যে কথা সামনে আসেনা - হাইপারলোকাল ব্যবসার আঁধার দিক

যে কথা সামনে আসেনা - হাইপারলোকাল ব্যবসার আঁধার দিক

Wednesday January 06, 2016,

7 min Read

বিকেল সোয়া পাঁচটা বাজে। রোডরানার এর অফিসের কর্মতৎপরতার একটা টুকরো ছবি ধরা পড়ল অফিসের বেসমেন্টে, যেখানে প্রায় শ-খানেক ডেলিভারি বয় চেয়ারে বসে রয়েছে। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে একটা করে ফর্ম, এবং তারা অপেক্ষা করছে এই B2B অনলাইন হাইপারলোকাল লজিস্টিকস স্টার্ট-আপের অংশ হিসাবে দিনের কাজ শুরু করার জন্য - মাত্র কিছুমাস আগে যখন আমরা রোডরানার নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছিলাম, সেইসময় ছবিটা ছিল ঠিক এইরকমই।


image



কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এখানকার ডেলিভারি বয়দের মধ্যে পুঞ্জীভূত অসন্তোষ ও তার ফলস্বরুপ সংস্থার অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা প্রবল নাড়া দিয়েছে স্টার্ট-আপ ব্যবসার সামগ্রিক পরিসরটাকেই। টুইটারের টুকরো আলাপচারিতা আর ব্যক্তিগত আলোচনায় উঠে আসছে টাইনিআউলের মতই একইধরনের আরো একাধিক সংস্থা থেকে কর্মীছাঁটাই ও কর্মী-অসন্তোষের কথা।

এ সমস্যার শিকড় প্রোথিত অনেক গভী্রে। রোডরানার এর ঘটনাকে বলা যায় হিমশৈলের চূড়ামাত্র, যা বাস্তব অবস্থাটাকেই কিছুমাত্রায় প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। রোডরানার সংস্থার মতে, এটা পরিকল্পিত আক্রমণ ছিল। সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল তিন সপ্তাহ আগে চালু হওয়া ক্ষতিপূরণের নতুন কাঠামো নিয়ে। 


শেষের কথা -

ঘটনাপ্রবাহ সবথেকে খারাপ মোড় নেয় গত ২২শে নভেম্বর, যখন প্রায় জনা ষাটেক মানুষ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে তছনছ করে দেয় রোডরানারের অফিস। “যে ছবিটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা হল আমাদের বেসমেন্টের ছবি। ডেলিভারি বয়’রাই এখানকার কিছু অংশে ভাঙচুর চালিয়েছে”, জানালেন রোডরানারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহিত কুমার।

মোহিত জানালেন - কিছু একটা গন্ডগোল যে পাকিয়েছে, ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগেই কিছু রেস্তোঁরা মালিক মারফত তিনি সেরকম একটা খবর পেয়েছিলেন। এই কথার সত্যতা যাচাই করার জন্য আমরা যোগাযোগ করলাম ‘ভুক্কড়’ এর প্রতিষ্ঠাতা আরুজ গর্গের সাথে। আরুজের সংস্থা রোডরানারের পরিষেবা ব্যবহার করে। উনি বললেন যে, রোডরানারের কয়েকজন ডেলিভারি বয় অদ্ভুত আচরণ করছিল। “আমরা মোহিতের সাথে যোগাযোগ করি এবং বলি যে কি সমস্যা হয়েছে, সে বিষয়ে যেন ওনারা খোঁজখবর করেন। কিন্তু প্রকৃত কারণ কি, এবং কি হতে চলেছে, সে বিষয়ে আমরা কিছছু জানতাম না,” বললেন আরুজ।


এইজাতীয় সতর্কবার্তা পেয়ে অফিসের মহিলা কর্মচারী এবং যারা সংস্থায় পরিবহনের কাজের সাথে যুক্ত নন, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রোডরানার টিম কিছু নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

“ধর্মঘট ও বিক্ষোভ হতে পারে আঁচ করে আমি সকাল সাড়ে নটা – দশটা নাগাদ একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাকে ফোনে যোগাযোগ করি,” বললেন মোহিত।

অন্যান্য সংস্থা মারফত সতর্কবার্তা পাওয়া ছাড়াও, ইতিপূর্বেই দিল্লি ও মুম্বাইয়ে পরিবর্তীত ক্ষতিপূরণের কাঠামো নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। মোহিতের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০ জন কর্মী রোডরানারের মুম্বাই অফিসে গিয়ে ন্যুনতম বেতন কাঠামোর জন্য দাবি জানায় এবং বলে যে তাঁরা এই পরিবর্তীত কাঠামো অনুসারে কাজ করবেন না।

সংস্থার মুম্বাইয়ের কর্তাব্যক্তিরা বিক্ষুদ্ধ্ব এই কর্মীদের সাথে কথা বলে তাঁদেরকে পনেরো দিনের জন্য পরিবর্তীত ক্ষতিপূরণ কাঠামোর মধ্যে থেকে কাজ চালানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। মোহিতের মতে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গেছে যে সেদিন যারা ভাঙচুর চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন ছিল বহিরাগত - যারা কোনোভাবেই সংস্থার সাথে যুক্ত নয় বা কখনো ছিলনা।

ফুটেজের সাহায্যে সংস্থা এই ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ১১ জন গ্রেপ্তার হয়। এদের ছাড়া ঘটনায় যুক্ত ছিলেন সংস্থার তিনজন প্রাক্তন কর্মচারী, যাদেরকে রোডরানার টিম আগেই ছাঁটাই করেছিল সংস্থা থেকে। আর বাকিদের মধ্যে একাংশ ছিল সংস্থার কিছু নিয়মিত কর্মচারী।

রোডরানার টিমের মতে, কর্মীছাঁটাই এর ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ছয় মাস আগে এবং সেটা হয়েছিল মূলত তাঁদের কাজের নিম্নমান ও রাইডারদের আচরণ নিয়ে আসা কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে।


সংস্থার ম্যানেজমেন্ট টিম কর্মচারীদের সাথে কোনোরকম আলোচনায় যেতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু মোহিত সেই অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে জানালেন যে তাঁরা ক্ষতিপূরণের কাঠামো নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজিই ছিলেন।

“ওরাই বরং রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে তিনমাসের মাইনে নিয়ে কাজ ছাড়তে চাইছিল। আমরা ওদের সেই দাবি মেনেও নিয়েছিলাম। এমনকি ‘মিনিমাম গ্যারান্টি স্ট্রাকচার’ এর ভিত্তিতে ওদেরকে কাজে ফেরত নিতেও প্রস্তুত ছিলাম আমরা। কিন্তু এরপরই আমাদেরকে হুমকি দেওয়া, শাসানো শুরু হল,” যোগ করলেন মোহিত।

রোডরানারের এক রাইডারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নাম প্রকাশ করা হবেনা এই শর্তে আমাদেরকে বললেন, “এই সংস্থা তৈরির সময় থেকে আমি এখানে কাজ করছি। এবং কাজ করতে গিয়ে সংস্থার টিমের সাথে এখনো পর্যন্ত আমার কোনোরকম সমস্যা হয়নি। যাদের সমস্যা হচ্ছে, তাদের সাথে আমাদেরকে এক করে দেখলে ভুল করা হবে।”

সূত্র অনুসারে, যেসমস্ত ডেলিভারি বয় এই ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত ছিল, তারা হুমকি ও শাসানির ভয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ অনেকগুলি অঞ্চলে ডেলিভারি বয়রা সংস্থার চিহ্ন দেওয়া রোডরানার টি-শার্ট কিংবা সংস্থার দেওয়া ডেলিভারি ব্যাগ ব্যবহার করছেনা, উঠেছিল এরকম অভিযোগও।

আড়ালে থেকেছে যে -

অসন্তোষের ধিকিধিকি আঁচ যে তীব্র বিক্ষোভের রুপ নিল, তার সূত্রপাত হয়েছিল একটা ই-মেল মারফত। যতদূর জানা যাচ্ছে যে বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের কাছে এই ই-মেল শনিবার সকাল সকালই পৌঁছে গিয়েছিল।


ফরওয়ার্ডেড মেসেজ

ফ্রম –

তারিখ – ১৮ নভেম্বর, ২০১৫, বুধবার , সন্ধ্যা ৭.১৫

বিষয় – লজিস্টিকস সংক্রান্ত কিছু তথ্য

প্রতি –

লজিস্টিকস সংস্থা রোডরানারের রাইডাররা গত আটচল্লিশ ঘন্টা ধরে গুড়গাঁও, মুম্বাই ও পুণের প্রধান কিছু ব্যস্ততম জায়গায় ধর্মঘট পালন করছেন। বেতন কাঠামোয় হওয়া সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণে ও প্রতিশ্রুতিমাফিক বেতন না মেলার ফলেই এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এবং রোডরানারের গ্রাহক সংস্থা ফাসোস এটাকে অনুমোদন করবে।

আশা করি এই তথ্য আপনাদের কাজে আসবে।


যার কাছ থেকে এই ই-মেল এসেছিল, বহু চেষ্টা করেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপরই আরো একটা মেল আসে, যেটার মারফত এই লেখা প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়েছে, সেটা জানানো হয়। এবং কেন রোডরানারের গ্রাহক সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বা হাইপারলোকাল ব্যবসার ক্ষেত্রে ইউনিট ইকনমিক্‌স কেন ক্ষতিকর, সেই বিষয়ে এই ই-মেলের প্রেরক তাঁর ব্যক্তিগত মতামতও জানিয়েছিলেন। এরপর গ্রসারি মডেল হবে ব্যবসার পরবর্তী ক্ষেত্র এবং এখনো অবধি কতদূর সংহত করা সম্ভব হয়ছে, সে বিষয়েরও উল্লেখ করা হয় এখানে।

“এই ই-মেল আইডিটা অত্যন্ত সন্দেহজনক, এবং মেলগুলি বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল ১৮ই নভেম্বর ও ২৩শে নভেম্বর দুপুরে – অর্থাৎ মিডিয়ায় ঘটনাটার কথা উঠে আসার একদম পরপরই। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে সুপরিকল্পিতভাবে এখানে ভাঙচুর করা হয়েছে,” বললেন মোহিত।


গ্রাহকরা কি চাইছেন?

এই ঘটনার অভিঘাত ব্যাপক ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে রোডরানারের ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গিয়েছে। ভুক্কড় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা আরুজের কথায়, “স্বল্প যে কয়টি ডেলিভারি স্টার্ট-আপের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে, রোডরানার তাদের মধ্যে একটি। এবং যাই ঘটুকনা কেন, আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব। কারণ পেশাগত পরিসরে আমরা একই ধরনের মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে কাজ করি।”

ডেলিভারি বয়দের নিয়ে সমস্যা অবশ্য নতুন কোনো বিষয় নয়। ইতিপূর্বে, ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাইডারদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ডেলিভারি সংস্থা ‘গ্রোফার্স’কে নয়ডা অঞ্চলে কিছুদিনের জন্য পরিষেবা স্থগিত রাখতে হয়েছিল।

“ডেলিভারি বয়দের সাথে কাজ করাটা রীতিমত চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার। কারণ ওদের মধ্যে পেশাদারিত্বের অভাব রয়েছে। এবং এদের নিয়ে নতুন কোনো নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপগুলির সতর্কভাবে এগোনো উচিত,” বলছিলেন ‘কুইকলি’ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা রোহন দিওয়ান।

‘মাসালাবক্স’ এর মত ফুড স্টার্ট-আপ ‘ওপিনিও’ সংস্থার পরিষেবা ব্যবহার করলেও সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা হর্ষা থ্যাকারে’র মতে রোডরানারের মত B2B ডেলিভারি স্টার্ট-আপের সাথে কাজ করাটা অনেক বেশি সুবিধাজনক। “ডেলিভারি বয়দের কাজে রেখে নিজেরা পরিবহন পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে খরচ বেড়ে যায়। তার চেয়ে এই গোটা বিষয়টাকে ‘আউটসোর্স’ করে দেওয়াটা আমাদের পক্ষে আর্থিক দিক থেকে লাভজনক এবং এতে ঝামেলাও কম,” বললেন তিনি। 


সমস্যার আরো গভীরে -

টিম রোডরানারের মতে, যে সব এজেন্সির সাথে তারা চুক্তিবদ্ধ, বিশেষকরে পে-রোলে রয়েছে এসমস্ত এজেন্সিগুলি, তাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ করেই কিছু সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছিল। ইতিপূর্বে এই এজেন্সিগুলি ডেলিভারি বয় যোগান দেবার বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পেত। কিন্তু পরবর্তীতে রোডরানার সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা এজেন্সির বদলে কাজের মানের উপর নির্ভর করে সরাসরি ডেলিভারি বয়দেরই ইনসেনটিভ্‌ দেবে।

এই এজেন্সিগুলি হয় ডেলিভারি বয়ের যোগান দেয়, অথবা এরা পে-রোল মডেলে কাজ করে। মোহিত জানালেন যে, রোডরানারে উপলব্ধ ইনসেনটিভের পরিমাণ দেখে ডেলিভারি বয়রা এজেন্সির বদলে সরাসরি রোডরানারের সাথেই যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করছিল। মোহিতের মতে, সমস্যা তৈরি হওয়ার পিছনে এটারও ভূমিকা ছিল।

“আমাদের সংস্থা নো-পোচ পলিসি মেনে চলে। কিন্তু এজেন্সিগুলি বারবার বলছিল যে আমাদের জন্য তাদের ক্ষতি হচ্ছে এবং এর জন্য তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রীতিমত জোর করছিল ওরা আমাদের উপর,” বললেন মোহিত। সোর্সিং মডেল ব্যবহার করলে কাজ সুষ্ঠুভাবে হয় ঠিকই, কিন্তু পে-রোলিং এর ক্ষেত্রে কিছু অসন্তোষ তৈরি হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

দিল্লি নির্ভর কিছু স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের বক্তব্য এই যে, তাঁরা অনেকদিন যাবতই এ ধরনের এজেন্সির সাথে কাজ করছেন। কিন্তু কখনো তাঁদেরকে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। “এজেন্সি মারফতই আমরা কর্মী নিয়োগ করি এবং অনেকসময় একসাথে প্রচুর কর্মীকে বরখাস্তও করা হয়। কিন্তু এজন্সিগুলি কখনোই কর্মীছাঁটাই এর বিষয়ে মাথা ঘামায়নি,” – এমনটাই বললেন গুড়গাঁও নির্ভর একটি বৃহৎ B2B হাইপারলোকাল ডেলিভারি নেটওয়ার্ক সংস্থার একজন কর্তাব্যক্তি।

বেশ অনেকগুলি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, যেসমস্ত B2B ডেলিভারি স্টার্টআপের চাহিদা পরিসংখ্যানের নিরীখে যথেষ্ট উপরের দিকে, সেগুলির ক্ষেত্রেও একজন রাইডার দৈনিক সাত থেকে দশটি ডেলিভারি দেন(ব্যস্ত অঞ্চলে)। যদি রাইডার পিছু ডেলিভারির সংখ্যা পাঁচের চেয়ে কম হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রাইডারদেরকে ডেলিভারি পিছু টাকা দেওয়াটাই লাভজনক।

শ্যাডোফ্যাক্সের মত সংস্থা তাদের কর্মীদের ঘন্টা হিসাবে বেতন দেয়। “আমরা ঘন্টা হিসাবে বেতন দিই। তবে কাজের পরিমাণ কম থাকলে এরকম বেতন কাঠামো বিশেষ লাভজনক হয়না। তবে কাজের পরিমাণটা আমাদের কাছে মূল কথা নয়,” জানালেন শ্যাডোফ্যাক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অভিষেক বনসাল।

বিগত কিছুদিন ধরে স্টার্টআপ ব্যবসার পরিসর প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি ‘ইন্ডিয়াকোশেন্ট’ এর প্রতিষ্ঠা আনন্দ লুনিয়ার কথাই ঠিক যে, এ দেশে ধীরে ধীরে স্টার্টআপকে কেন্দ্র করে একটা প্রতিকূল মানসিকতা ও পরিস্থিতি গড়ে উঠছে?



লেখিকা – সিন্ধু কাশ্যপ

অনুবাদ – সন্মিত চ্যাটার্জী