RAFTAAR এর সুবিধে পাবে স্টার্টআপ সংস্থাগুলি
Tuesday November 21, 2017,
2 min Read
শুধু কৃষি কাজ নয়। কৃষি কাজের পাশাপাশি ফসল নির্ভর ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগ তৈরির ক্ষেত্রকে বিকশিত করতে রফতার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিনকার রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনাকে আরও একটু প্রসারিত করার পক্ষে রায় দিয়েছে অর্থনীতি বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। সম্প্রতি জানানো হয়েছে পুরনো ওই যোজনাকে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা রফতার নামে চিহ্নিত করা হবে। এবং ১৫,৭২২ কোটি টাকা এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হবে। কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এই ঘোষণা করে জানিয়েছেন তিন বছরের জন্যে এই প্রকল্প কার্যকর থাকবে।
এই নিবন্ধের মৌলিক উদ্দেশ্য সরকারি এই প্রকল্প সম্পর্কে পাঠককে শুধু অবগত করাই নয়, বরং এর সুবিধে যাতে সাধারণ কৃষক এবং কৃষকের পরিবার পায় সেটাও নিশ্চিত করা। কেন্দ্র সরকারের মন্ত্রকগুলির মারফত, কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে তৈরি হওয়া ক্যাবিনেট কমিটিগুলির চেয়ারম্যানেরা এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী নিয়মমাফিক ভাবে অগুনতি প্রকল্প ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু সেই সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছয় না। আমরা এটাও করতে চাই। প্রকল্পের হদিস দেওয়ায় অবশ্য আমাদের কাজ ফুরোয় না। বরং সেই থেকে শুরু হয় আসল কাজ। প্রকল্প কতদূর এগোচ্ছে, কেউ আবেদন করে সেই প্রকল্পের সুবিধে পাচ্ছেন কিনা কিংবা সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এটা দেখার দায়িত্ব থাকে গণ মাধ্যমের। পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও উচিত বিষয়গুলি নিয়ে আওয়াজ তোলা। কিংবা প্রতিক্রিয়া জানানো। ভালো কাজে ভালো প্রতিক্রিয়া যেমন কাম্য তেমনি অবিচারের শিকার হলে সেই কথাও জানানোর দায় থাকে সাধারণ মানুষের।
এবার আসি রফতারের প্রসঙ্গে, বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে রফতারের এই ফান্ডটি কেন্দ্র এবং রাজ্যের অংশীদারিত্বে কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় সরকার দেবে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথা ৪০ শতাংশ। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে এবং হিমালয়ের কোলের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে ৯০ শতাংশ আর সংশ্লীষ্ট রাজ্যকে দিতে হবে ১০ শতাংশ। এই টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে তাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা আছে। বলা হচ্ছে এই টাকার ৫০ শতাংশ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে। তিরিশ শতাংশ টাকা কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন উৎপাদন মুখি প্রকল্পে বিনিয়োগ হবে এবং বাকি কুড়ি শতাংশ রাজ্য স্থানীয় চাহিদা মতো বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় করতে পারবে। এর ভিতর থাকছে সাব স্কিম অব ন্যাশনাল প্রায়োরিটিস। বার্ষিক বরাদ্দের ২০ শতাংশ টাকা তোলা থাকবে এই ধরণের প্রজেক্টের জন্যে। নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, কৃষিকে আরও শক্তিশালী এবং লাভদায়ক করতে পারে এমন যে কোনও উদ্ভাবনী প্রকল্প এই যোজনার সুবাদে অর্থানুকুল্য পেতে পারে। ফলে গ্রামীন ভারত নিয়ে কাজ করছেন এমন টেক বা ননটেক স্টার্টআপ এই সুযোগ অনায়াসে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। মনে রাখবেন কৃষি আমাদের ভিত্তি আর শিল্প? হয়ে উঠবে আমাদের ভবিষ্যৎ।