নিশিতা বিয়ানি মুম্বইযের মেয়ে। নিশিতার বাবা শিক্ষকতা করতেন। কিন্ত খুব অল্প বয়সেই নিশিতা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন, একদিন তিনি কোনও সংস্থার মালকিন হবেন। বহুক্ষেত্রে এ ধরনের স্বপ্ন নিয়ে জীবনের ময়দানে সংগ্রাম করতে নেমে অনেকেই হতোদ্যম হয়ে পড়েন। কিন্তু নিশিতা ছিলে্ন নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেটাই তাঁকে স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেছে।
২০১৪ সালে নিশিতা মুম্বইয়ে নিজের সংস্থার জন্ম দেন। সেটির নাম Wafflist। ২০১৪ সালে মুম্বইয়ে নিশিতা একটি ওয়াফেল আউটলেট চালু করেছিলেন, সেটিও সাফল্যের সঙ্গে চলেছে। এরপর ২০১৫ সালে মুম্বইযেই নিশিতা আর একটি ওয়াফেল আউটলেট চালু করেছেন। সেটিও ব্যবসায়িকভাবে সফল বলে জানালেন।
নিশিতা বড় হয়ে উঠেছেন বাণিজ্য নগরীতে। এই শহরের গোপী বিড়লা মেমোরিয়াল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। নিশিতা জানালেন, একান্নবর্তী পরিবারের আবহে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। বাবার মতো কাকাও শিক্ষকতা করতেন। নিশিতা জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের অভিভাবকদের কাছ থেকে জীবনশিক্ষা পেয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র প্রশংসা নয়, তাঁর ভুলগুলিও ওঁরা ধরিয়ে দিতেন। প্রয়োজনে কীভাবে ভুল শোধরানো যায় সেই উপদেশও তাঁর বেড়ে ওঠার বয়সে দারুণ কাজে লেগেছে বলে মনে করেন নিশিতা।
নিশিতা বললেন, পরে নিজের স্টার্ট আপ চালাতে গিয়ে সেদিনের শিক্ষাদীক্ষা খুব কাজে লেগে গিয়েছে। সঙ্কটের সময়ে কীভাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ চালাতে হয় সেও ছোটবেলার শিক্ষায় শিখতে পেরেছি।
মহিলা উদ্যোগী হিসাবে মোটে দুবছরের ভিতরই বলবার মতো সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর সংস্থা Wafflist –এ কাজ করছেন অন্ততপক্ষে ২৫জন। সংস্থার প্রোডাক্টগুলি সম্পর্কে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের ভিতর কয়েকজন কলেজ ছাত্রছাত্রীও রয়েছেন।
নিশিতার শখ গানবাজনা করা। সুর ও সঙ্গীত তাঁকে আকর্ষণ করে বরাবরই। নিশিতার কথায়, আমার হৃদয়টি যেন কোনও স্রষ্টার মতো। সংস্থা চালাতে গিয়ে এটা আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি।