ফান্ডিং আর FOCO মডেলে এগোবে Chai Break

ফান্ডিং আর FOCO মডেলে এগোবে Chai Break

Tuesday December 12, 2017,

2 min Read

আরও একটি ফুড স্টার্টআপের সাফল্যের কাহিনি আপনাদের শোনাবো। সম্প্রতি ভেঞ্চার ক্যাটালিস্টের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকার ফান্ডিং তুলে নিলো কলকাতার সংস্থা চায়ে ব্রেক। ২০১১ সালে মাত্র ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে প্রথম পথ চলা শুরু করেন অনিরুদ্ধ পোদ্দার এবং আদিত্য লাডসারিয়া। ছোটবেলায় সেন্ট জেমসে পড়তেন দুজনেই। পরে সেন্ট জেভিয়ার্সে বি কম। একদিন আড্ডার ছলেই দুজনে মিলে ঠিক করেন খাবারের ব্যবসা করবেন। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিচ্ছন্ন চা বিক্রি করার আইডিয়া নিয়ে শুরু হল উদ্যোগ। চা মানে তো আর শুধু চা নয়, টাও থাকে। ফলে বাড়তে থাকল মেনু। ইটালিয়ান, চাইনিজ আর সম্পূর্ণ দেশি খাবারের দারুণ প্যালেট। পাশাপাশি বাহারি চা। গ্রিন টি, লেমন টি, রিফ্ৰেশিং মিন্ট টি আর আছে আদা দিয়ে তেজ পাতা দিয়ে কিংবা কেশর দিয়ে মশলাদার চা। আপনি এখানেই এর সেরাটা পাবেন। ভার্জিন মোজিতো পাবেন। থাকবে ব্রাউনি ব্রেক, এবং জিভে জল আনা আর স্নায়ুকে আহ্লাদী করে তোলা চকলেট। পাবেন কলকাতার পুরনো বিলাসিতা নতুন মোড়কে, মশলা হুকাহ, পান স্পেশাল হুকাহ শীতল জলে ভেজা সুবাসিত ধোঁয়া সেবনের অভিজ্ঞতাও পাবেন চায়ে ব্রেক-এ।

image


এই উদ্যোগ শুরু হয় ছোট্ট একটা কিয়স্ক দিয়ে। আর এখন এগারোটা আউটলেট কলকাতা, দুর্গাপুর এবং ভুবনেশ্বরে। শতিনেক কর্মী কাজ করেন চায়ে ব্রেক-এ। মাসে দেড় কোটি টাকার টার্নওভার। গত আর্থিক বছরে ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে যেটা বেড়ে ১৮ কোটি ছোঁবে আশা করেন দুই কর্ণধার। পঞ্চাশ হাজার টাকায় যে ব্যবসা শুরু হয়েছিল সেই ব্যবসার এখনকার ভ্যালুয়েশন ৫০ কোটি টাকা। মাত্র ১০ শতাংশ অংশীদারিত্বের বিনিময়ে ৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন অনিরুদ্ধ এবং আদিত্য। এই বিনিয়োগের ফলে দু বছরের মধ্যে পূর্বাঞ্চলে আরও ২০টি আউটলেট খুলবেন এঁরা। ছোট আর মাঝারি শহরগুলি রয়েছে টার্গেটে। ইম্ফল, গুয়াহাটি, শিলংয়ের মত উত্তর পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পরতে চান ওরা। তারপর গোটা ভারতে পৌঁছবেন। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি, এবং ছোট ও মাঝারি শহরগুলিতে। নতুন শহরের ক্ষেত্রে চায়ে ব্রেক শুধু মাত্র ফোকো মডেলেই ব্যবসা বাড়াতে উৎসাহী। ভারতের বাজারে দাঁত ফোটানোর পর বিদেশের বাজারেও চায়ে ব্রেককে পৌঁছে দিতে চান আদিত্য এবং অনিরুদ্ধ। তবে সেটা এখুনি নয়।

অনিরুদ্ধ বলছিলেন, এতদিন বুটস্ট্র্যাপিংয়ের পর সবে তো অ্যাঞ্জেল রাউন্ডের ফান্ডিং পেলেন ওরা। এবার সংস্থার বৃদ্ধির সময়। এমন একটা সময় আসবে তুমুল কাজের মাঝে চায়ে ব্রেকের কথা ভাবলেই ওদের কথাই মনে পড়বে কর্ম ব্যস্ত মানুষের। আর সেটাই হবে ওদের সত্যিকারের তৃপ্তির সময়।