যাজিক’, ‘প্র্যাক্টো’র মতো ওয়েবসাইটও রয়েছে, যেখানে অনলাইনে ডাক্তারদের সাহায্য পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। সেখানে ডাক্তারদের সঙ্গে ‘ভিডিও-কনসালটেশনের’ সুবিধে রয়েছে। কিন্তু ‘মাইডারমেসি’ ‘ভিডিও-কনসালটেশনের’ কোনও রকম সুবিধে রাখেনি। অঙ্কিত জানিয়েছেন, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের ‘ভিডিও-কনসালটেশনের’ প্রয়োজন হয় না। তাঁরা ছবি দেখেই রোগ নির্ণয় করতে অভ্যস্ত। তবে ‘টেলি রেডিওলজি’ এবং ‘টেলি ডারমাটোলজি’ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। ‘মাইডারমেসি’র লক্ষ্য চর্মরোগ এবং যৌনরোগ সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করে তোলা।