গুগলে এখন পাবেন আরও ভালো স্যাটেলাইট পিকচার। নাসার ল্যান্ডস্যাট ৮ পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিই ব্যবহার করছে গুগল ম্যাপ এবং গুগল আর্থ। জানালেন গুগলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস হেরউইগ।
একটি ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, "এর ফলে গুগলের স্যাটেলাইট পিকচারে আরও চকচকে ছবি পাওয়া যাবে। আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি। স্যাটেলাইট ইমেজ চাইলেই দ্রুততার সঙ্গে ফুটে উঠবে ছবি। যেন এই মাত্র তোলা হয়েছে দুর্দান্ত কোনও ক্যামেরায়। আপনার ক্যামেরায় কত পিক্সেলের ছবি ওঠে? এই ছবি তার তুলনায় কয়েক লক্ষগুণ পরিষ্কার স্যাটেলাইট পিকচার দেখতে পাবেন আপনি। আগের থেকে এখনকার পার্থক্যটা দৃশ্যতই অনেক।" নিউইয়র্ক সিটির দুটো ছবি পাশাপাশি দেখিয়ে পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রিস। হাফিঙ্গটন পোস্টকে তিনি জানিয়েছেন, এই রকম পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবিতে অনেক ডেটা থাকে। ৭০০ ট্রিলিয়ন পিক্সেলের থেকেও বেশি পিক্সেলের ডেটা। ক্রিস বলছেন এটা মুখে বলা এক রকম। কিন্তু হিসেবের দিকে তাকালে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যাবে। কারণ ৭০০ ট্রিলিয়ন পিক্সেল মানে, মিল্কি ওয়ের যত তারা আছে তার ৭ হাজার গুণ পিক্সেলের কথা বলা হচ্ছে। মানে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যত জ্যোতিষ্ক লোক আছে তার ৭০ গুণ বেশি পিক্সেলের ছবি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এই ল্যান্ডস্যাট ৮ আগে যাকে আমরা চিনতাম ল্যান্ডস্যাট ডেটা কন্টিনিউটি মিশন বা এলডিসিএম বলে, সেটি ২০১৩ সালে লঞ্চ করা হয়। মহাকাশ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি এবং রিপোর্ট পাঠানোর কাজটা যাতে আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হয় সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করে এই উপগ্রহ। মহাকাশ থেকে মার্কিন এই উপগ্রহ পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে আসছে। সেই তথ্যে উপকৃত হচ্ছে আমেরিকার কৃষি, সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, উপকৃত হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি রাষ্ট্রব্যবস্থাও। আমেরিকার প্রতিরক্ষার কাজে আর গোটা দুনিয়ার ওপর নজরদারির কাজে দারুণ ভাবে লাগছে সেই তথ্য। এত পরিষ্কার ছবি পাঠায় এই উপগ্রহ যা এর আগে কোনও উপগ্রহের পক্ষে পাঠানো সম্ভব ছিল না। এবার সেই ছবি আপনিও দেখতে পাবেন গুগল আর্থ আর গুগল ম্যাপের স্যাটেলাইট অপশনে।