স্মার্টফোনের রমরমায় ঊর্ধ্বমুখী এম-শপিংয়ের গ্রাফ

স্মার্টফোনের রমরমায় ঊর্ধ্বমুখী এম-শপিংয়ের গ্রাফ

Friday January 08, 2016,

3 min Read

হাতে হাতে স্মার্টফোন। অনলাইন হলেই আলপিন থেকে শুরু করে আসবাব-সবের আস্ত বাজার চোখের সামনে ঘোরাফেরা করে। ছুটে চলার যুগে হাতে সময় নিয়ে শপিংয়ের ট্রেন্ড আস্তে আস্তে ভাটার দিকে। হাতের মোবাইলটাই হয়ে উঠছে শপিংয়ের মাধ্যম। অ্যাসোচেমের হিসেবে, ৬৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হয়ে ২০১৬য় দেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ৩৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়, ২০১৫য় যার পরিমান ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার। ‘ভারতের ই-কমার্সের বাজার ২০০৯ এ ছিল ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের। সেটাই বেড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার হয় ২০১৪ সালে এবং ২৩ বিলিয়ন ডলার হয় ২০১৫ সালে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে অঙ্কটা ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছোঁবে’, এক বিবৃতিতে বলে অ্যাসোচেম।

image


আরও বলা হয়েছে, ইন্টারনেট এবং মোবাইলের বদান্যতায় অনলাইন পেমেন্ট এখন সর্বজনগ্রাহ্য। জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ অনুকুলে থাকায় ভারতের ই-কমার্স সেক্টরগুলি নিজেদের গ্রাহকদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ রাখতে পারে। ই-কমার্সের রমরমায় সব ব্র্যান্ডের পেশাক থেকে শুরু করে গয়না, উপহার, জুতো প্রায় সব কিছু সস্তায় এবং দোরগোড়ায় পেয়ে যাওযার ফলে গত বছরের তুলনায় এই বছর রেভিনিউ প্রায় পাঁচ থেকে সাত গুন বেড়েছে।

২০১৬তে কেনাকাটার এই ট্রেন্ড আরও উর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দামে বড় মাপের ছাড়, ক্রমশ জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি এবং পছন্দ করার বিশাল সম্ভার- এই সবকিছু ২০১৬য় অনলাইন বাজারকে দ্রুত বৃদ্ধির দিকে ঠেলে দেবে। ই কমার্সের বিকল্প হিসেবে দেখা যাচ্ছে মোবাইল কমার্সও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে শপিং গেমচেঞ্জারের কাজ করছে। ‘ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা মনে করছেন, তাঁদের ব্যবসার প্রায় ৭০শতাংশ এম-কমার্সের মাধ্যমে আসতে পারে’, স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে। মোটামুটি হিসেবে দেখা যায়, ভারতসম্পূর্ণ ই-কমার্স ব্যবসার ৬০-৬৫ শতাংশ মোবাইল ডিভাইস এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে হয়। গত বছরের তুলনায় ব্যবসা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এই গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী হবে বলেই ধারণা। ভারতে ব্রাউজিং ট্রেন্ডটা যেহেতু ডেক্সটপ থেকে মোবাইলে ঝুঁকেছে, অনলাইন শপিংয়ের ট্রেন্ডও তার সঙ্গে বদলাচ্ছে। দেখা যায়, প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শহরে তিনজনের মধ্যে ১ জন ক্রেতা মোবাইলে লেনদেন সারেন। ২০১৫য় ৭৮ শতাংশ অনলাইন শপিং মোবাইলের মাধ্যমেই হয়েছে, তুলনায় ২০১৩য় এই হার ছিল ৪৬ শতাংশ।

২০১৫য় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পোশাক, ৬৯.৫ শতাংশ। এরপর বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ৬২ শতাংশ। বেবি কেয়া প্রডাক্ট ৫৩ শতাংশ, রূপচর্চার সামগ্রী ৫২ শতাংশ এবং গৃহসজ্জার সরঞ্জাম ৪৯ শতাংশ বিক্রি হয়েছে। যার মানে দাঁড়ায় মুম্বই এই ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে, যার পরে রয়েছে দিল্লি, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ ক্যাশ অন ডেলিভারি পছন্দ করেন। তাছাড়া ১৬ শতাংশ ডেভিট কার্ড এবং ২১ শতাংশ ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করেন। শুধুমাত্র ১০ শতাংশ নেট ব্যাঙ্কিং এবং মাত্র ৭ শতাংশ ক্যাশকার্ড, মোবাইল ওয়ালেট এবং এই ধরনের পেমেন্ট মোডে ভরসা করেন। ক্রেতাদের গড় বয়স ১৮-২৫। মহিলা-পুরুষ প্রায় সমান। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৩৮ শতাংশ ক্রেতা ১৮-২৫ বছর বয়সী, ৫২ শতাংশ ২৬-৩৫ বছর বয়সী, মাত্র ৮ শতাংশ ৩৬-৪৫ বছরের এবং ২ শতাংশ ৪৫-৬০ বছরের ক্রেতা। অনলাইন শপারদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ মহিলা।

অনুবাদ-তিয়াসা বিশ্বাস