সেলভ ড্রাইভিংয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল Uber

সেলভ ড্রাইভিংয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল Uber

Tuesday November 01, 2016,

2 min Read

সেলভ ড্রাইভিং নিয়ে গুগল, অ্যাপেল বা টেলসা গত কয়েক বছর ধরেই নানাভাবে আগ্রহ দেখিয়েছে। উবার এবার সেই সম্ভাবনা নতুন করে বাস্তবায়িত করল। চলতি বছরের আগস্টে সুইডিস অটোমেকার ভলভোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে উবারের অধীনস্থ টেক স্টার্ট আপ ওটটো। খুব সম্প্রতি ওটটো জানিয়ে্ছে, তাঁরা গাঁটছড়া বেঁধেছে বাডওয়েস্টস্টার নামে একটি সংস্থার সঙ্গে। পৃথিবীর সর্বপ্রথম চালক বিহীন ট্রাক চালিয়ে ইতি্হাস গড়েছে তারা। ওই ট্রাকটিতে বওয়া হয়েছে ৫১,৭৪৪টি বিয়ার ক্যান।

image


ওটটোর স্রষ্টা ডন বারনেটে। ২০১৬ সালে ডন বারনেটে ছাড়া তাঁর সহযোগী হিসাবে ওটটোর স্রষ্টা হিসাবে ছিলেন লিয়র রন, ক্লেয়ার ডেলাউনায়, অ্যান্থনি লেভানডাউস্কি-সহ ৯০জন উদ্যোগী। সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কলোরাডো ফোর্ড কলিন্স থেকে একটি ট্রাক ৫১,৭৪৪টি বিয়ার ক্যান নিয়ে ডেনেভারের ভিতর দিয়ে নিরাপদে ও সফলভাবে তার অ্যাসাইনমেন্টটি সমাপ্ত করেছে।

ওই ট্রাকটি চলেছে কম্পিউটারচালিত প্রযুক্তি মারফত। চালক ছি্লেন না আসনে। ‌প্রযুক্তি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ক্যামেরা, রাডার, রাস্তা দেখার জন্যে লিডার সেনসর ‌ইত্যাদি। ট্রাকটি চলার ক্ষেত্রে মানুষ চালকের কোনও ভূমিকাই ছিল না। তবে একজন পেশাদার চালক অবশ্য ওই ট্রাকটিতে ছিলেন। যদিও তিনি চালকের আসনে বসেননি। বিয়ারের ক্যান ভর্তি ওই ট্রাকটির যাত্রাপথ ছিল ১২০ মাইল। চালক স্লিপার বার্থ থেকে কম্পিউটারচালিত সেলভ ড্রাইভিং প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

এ ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা প্রথম পর্যায়ে সাফল্যের জেরে ব্যাপকভাবে চালু করার ব্যাপারে পরবর্তী ভাবনাচিন্তা চলছে। এই ব্যবস্থা চালু হলে হাইওয়েগুলি আগানী দিনে আরও উন্নত ও নিরাপদ পরিষেবা দেবে। এ ব্যাপারে ওটটো ও উবার চিন্তাভাবনা করছে। ব্যবসায়িকভাবে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সেলভ-ড্রাইভিং ব্যবস্থা চালু করার প্রক্রিয়া নিয়েও কাজ চলছে। এই ব্যবস্থা চালকদের পক্ষেও নিরাপদ।

তাছাড়া, এই ব্যবস্থা চালু হলে কোনও ট্রাক বিপজ্জনকভাবে অতিরিক্ত পরিমাণ পণ্য পরিবহনও করবে না। এছাড়া ট্রাকটি য়খন পথে চলবে সেলভ ড্রাইভিং ব্যবস্থার জেরে চালক প্রয়োজনীয় সময় বিশ্রাম নিতে পারবেন। অটটোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্থনি বলেছেন, সেলভ ড্রাইভিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগামী ২০ বছরের ভিতর গাড়ি ও ট্রাক চালানো যাবে। কম্পিউটারই এই আশ্চর্য কাণ্ড ঘটাবে।

প্রসঙ্গত, এ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই গুগল নানাভাবে্ আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। গুগল পরীক্ষামূলকভাবে সেলভ ড্রাইভিং করেছে ২০ লক্ষ মাইল বিস্তৃত সড়কপথে। এর ভিতর রয়েছে আমেরিকার একাধিক শহরও। প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুরের নিউ টোনমি সংস্থা সেদেশের ট্যাক্সিতে সর্বপ্রথম সেলভ ড্রাইভিং ব্যবস্থা চালু করেছে। ‌২০১৬ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে এই ব্যবস্থা চালু হয়। উবারের প্রতিযোগী সংস্থা গ্র্যাবের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে্ এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।