উদ্যোগপতিদের অবশ্যই দেখতে হবে যে ৫টি সিনেমা

উদ্যোগপতিদের অবশ্যই দেখতে হবে যে ৫টি সিনেমা

Saturday December 24, 2016,

3 min Read

মানসিক বিকাশের পক্ষে সিনেমা বেশ ভালো দাওয়াই। তবে এখানে বহুচর্চিত কোনও সিনেমার কথা উল্লেখ করছি না, যেগুলি অনেকেরই দেখা। বরং, এমন কয়েকটি সিনেমার সুলুকসন্ধান দিচ্ছি যেগুলি দেখলে উদ্যোগীরা কোনও না কোনওভাবে উপকৃত হবেনই। দেখে নিন, ওই সিনেমাগুলি সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য।

image


ক) দি ইন্টার্ন

রবার্ট ডি নিরোর সিনেনা থেকে ভাবনাচিন্তা করার মতো উপাদান সব সময়েই কিছু না কিছু মেলে। যেমন, নাম করা যেতে পারে ওঁর তৈরি দি ট্যাক্সি ড্রাইভার, গডফাদার টু-এর মতো সিনেমা। দি ইন্টার্ন সিনেমার গল্পটি হল একজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ অবসর নেওয়ার পরের জীবনটি কীভাবে আবিষ্কার করতে চাইছেন, তার নিটোল গল্প। ছবিতে এও দেখানো হয়েছে, আধুনিক ই-কপার্স বস্ত্র বিপণন সংস্থায় এক কর্মপ্রার্থী আবেদনকারীর কাহিনি। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। এই ছবিটিতে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই রয়েছে। উদ্যোগীদের উচিত সপরিবারে ছবিটা দেখে ফেলা।

খ) গেট এ জব

এই ছবিটিও প্রেরণাদায়ক। ছাত্রজীবনে অধিকাংশ মানুষ যে স্বপ্নগুলি নি্জের ভিতর লা্লন করেন, পরে কর্মজীবনে প্রবেশ করার সময়ে তা বহুক্ষেত্রে আহত হয়ে থাকে। ছবিটিতে বলা হয়েছে এমন চার অল্প বয়স্কের স্বপ্ন ও সংঘাতের গল্প। দেখানো হয়েছে স্বপ্নের জীবন ও বাস্তব জীবনের মধ্যেকার সংগ্রামের কাঠিন্য। তবে শেষপর্যন্ত সবই ভালোয়-ভালোয় মিটেছে। ছবির চার চরিত্রই শেষমেশ জীবনে উদ্যোগী হিসা্বে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজেদের লুক্কায়িত প্রতিভা জাগাতে পেরেছেন। কমে্ডির মোড়কে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।

গ) দি বস

ছবিটা খানিক অতিনাটকীয় হলেও এ কথা হলফ করেই বলা যায়, দেখতে দেখতে আগাগোড়া উপভোগ করবেন। ছবিটি কমে্ডি নির্ভর। বসের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন আকা ডারনেল। আর তাঁর অ্যাসিট্যান্ট তথা ব্যবসায়িক সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন আকা ক্লেয়ার। উদ্যোগী বনতে চেয়ে ওঁরা দুজনেই গোটা ছবিতে নানান ওঠাপড়ার সম্মুখীন হয়েছেন। সামলেও নিয়েছেন। একটা কখা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এ ছবিটা আপনি শুধুমাত্র উপভোগই করবেন না, সেইসঙ্গে আরও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবেন।

ঘ) জয়

ছবিটি একজন মহিলা উদ্যোগী সম্পর্কিত। মহিলা উদ্যোগীর ভুমিকায় অভিনয় করেছেন জেনিফার লরে্ন্স। জেনিফার একজন বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলা। দুটি শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি তাঁর মা ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকেন। তাঁর বাবা-মায়ের দাম্পত্য সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটেছিল। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে জেনিফারের ঠাকুমার প্রেরণাদায়ক ভূমিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা তিন-তিনটি প্রজন্মে্র জীবনীনির্ভর কাহিনি এই ছবির মূল উপজীব্য।

ঙ) ওয়ার ডগস

এই ছবি থেকে আপনি জানতে পারবেন আমেরিকায় কাজের বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছে ওয়ার ডগস। এটি কমে্ডি ড্রামা। ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র ডেভিড অন্ন সংস্থান করতে খানিকটা হিমসিম খাচ্ছেন। এদিকে তিনি বিয়েও করে ফেলেছেন। এইসময়ে অনেকদিন পরে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল এক পুরনো পরিচিতের। এরপরে ওঁরা যুগ্মভাবে অস্ত্রব্যবসায় নামলেন। তবে ছবির কাহিনি বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা সম্পর্কিত গ্যাংস্টার মুভি কিন্তু নয়। সত্যঘটনা নির্ভর এই ছবিটি পারলে দেখে নিন। কৌতূহলের নিরসন ঘটাতে দেথুন অস্ত্রব্যবসা করে উপার্জিত টাকায় ওঁরা শেষমেশ কী করলেন। পরিচালকের নাম টড ফিলিপস। এর আগে রোড ট্রিপ কিংবা হ্যাংওভারের মতো ট্রিলজি ছবি বানিয়ে যথে্ষ্ট নাম কিনেছেন এই পরিচারলক।

সবশেষে আর একটা কখা বলার, উদ্যোগী, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠাতাদের জীবনের অকথিত কাহিনিই সবকটি ছবির উপজীব্য। ছবিগুলি শিক্ষণীয় একারণেই, একজন দর্শক হিসাবে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন জীবনের কঠিন সময়টা কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত।