নতুন বছরকে নিয়ে নানান পরিকল্পনা, নানান রেজোলিউশন। ফ্যাশন নিয়েও ভাবুন একটু। কর্মস্থলে আপনি কী ধরনের পোশাক-আশাক পরে যাতায়াত করছেন- সেও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর ওপর নির্ভর করছে আপনার সম্পর্কে সহকর্মীরা কী ধারণা পোষণ করবেন তাও। তবে বর্তমানে আধুনিক কর্মক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল পোশাক ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, কর্মস্থলের পরিধান নির্বাচন করার সময় কর্মীর দেখা উচিত কোন ধরনের সংস্থায় কাজ করছেন তিনি। তার ওপরও নির্ভর করে পোশাক নির্বাচন।
আসলে আপনি কতটা পেশাদারি মনোভাবাপন্ন সেই ছাপও ফুটে ওঠে আপনার পোশাকে। সে কারণে কাজের জায়গায় কী ধরনের পোশাক-আশাক পরবেন, তা নিয়ে ভালোমতো পরিকল্পনা করাটাও দরকারি। তবে পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু কথা মনে রাখলে আখেরে আপনিই উপকৃত হবেন। যেমন, খুব বেশি রঙচঙে পোশাক পরলে আপনাকে যতই ভাল দেখাক না কেন, খুব উজ্জ্বল পোশাক-আশাক পরে কিন্তু কর্মস্থলে যাবেন না। এতে আপনার সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। তবে লাইট ও ডার্ক কালার কম্বিনেশনের জামাকাপড় পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাকে সাধারণত আপনাকে পেশাদার দেখাবে। অন্যদেরও আপনাকে দেখে ভালো লাগবে। মেয়েরা কুর্তি, লেগিস, ব্লেজার, স্যুট, কর্পোরেট স্কার্ট পরতে পারেন।
আর একটা কথা মনে রাখবেন, প্রতিদিন অফিসে আপনাকে যেন ভালো দেখায় – সে বিষয়েও খেয়াল রাখবেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তো থাকতেই হবে। আর মহিলা কর্মীদের এও মনে রাখা দরকার, কর্মস্থলে খুব বেশি প্রসাধিত হয়ে যাওয়াটা মোটেও ঠিক হবে না।
সেইসঙ্গে ভারি জুয়েলারিও নৈব নৈব চ। আর মহিলা কর্মীরা এও মনে রাখবেন, বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া রোজকার অফিসে হাই হিল না পরাটাই বাঞ্ছনীয়। সাজপোশাকের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আপনার কেশবিন্যাস। চুল বেঁধে যাওয়াই কাজের পক্ষে সুবিধাজনক। এই সব বিষয়গুলির দিকে নজর রাখলেই আপনার ভাবমূর্তিটিকে বহুলাংশে পেশাদার দেখাবে।