কোটিপতি হওয়ার চক্করে সরকারি চাকরি ছেড়ে চাষে মন হরিশের

কোটিপতি হওয়ার চক্করে সরকারি চাকরি ছেড়ে চাষে মন হরিশের

Friday July 15, 2016,

2 min Read

হরিশ ধনদেব একটা সরকারি চাকরি করতেন। জয়সলমীর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে তিনি ছিলেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র। তবে চাষার ব্যাটা হরিশকে চিরকাল মাটি টানত। আসলে বংশপরম্পরায় মাটিতে মিশে আছে ওর রক্ত, আর রক্তে মাটি। তিনি নিজস্ব একটা খামার গড়ার স্বপ্ন দেখতেন।একবার তিনি দিল্লিতে একটি কৃষিমেলা দেখতে যান। ব্যস, সেখানেই মাথায় ঢোকে চাষের ফিকির। ফিরেই দিলেন চাকরি ছেড়ে। তাঁর ১২০ একর চাষের জমিতে শুরু করলেন অ্যালয়ভেরা চাষ।

image


একটি রিপোর্ট বলছে, এইমুহূর্তে হরিশের বার্ষিক টার্নওভার ১.৫ কোটি থেকে ২ কোটির মধ্যে। রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার দূরে ধায়সার এলাকায় তিনি ‘Naturelo Agro’ নামে নিজের একটি কোম্পানি খুলেছেন। Patanjali Food Products Limited-এ অ্যালয়ভেরার রস তৈরি হয়। থর মরুভূমিতে উৎপন্ন এই উন্নতমানের অ্যালয়ভেরা প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করা হয় সেখানে। এর মান এতটাই ভালো যে দেশের এবং বিদেশের বাজারে এর চাহিদা অপরিসীম। পতঞ্জলীর বিশেষজ্ঞরা এই অ্যালয়ভেরার গুণ পরীক্ষা করে মুগ্ধ। তাই অবিলম্বেই অনেক অর্ডার পেয়েছে হরিশের ফার্ম।

হরিশ জীবনে ঝুঁকি নিয়ে ঠকেননি। চাষের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ ছিল। তাঁর জমি ছিল, জল ছিল, ছিল না আইডিয়া। তাই কৃষিমেলায় গিয়ে যেইমুহূর্তে জ্বলে উঠল আইডিয়া বাল্ব, আর একটুও সময় অপচয় করেননি তিনি। শুরু করে দিলেন অ্যালয়ভেরা, গুন্ডা আর আমলা চাষ। সাধারণত, মরুভূমি এলাকায় জোয়ার, বাজরা, গম, মুগ, সর্ষে এসবের চাষ হয়। হরিশ নতুন ধরনের কিছু করতে চাইলেন। ‘babie densis’ নামে এক নতুন প্রজাতির অ্যালয়ভেরা, যা গুণগতমানে এতই ভালো যে ব্রাজিল, আমেরিকা আর হংকং মার্কেটেও এর বিপুল চাহিদা। প্রথমে ৮০,০০০ চারা বপন করেছিলেন তিনি। এখন প্রায় সাত লাখ চারার চাষ হয়। হরিশ জানিয়েছেন, গত চারমাসে হরিদ্বারের পতঞ্জলীর কারখানায় তিনি ১২৫-১৫০ টন অ্যালয়ভেরার শাঁষ পাঠিয়েছেন।