দেশের অটো রিকশর বাজার ধরার ক্ষেত্রে কি আরও একধাপ এগিয়ে গেল জুগনু? চণ্ডীগড়ের এই সংস্থার দাবি অন্তত তেমনই। পুণের অটোওয়ালেকে কেনা তাদের লক্ষ্য। অটোওয়ালে অবশ্য সরকারিভাবে এই কথা না মানলেও, সূত্রের খবর তাদের অধিগ্রহণ এখন সময়ের অপেক্ষা।
চণ্ডীগড়ের অ্যাপ নির্মাতা সংস্থা জুগনু, পুণের সংস্থা অটোওয়ালেকে অধিগ্রহণের বিষয়ে কথা চালাচ্ছে। মিলিয়ন ডলার চুক্তিকে পুণের সংস্থার হাতবদল হচ্ছে। জুগনুর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সমর সিংলার দাবি অন্তত তেমনটাই। আইআইটি কানপুরের দুই প্রাক্তনী মুকেশ ঝা এবং জনার্দন প্রসাদ ২০১২ সালে অটোওয়ালে তৈরি করেছিলেন। পুণেতে এদের অ্যাপ নির্ভর অটো রিকশর রমরমা ব্যবসা। জুগনুর অধিগ্রহণের খবর অবশ্য অস্বীকার করেছে অটোওয়ালে।
অটোওয়ালেকে কিনে ফেললে পুণে, মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে অটো রিকশ পরিবহনে আরও ভাল জায়গায় পৌঁছে যাবে চণ্ডীগড়ের জুগনু। এবছরের জুলাই মাসে মুম্বইয়ে ট্যাক্সি অ্যাপ সংস্থা বুক মাই ক্যাবকে অধিগ্রহণ করেছিল জুগনু। অটো রিকশর মাধ্যমে প্রথাগত পরিবহন চিত্রর ধারণাকে বদলাতে চায় জুগনু। এর জন্য নিজেদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারা খাবার, মুদিখানার সামগ্রী ও সবজি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
গত বছরের নভেম্বরে পথ চলা শুরু হওয়ার পর এই সংস্থা রোজ ১৫ হাজার গাড়ির পরিষেবা দিচ্ছে। ব্যবসা আরও বাড়াতে পরিষেবার নতুন নতুন দরজা খুলে দিয়েছে জুগনু। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য জুগনুকে অর্থ জোগাচ্ছে পেটিএম-এর মতো সংস্থা। পেটিএম ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। জুগনুতে টাকা ঢেলেছে স্নোলেপার্ডও। অর্থের স্রোত এলেও এপর্যন্ত জুগনু ২.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ঠিক সময়ে অটো সার্ভিস দেওয়ার পাশাপাশি পরিষেবা আরও নিত্য নতুন দিক খঁজুতে একাধিক সংস্থাকে অধিগ্রহণ করেছে জুগনু। ইয়েলো এবং বিস্ত্রকে কিনে নেওয়া তারই অঙ্গ। এই দুই সংস্থা তাদের ছাতার তলায় এসে যাওয়ায় রেস্তোঁরায়া খাওয়া-দাওয়া সহ জুগনুর মোবাইল পরিষেবাও আরও উন্নত হয়েছে।
দেশের বাজারের অগ্রগতিতে থেমে থাকতে চায় না জুগনু। এবার অন্যান্য দেশেও তারা ব্যবসা ছড়াতে চায়। এর জন্য ফিলিপিন্সের বাজার ধরা তাদের প্রথম লক্ষ্য। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশের বাজার বুঝতে ইতিমধ্যে সেখানে কাজও শুরু করে দিয়েছেন জুগনুর বেশ কয়েকজন কর্মী। ফিলিপিন্সে মসৃতণ গতিতে এগোনোর জন্য সেখানকার বেশ কিছু নামী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে জুগনু। ঠিক হয়েছে স্থানীয় কোনও সংস্থার সঙ্গে গাঁটছাড়া বেধে তারা পরিষেবা দেবে। চণ্ডীগড়ের এই সংস্থা প্রতি মাসে ব্যবসা ৭০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে।
লেখক – জয় বর্ধন
অনুবাদক – তন্ময় মুখ্যোপাধ্যায়