৫ বাড়িতে বিদ্যুত দেয় শিবনাথের ১ টি Solar Tree

একটা টেবিল পাতার জায়গা পেলেই একটি সৌর গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারেন দুর্গাপুরের বিজ্ঞানী শিবনাথ মাইতি। তৈরি হয় ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুত। আলো পাখা পেতে পারেন লাগোয়া পাঁচটি বাড়ি।

৫ বাড়িতে বিদ্যুত দেয় শিবনাথের ১ টি Solar Tree

Monday October 24, 2016,

2 min Read

বিদ্যুতের অপ্রতুলতা বা বিদ্যুৎ পরিষেবা না মেলার জেরে ভারতের বহু গ্রামগঞ্জ থেকে অন্ধকার এখনও তাড়ানো যায়নি। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরা বরাবরই কাজ করেন আর্শীবাদের মতোন! ফের তারই নজির দেখালেন দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিএমইআরআই-এর চিফ সায়েন্টিস্ট শিবনাথ মাইতির নেতৃত্বে গবেষণারত একঝাঁক বিজ্ঞানী।

image


আবিষ্কৃত হয়েছে সোলার ট্রি। এর মাধ্যমে বিদ্যুত তৈরি করা যাচ্ছে। চার বর্গফুট জায়গা জুড়ে থাকছে এক-একটি সোলার ট্রি। প্রতিটি সোলার ট্রি থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুত পাওয়া যাবে তা দিয়ে পাঁচটি বাড়িতে আলো, পাখা চালানো যেতে পারে। একটি টেবিল রাখার মতো স্থান সঙ্কুলান হলেই সেখানে রাখা যাবে ওই সোলার ট্রি গুলি। প্রতিটি সোলার ট্রি থেকে মিলবে ৩ থেকে ৫ কিলোওয়াট বিদ্যুত। সিএমইআরই-এর বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হ‌বেন। আর অন্ধকারে ডুবে থাকা বহু প্রত্যন্ত এলাকায় জ্বলবে আলো এবং ঘুরবে পাখা। আর সেইসঙ্গে স্বল্প খরচে বিদ্যুত পরিষেবার আওতায় আনা যাবে সমগ্র ভারতকে।

গত মে মাসে উদ্বোধনের পরেপরেই কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এই সোলার ট্রিগুলি ব্যবহার করা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, দিল্লির নানা জায়গায় সোলার ট্রি ব্যবহার করে বিদ্যুতায়নের কাজ করা হয়েছে। একাজে ভাল সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল অথরিটি ইতিমধ্যে ১০টি সোলার ট্রি চেয়ে পাঠিয়েছে সিএমইআরআই-এর কাছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একটি তাপবিদ্যুত্ক কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ সিএমইআরআই-কে ১২০টি সোলার ট্রির বরাত দিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি সোলার ট্রির আয়ুষ্কাল ২৫ বছর।

কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান গিরিশ সাহানি বলেছেন, সোলার ট্রিগুলি চালানো হ‌চ্ছে সোলার‌ সেলের মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে ভূমির চরিত্রগত কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুম্বইয়ের নাগরিক এক দম্পতি উল্টা ছাতা নামে একটি প্রযুক্তি বের করেছেন, যার মাধ্যমে ফি বছর বৃষ্টির ১ লক্ষ লিটার জল ধরে রাখা যাবে।