IIT খড়গপুরে ১০ লক্ষ ডলারে তৈরি হচ্ছে হ্যপিনেস সেন্টার

IIT খড়গপুরে ১০ লক্ষ ডলারে তৈরি হচ্ছে হ্যপিনেস সেন্টার

Wednesday July 06, 2016,

2 min Read

আনন্দের তো কোনও মাপকাঠি হয় না। তবু, খুশি থাকার ইনডেক্স তৈরি করেছে ভুটান সরকার। ওখানে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টের পরিবর্তে বিবেচিত হয় গ্রস ডোমেস্টিক হ্যাপিনেস। এরকম অবাংমনসগোচর অপরিমেয় রাশি নিয়ে হিমশিম খান ভুটানি অর্থনীতিবিদরা। এবার ভারতের সুপ্রাচীন আইআইটি খড়গপুরে শুরু হল হ্যাপিনেস ডিকোড করার প্রয়াস। ফুরফুরে মেজাজ, খুশি খুশি করা কাজের একটা সুদূর প্রসারী ফল থাকে। পজিটিভ ফল। সেই কথা মাথায় রেখেই আই আই টি খড়গপুরের এক প্রাক্তন ছাত্র সতিন্দর সিং রেখি শুরু করলেন তাঁর সেন্টার তৈরির কাজ। রেখি সেন্টার ফর সায়েন্স অব হ্যাপিনেস। সেন্টারটি তৈরি করতে খরচ পড়ছে দশ লক্ষ মার্কিন ডলার। এই সেন্টারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মনের অন্দর মহলে খুশির স্রোত বইয়ে দিতেই চান সেন্টারের চেয়ারম্যান সতিন্দর সিং রেখি। বলছিলেন, এখান থেকে সার্টিফিকেট কোর্স করারও সুযোগ থাকবে।

image


এই সেন্টারটা আক্ষরিক অর্থেই হবে অদ্ভুত। কারণ এর মারফত নিত্যদিন চলবে ভালো থাকার গবেষণা। রীতিমত খোঁজ চলছে সেই সব খড়গপুরের কৃতি ছাত্রদের যারা পরবর্তী জীবনে সফল হয়েছেন। আনন্দে আছেন। আইআইটি থেকে পাশ করে যারা কৃতি ইঞ্জিনিয়ার, বিজনেস লিডার, দুর্দান্ত সহৃদয় মালিক অথবা অসাধারণ উদ্ভাবনী ক্ষমতায় উজ্জ্বল কোনও পদস্থ কর্তা হয়েছেন তাদের কে সঙ্গে নিয়েই পজিটিভ একটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে চাইছে এই সেন্টার।

খড়গপুরের চৌহদ্দি থেকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রকে জুড়তে চাইছেন সতিন্দর সিং। বলছেন আশার একটি আবহ তৈরি করতে পারলে পরিবর্তন সম্ভব হবে। এরকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য খড়গপুর আইআইটির অধিকর্তা পার্থ প্রতিম চক্রবর্তীই সতিন্দরকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ছাত্রদের মধ্যে প্রেরণার জোগান অটুট রাখার প্রয়োজন তিনি টের পেয়েছিলেন। ছাত্রদের আনন্দে থাকার এবং আনন্দ বোধের উৎকর্ষতা এবং পরিমাণ বাড়ানোর মতো একটি সংস্থা তৈরি করাই ছিল উদ্দেশ্য। সেই থেকে সতিন্দরের মাথায় ঘুরতে থাকে আইডিয়া। আর তারই আত্মপ্রকাশ এই রেখি সেন্টার।

মানুষের মনের অনেক তল উপতল থাকে, সেই বিবিধ মাত্রিক মানুষের মনের তৃপ্তির মাপ নিতে গভীর গবেষণা চালানোর প্রয়োজন। বিশিষ্ট মনো-বিদ, স্নায়ু বিজ্ঞান বিশারদ, কগনিটিভ সায়েন্টিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, সমাজ বিজ্ঞানী, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির নানান ক্ষেত্রের পণ্ডিতদের নিয়েই তৈরি হচ্ছে এই গবেষণা সেল। এর সঙ্গে জুরে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা জগতের বিশারদদের। তৈরি করা হচ্ছে আনন্দে থাকার জন্যে বিশেষ এক ধরণের প্রশিক্ষণের ফ্রেম ওয়ার্ক।

যে কেউ চাইলেই ভালো থাকার ভালো রাখার এই কোর্স করতেই পারেন রেখির হাসিখুশি এই পাঠশালা থেকে। মনে পড়ে গেল আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে কার এক ভদ্রলোকের কথা। নাম সোক্রাতেস। বলেছিলেন মানুষ চেষ্টা করলেই সমাজে সংসারে আনন্দের প্রতিষ্ঠা করতে পারে। সোক্রাতেসের কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলিয়ে দিতে চাইছেন খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র সতিন্দর সিং রেখি।

(TCI)