অরেঞ্জ, স্ট্রবেরি, পাইনাপল, অ্যাপেল সব থরে থরে সাজানো। ফলের দোকান তো নয়। জুসেরও নয়। তাহলে? আসলে রঙের কথা হচ্ছে। কারণ স্থলে, জলে বনতলে লাগল যে দোল, খোল দ্বার খোল। দোল এসে গিয়েছে। ফাগের রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার দিন। কিন্তু ফলের সঙ্গে রঙের কী সম্পর্ক? সম্পর্ক আছে। আলবৎ আছে। এই আবিরের এটাই মজা। গায়ে লাগলেই সুন্দর মিষ্টি ফলের গন্ধ নাকে আসবে।
ভেষজ রঙের ব্যবহারের চল অনেক দিন ধরে। ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি আবিরের জনপ্রিয়তাও বেশ। এবার তাতে নতুন আকর্ষণ ফলের নির্যাস থেকে তৈরি আবির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন রঙের কারাখানায় রমরমিয়ে তৈরি হচ্ছে ফলের ভেষজ আবির। ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি আবিরের ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়। ফল থেকে তৈরি আবিরের চাহিদাও ভালই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
নোট বন্দির কিছুটা প্রভাব পড়েছে রঙের বাজারে। বলছেন কয়েকজন বিক্রেতা। দামও অনেকটাই বেড়েছে সব ধরনের রঙের। তার ওপর এই ধরনের ফলের গন্ধের আবির তৈরি করতে কিছুটা বাড়তি খরচ হয়। তবে চাহিদা বেশি থাকায় তা নিয়ে সমস্যাব হচ্ছে না।
আগে রঙ বলতেই ভয় হত। নানা রাসায়নিকে তৈরি রঙগুলি মুখে বা গায়ে লাগলেই জ্বালাপোড়া। নতুন ধরনের ফলের নির্যাস থেকে তৈরি রঙে আর সেই সমস্যা থাকছে না। তাহলে আর চিন্তা কী? দোলের দিনে এমন নির্বিষ আবির নিয়ে সকাল সকাল নেমে পড়া যাক ময়দানে।