সহজে বুকিং, আরামে সফর, সাধ মেটাবে Cleartrip

সহজে বুকিং, আরামে সফর, সাধ মেটাবে Cleartrip

Monday November 23, 2015,

3 min Read

একদিনের জন্য কোথাও বেরিয়ে আসতে চান? হেলিকপ্টারে চাপতে চান? ট্রেকিং করতে চান? কুছ পরোয়া নেহি। অনলাইন ট্র্যাভেল সংস্থা Cleartrip-এর ঝুলিতে রয়েছে হাজার একটা আয়োজন। খালি কী করতে চান আগে সেটা ঠিক করুন। এরপর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বুক করে ফেলুন। ব্যাস, আপনার কাজ শেষ। বাকিটার ব্যবস্থা করে দেবে ক্লিয়ারট্রিপ। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এভাবেই ভারতের পঞ্চাশটিরও বেশি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে সংস্থা। আগামীদিনে ভারতের আরও শহরে এই হাইপারলোকাল পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৈরি ক্লিয়ারট্রিপ। সংস্থার আশা ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে আয় বাড়বে ১৫ শতাংশ।

ক্লিয়ারট্রিপের চিফ মার্কেটিং অফিসার সুব্রহ্মণ্যম শর্মা বললেন,"গত কয়েক সপ্তাহে আমাদের কাজকর্মে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এক এক দিনেই ৮০০ থেকে ৯০০ লেনদেন হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা একশোরও বেশি শহরে পরিষেবা দিতে পারব বলে আশা রাখি। আর ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে সংস্থার আয় কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বাড়বে বলেই মনে করি।" তবে ব্যবসায়িক গোপনীয়তার কারণেই সংস্থার বর্তমানে আয় কতটা কী হচ্ছে তা নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।


image


ক্লিয়ারট্রিপের ঝুলিতে রয়েছে হরেক আয়োজন। হেলিকপ্টারে চড়ান, ইয়টিং, অ্যাডভেঞ্চার, গো-কার্টিং, হাইকিং, নাইট ট্রেকস, কিডস ডে আউটিং, সেগওয়ে ট্যুরস থেকে রান্না শেখার ক্লাস। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে ফারাকটা বুঝে নিলেই হবে। হেলিকপ্টারে চড়তে গেলে খরচ পড়বে ১৬ হাজার টাকা, ইয়টিং ১৮ হাজার টাকা, মাইক্রো লাইট ফ্লাইং ৫৫০০ টাকা। রয়েছে বহুল জনপ্রিয় হার্লে ডেভিডসন রাইড। যারা কম খরচে কিছু সাধ মেটাতে চান তাদের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে খরচ রাখা হয়েছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। সংস্থার লক্ষ্য দৈনিক লেনদেন ৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া। সেটা সম্ভব বলেই মনে করছে সংস্থা। এর পিছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। অল্প সময় আর কম খরচ। একদিন বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাপারস্যাপার মিটে যাবে। যারা উইকএন্ডে ঘরে বসে না কাটিয়ে একটু আনন্দ পেতে চান তারা তাই খুশিই হবেন।

ক্লিয়ারট্রিপ ভারতের অন্যতম প্রধান OTA (Online travel agent). যা ইতিমধ্যেই ফান্ডিং হিসাবে তুলে নিতে পেরেছে ৭০ মিলিয়ন ডলার বা ৪২০ কোটি টাকার মতো। লগ্নির বহরেই স্পষ্ট ব্যবসার আকার ঠিক কতটা। হিসাব বলছে ভারতে অনলাইন ট্র্যাভেল ব্যবসার ২৫-৩০ শতাংশই এর দখলে। তবে একদিনে সবকিছু গড়ে ওঠেনি। ২০১০ সাল থেকে বছরভর ট্রাভেলারদের বিভিন্নরকম পরিষেবা দিয়ে থাকে ক্লিয়ারট্রিপ। ট্রেনের টিকিট থেকে হোটেল, বিভিন্ন রকম বুকিং সহজেই করে দিয়ে থাকে সংস্থা। এরই সর্বশেষ সংযোজন ক্যানসেলেশনস বা বুকিং বাতিল। মোবাইলের মাধ্যমেই যা করে ফেলতে পারবেন গ্রাহকরা।

ভারতে অনলাইন ট্র্যাভেল ব্যবসার রমরমা শুরু ২০০৫ থেকে। তবে এখনও পরিপূর্ণতায় পৌঁছয়নি। সুযোগ ও সম্ভাবনা দুই রয়েছে নবীন উদ্যোগপতিদের জন্য। অনলাইন বুকিংয়ের ৬০ শতাংশই দখল করে রেখেছে বিমান সফর। এর পরেই রয়েছে রেল। মার্কেট শেয়ার ১৫ শতাংশ। এর প্রায় পুরোটাই আইআরসিটিসি-র দখলে। ১৩ শতাংশ হোটেল বুকিং। আর বাকিটা বাস, গাড়ি বুকিং ইত্যাদির জন্য। ২০১৫ সালের মধ্যে ভারতে এই ব্যবসা ১২.৫ বিলিয়ন ডলার বা ১২৫০ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্লিয়ারট্রিপে দুভাবে বুকিং করা যায়। একদিকে যেমন ওয়েব রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। যার যেমন সুবিধা। ক্লিক করলেই খুলে যাবে বিভিন্ন অপশন। যার যেমন প্রয়োজন খুঁজে নিলেই হল। ২০১০ সালে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শুরুর সময় অবশ্য ততটা সাড়া মেলেনি। আধুনিক মোবাইলের ব্যবহার যত বেড়েছে ততই মিলেছে সাড়া। এখন তাই সিংহভাগ বুকিংই হচ্ছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।

ভ্রমণের মনস্থির করতে যতটা সময় লাগে, বিভিন্ন কারণে তা খারিজ করতে ততটা সময় লাগে না। ফলে ক্যানসেলেশন বা বুকিং বাতিল করা দু-তরফেই একটা বড় দায় বা ঝক্কি। সেই ক্যানসেলেশনের ব্যাপারে গ্রাহকের পাশেই থাকার সুনাম রয়েছে ক্লিয়ারট্রিপের। এক্ষেত্রেও সেই মোবাইল অ্যাপ। ট্রিপস সেকশনের মধ্যে ঢুকে বের করতে হবে আসন্ন ভ্রমণ তালিকা। সেখানে ট্রিপ ডিটেলসের ওপরেই রয়েছে ক্যানসেলশন বাটন। সেই বাটন টিপলেই ক্যানসেলেশন লিস্টে নাম লেখান যাবে। বাকিটা সংস্থা বুঝে নেবে। ক্যানসেলেশন কমফার্মড হলেই মিলবে রিফান্ড। একটি সমীক্ষা বলছে, ভারতে ট্র্যাভেলার্সদের ১২ শতাংশ বিভিন্ন কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে থাকেন। ফলে বুকিং বাতিল বা সফরসূচির পরিবর্তন লেগেই থাকে।

(পিটিআই)