২৭ বছরের অঞ্চল দেখাতে চেয়েছিলেন মেয়েরাও পারে

২৭ বছরের অঞ্চল দেখাতে চেয়েছিলেন মেয়েরাও পারে

Saturday December 10, 2016,

2 min Read

লেখাপড়ায় বরাবর ভালো ছিলেন অঞ্চল মাখিজা। সেইমতো দাঁতের ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান। ভালোভাবে উত্তীর্ণও হন। পাশ করার পরে একজন ডেন্টাল সার্জন হিসাবে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছিলেন। কিন্তু সেইসময়ই একদিন অঞ্চলের মনে হয়, ডাক্তারি পেশাটার প্রতি তেমন গভীর ভালোবাসা তাঁর নেই। মন চাইছে অন্য কিছু করতে। বিশেষত, তাঁকে এমন কিছু একটা করার বাসনা কুরেকুরে খাচ্ছিল, যা একজন নারী হিসাবে তাঁকে বিশিষ্টতা দেবে।

image


অঞ্চল বললেন, আমার বাবা-মা কিন্ত আমার মনের এই দিকটা জানার পরে ভয়ই পেয়েছিলেন। ওঁরা আমায় ডাক্তারিটা মনোযোগ দিয়ে করার জন্যে তখন পরামর্শ দিয়েছিলেন। ততদিনে আমি মনে মনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।

অঞ্চলের কথায়, শতকরা ৪০জন মানুষই বিশ্বাস করেন মেয়েদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। এই মনোভাবটাই কিন্ত আমাকে আরও এগোতে সাহস জুগিয়েছে।

এরপর অভি্ভাবকদের আপত্তি সত্ত্বেও মুম্বইয়ের NMIMS -এ এমবিএ কোর্সে ভর্তি হন অঞ্চল। সেখান থেকে এমবিএ করে বেরোনোর পরে কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই পারিবারিক এথনিক ওয়্যারের ব্যবসাটিকে নতুনভাবে বড় করার পরিকল্পনা মাথায় আসে। সেটা ২০১৪ সাল।

২৭ বছরের অঞ্চল জানালেন, সেইসময় ই-কমার্স সবে এদেশে প্রবেশ করছে্। আমি ওই ব্যবস্থাকে কাজে লাগালাম। ফলও পেলাম দারুণ। নামীদামী ডিজাইনারের পোশাক কেনার সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁদের জন্যে ভালো পোশাকের জোগান দেওয়ার উদ্দেশে অঞ্চল চালু করেন নিজস্ব স্টার্ট আপ। অঞ্চলের হাতে গড়া The Pehnava নামের সেই স্টার্ট আপটি এখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে। এই সংস্থা বছরে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ডলারের ব্যবসা করতে পারছে বলে জানা গেল।

আইটি অথবা ফ্যাশন নিয়ে প্রথাগত কোনও শিক্ষা ছিল না অঞ্চলের। কেবলমাত্র ভালোলাগা সম্বল করে যে সফর শুরু করেছিলেন. অল্প সময়ের ভিতরই তাতে জয়যুক্ত হয়েছেন তিনি।