'ইকোসিস্টেম'-এর জন্যে ২০১৫ মনে থাকবে

'ইকোসিস্টেম'-এর জন্যে ২০১৫ মনে থাকবে

Wednesday December 30, 2015,

7 min Read

গত বছরগুলির মতই ২০১৫তেও ভারতের স্টার্টআপ বিস্ফোরণ জারি থেকেছে, বা সঠিক ভাবে বলতে গেলে তা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এই বছরে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে আমরা বহু নতুন কোম্পানিকে যেমন আসতে দেখেছি, তেমনই অনেক উল্লেখযোগ্য কোম্পানি পিছিয়ে পড়েছে। প্রচুর নতুন চুক্তি হয়েছে ও এসেছে বিনিয়োগ। কিছু স্টার্টআপের জন্য এই বছরটি ছিল অত্যন্ত লাভজনক, তেমনই অন্য কয়েকটি কোম্পানি খুবই খারাপ সময় কাটিয়েছে।

image


২০১৫ তে ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মূল প্রবণতাগুলি দিকে আলোকপাত করল ইওরস্টোরি।

হাইপারলোকাল বিপ্লব

আপনার স্থানীয় মুদিখানা প্রযুক্তি ব্যবহারে সড়গড় হয়ে উঠেছে, তেমনই আপনার জলের মিস্ত্রী বা খাবার সরবরাহকারী কর্মী। অ্যামাজন, ওলা, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল, পেটিএম-এ মত বড় কোম্পানিগুলি এবছর হাইপারলোকাল মুদির ব্যবসায় এসেছে। খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা ইয়ামিস্ট ব্যবসার প্রসারের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে। সুইগি চেন্নাইতে কাজ শুরু করেছে এর সঙ্গে সঙ্গেই সব কটি প্রথম সারির শহরে কাজ শুরু করল তারা। গৃহ পরিষেবা প্রদানকারী Housejoy জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে, দিনে ৪০টি অর্ডার থেকে ৪,০০০ এ পৌঁছিয়েছে। এদের প্রতিযোগী, রতন টাটার সাহায্য প্রাপ্ত Urbanclap, শুধু মাত্র মুম্বইতেই ৩০০০ ভেন্ডর সংগ্রহ করেছে। অফলাইন কেনাকাটাকে সহজ করেছে Shopsity, ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী Momoe, রেস্তোরা ছাড়াও মুদি দোকান, স্পা ও স্যালন এবং জামা কাপড়ের দোকানের ক্ষেত্রেও পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে।

ভারতীয় ভাষার অনলাইনে প্রবেশ

কিছু সংখ্যক উদ্যোগ পতি অন্তত বুঝেছেন ভারতে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ ইংরেজিভাষী নন। ই-কমার্সে এক্ষেত্রে পথিকৃৎ স্ন্যাপডিল, তেলুগু ও হিন্দিতে (রেভারির সাহায্যে) লঞ্চ করেছে তাদের সাইট। অন্যদিকে স্থানীয় ই-কমার্স স্টার্টআপ Storeking যারা শুধুমাত্র স্থানীয় ভাষাতেই কাজ করে, ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ওয়ালেট সার্ভিস প্রোভাইডার MobiKwik এর সঙ্গে চুক্তি করেছে। সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে ইয়োরস্টোরি ১০টি স্থানীয় ভাষায় কাজ শুরু করে এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ও InShort কয়েকদিনের মধ্যেই সেই সেই পথ অনুসরণ করেছে এবং এই ট্রেন্ডটি নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পাবে। ইংরেজি থেকে বিভিন্ন স্থানীয় ভাষায় অনুবাদের জন্য স্ন্যাপডিলের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করা প্রসেস নাইন টেকনোলজিস প্রাইভেট লিমিটেড পর্যটন ও খুচরোর বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।

দ্বিতীয় স্তরের শহরগুলির গুরুত্ব বৃদ্ধি

এবছরই মেট্রো শহরগুলির বাইরে নজর দিয়েছে স্টার্টআপগুলি এবং সুযোগে ভরপুর একটি বাজারের সন্ধান পেয়েছে। আহমেদাবাদ, বরোদার মতো দ্বিতীয় সারির শহরগুলিতে প্রবেশ করেছে Faaso’s এবং এতে মোট ১০ টি শহরে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। অনলাইন মুদি পরিষেবা Grofers কাজ শুরু করেছে ১৭ টি দ্বিতীয় স্তরের শহরে এবং মোট ২৭টি শহরে কাজ করছে তারা। অটো রিক্সা অ্যাগ্রেগেটর ও অন ডিম্যান্ড মুদি পরিষেবা Jugnoo তৃতীয় স্তরের শহর উদয়পুরে কাজ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে। ট্যাক্সি অ্যাগ্রেগেটর ওলা কোচি, ত্রিভন্দ্রম সহ দ্বিতীয় স্তরের শহরগুলিতে প্রবেশ করে বর্তমানে মোট ১০২টি শহরে কাজ করছে। তাদের প্রতিযোগী উবেরও সাতটি দ্বিতীয় স্তরের শহর ও উদয়পুরে প্রবেশ করে মোট ১৮ টি শহরে কাজ শুরু করেছে। মেরু ক্যাবও মোট ২৩টি শহরে কাজ করছে। এমন কি সেকন্ড হ্যান্ড ফ্যাশন প্ল্যাটফর্মগুলিও বেশিরভাগ অর্ডারই পাচ্ছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের শহরগুলি থেকে, ফলে সেই সব শহরে তৈরি হচ্ছে লজিস্টিকস ফার্ম।

কারপুলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি

গত জানুয়ারিতে লম্বা সফরের জন্য শেয়ার গাড়ির পরিষেবা প্রদানকারী ফ্রেঞ্চ কোম্পানি BlaBla cars এর ভারতে কাজ শুরু করা এক নতুন ধারণার জন্ম দেয় ও ভারতের ক্যাব অ্যাগ্রেগেটরদের কারপুলিংয়ে উত্সাহিত করে। সেপ্টেম্বরে আট বছরের পুরনো মেরু ক্যাবস তাদের কারপুলিং লঞ্চ করেছে। প্রায় একই সময় ইউএস-এর উবের বেঙ্গালুরুতে এই পরিষেবা শুরু করে ও এক মাসের মধ্যেই শুরু করে ওলাও। এই ধারাটিও নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পাবে। দিল্লি সরকার যে জোড়-বিজোড়ের গাড়ি চালানোর নিয়ম লাগু করেছে, যাতে জোড় সংখ্যার নম্বরের গাড়ি চলবে জোড় সংখ্যার দিনে এবং বিজোড় সংখ্যার নম্বরের গাড়ি চলবে বিজোড় সংখ্যার দিনে সেখানে ২০১৬ তে কারপুলের জনপ্রিয়তা নিঃসন্দেহেই বৃদ্ধি পাবে।

প্রচুর সংখ্যক ছাঁটাই

এই বছরে শ’য়ে শ’য়ে স্টার্টআপ তাদের কর্মীদের ছাঁটাই করেছে, যা সেই ব্যবসার পরিকাঠামো, কাজ ও বাস্তবোপযোগিতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। জুলাইতে কো-ফাউন্ডার ও সিইও রাহুল যাদবকে ছাঁটাইয়ের পর রিয়্যাল এস্টেট প্ল্যাটফর্ম হাউজিং অগস্ট মাসে ৬০০ জন ও নভেম্বরে আরও ২০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে ক্যাশ বার্ন নিয়ন্ত্রণের জন্য। এর কিছুদিনের মধ্যেই খাবার সরবরাহকারী Tinyowl ১০০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে ও পুনের অফিস বন্ধ করে দেয়, এরপর ক্ষতিপূরণের দাবিতে সহ-প্রতিষ্ঠাতা গৌরব চৌধুরিকে কর্মীরা আটকে রাখে বলে অভিযোগ। টাইনিআউলের প্রতিযোগী জোম্যাটো, যারা এইবছরই ইউনিকর্নের দলে নাম লিখিয়েছে, নভেম্বরে তাদের ১০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে, এবং এরপর তাদের সিইও দীপিন্দর গোয়েল বাকি কর্মীদের ই-মেল মারফত এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দেন যে, ‘হয় ভাল কাজ কর, নাহলে ছেড়ে দাও’। Grabhouseও ডিসেম্বরের শেষদিকে তাদের ১৫০ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।

অ্যাপ-কমার্সের এগিয়ে আসা

ফ্লিপকার্ট ও স্ন্যাপডিলের মত বড় কোম্পানিগুলি মোবাইল ফোনের ট্র্যাফিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। ভারত ক্রমেই মোবাইল-ফার্স্ট দেশে পরিণত হচ্ছে ও Elanic এর মত কোম্পানি শুধুমাত্র অ্যাপের মাধ্যমেই ব্যবসা করছে। গত মে মাসে Myntra শুধু মাত্র অ্যাপভিত্তিক হয়ে খবরের শিরোনামে আসে। ফ্লিপকার্ট তাদের মোবাইল ওয়েবসাইট বন্ধ করার পর গুজব ছড়ায় তারাও শুধুমাত্র অ্যাপভিত্তিক হয়ে যাবে, কিন্তু কিছুদিন পর তারা ফ্লিপকার্ট লাইট নামে হাল্কা সাইট নিয়ে আসে, তাদের দাবি অনুযায়ী তাদের সাইটের ৯৯ শতাংশই এতে উপস্থিত কিন্তু এটি মাত্র ১০ কেবি। প্রতিযোগী স্ন্যাপডিলও কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে আনে স্ন্যাপলাইট, তাদের দাবি অনুযায়ী এটি আসল মোবাইল সাইটের থেকে ৮৫ শতাংশ দ্রুত ও সব মোবাইল ব্রাউজারে পাওয়া যায়। আমাজন, ফ্লিপকার্টের ব্যবসার ৭০ শতাংশই আসে অ্যাপ থেকে তাই বিভিন্ন উৎসবের মরসুমে শুধু মাত্র অ্যাপের জন্য ছাড় ঘোষণা করেছিল তারা।

ওমনি চ্যানেলের জন্ম

এবছর অফলাইন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনলাইন কমার্স ও এভাবেই জন্ম হয়েছে ওমনি চ্যানেলের। হাইপার লোকাল পরিষেবাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে গিয়ে, ওমনি চ্যানেল কৌশল অফলাইন ব্যবসায়ীদের ই-কমার্সের মধ্যে নিয়ে এসেছে। ওমনি চ্যানেল রিটেল অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তি করণ ঘটিয়েছে-ক্রেতারা অনলাইনে খুঁজে মনিহারি দোকান থেকে জিনিস কিনতে পারেন। Fashalot এর মত কিছু কোম্পানি তাদের অ্যাপের মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত সুবিধাও দেয়। স্ন্যাপডিল অক্টোবরে তাদের ওমনি চ্যানেল প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করেছে, যাতে অর্ডার করা পণ্য স্থানীয় দোকান থেকে তুলে ক্রেতাকে পৌঁছে দেওয়া হবে। রিটেল দৈত্য টাটা, রিলায়েন্স, ইউনিলিভার, আদিত্য বিড়লা গ্রুপ ইত্যাদিরাও অনলাইন কমার্সে এসেছে ও ফ্লিপকার্ট এবং আমাজনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছে।

খাবারের স্টার্টআপের উত্থান-পতন

বছরের প্রথমার্ধে প্রচুর অর্থ খেয়ে নিয়েছিল ফুড স্টার্টআপগুলি ও পরের অংশে অনাহারে মৃত্যু হয় তাদের। খাবার সরবরাহকারী স্টার্টআপগুলির বিস্ফোরণ ঘটে প্রথমাংশে, শুধুমাত্র এপ্রিলেই ৭৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ হয় এই ক্ষেত্রে। তবে অগস্টেই অবস্থার অবনতি ঘটে- জোম্যাটো ও টাইনিআউল কর্মী ছাঁটাই করে খবরে উঠে আসে, ফুডপান্ডাও সমস্যার মধ্য পড়ে বলে খবর। বিনিয়োগের অভাবে অক্টোবরে বন্ধ হয়ে যায় Spoonjoy ও Dazo, Eatlo ও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরবরার সময়ের ক্ষেত্রে অদক্ষতা ও লাভের মডেলের সমস্যা ফুড-টেক স্টার্টআপগুলিকে নতুন কৌশল নেওয়ার জন্য ভাবাচ্ছে।

স্টার্টআপরা পেল রতন টাটাকে

২০১২ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর রতন টাটা বিভিন্ন স্টার্টআপ ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিতে বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছেন। গত বছরে স্ন্যাপডিল, আর্বান ল্যাডার এবং ব্লু স্টোনে বিনিয়োগ করে খবরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ তে Ola, Paytm, Urban ladder, Xaiomi, Kaaryah, Holachef, CarDekho, and Lybrate সহ মোট ১১ টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন রতন টাটা মোট। অন্যদিকে উইপ্রোর আজিম প্রেমজি ২০১৪ তে বিনিয়োগ করেছেন Myntra ও Snapdealএ ও ইনফোসিসের মালিক নারায়ণ মূর্তি বিনিয়োগ করেছে আমাজনে। মনে করা হচ্ছে কর্পোরেটরা শেষ পর্যন্ত স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে যুক্ত হচ্ছে, এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা খুবই লাভজনক কারণ এদেশের সবচেয়ে সফল উদ্যোগপতিদের থেকে শিখতে পারছেন তাঁরা।

সিলিকন ভ্যালির উদ্যোগপতিদের ঘরওয়াপসি

গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক সহ সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য বড় কোম্পানিগুলির ক্ষতি ভারতের ই-কমার্সের পক্ষে লাভজনক হয়েছে। মোটোরোলার পুনরুজ্জীবনের কারিগর ও গুগলের প্রাক্তন ম্যানেজার পুণিত সোনি মার্চ, ২০১৫ তে ফ্লিপকার্টের প্রধান পণ্য আধিকারিক হিসেবে যোগ দেন ও ভারতে থাকতে শুরু করেন। পরের মাসেই গুগলে নিকেত দেশাইও কর্মী প্রধান হিসেবে ফ্লিপকার্টে যোগ দেন। সিলিকন ভ্যালির অভিজ্ঞ গৌরব গুপ্তকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে পায় স্ন্যাপডিল। এছাড়াও প্রযুক্তিতে কাজ করা অনেক ভারতীয় যাঁরা বিদেশে থাকতেন তাঁরা দেশে ফিরে নিজেদের উদ্যোগ শুরু করেছেন- Explore এর বিক্রম পি কুমার, Transitpedia এ মেহুল সুতারিয়া, Taxi Fabric এর সংকেত আলভানি এরকমই কিছু নাম।

অধিগ্রহণের ধারা চলছেই

ভারতীয় আইপিও পাওয়া যেহেতু সহজ নয়, তাই সংযুক্তিকরণ ও অধিগ্রহণই প্রথমদিকের বিনিয়োগকারী ও উদ্যোগপতিদের কাছে সবথেকে পছন্দের এক্সিটের পথ। ২০১৫তে প্রায় ২০০টি অধিগ্রহণ ও কর্মীদের দক্ষতার ভিত্তিতে ক্রয় হয়েছে। স্ন্যাপডিলের ফ্রিচার্জ অধিগ্রহণ, ওলার ট্যাক্সিফরসিওরকে অধিগ্রহণ, মহিন্দ্রার বেবিওয়ে, প্র্যাক্টোর ক্যুইকওয়েল ও ইনস্টাহেলথ্ অধিগ্রহণ এবং হাউজিং এর হোমবাই৩৬০কে অধিগ্রহণ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক্সিটের উদাহরণ। এই ধারাটি এখন চলবেই, এবছর যেহেতু অনেক স্টার্টআপ বড় অঙ্কের বিনিয়োগ তুলেছে, ২০১৬ তে আরও অনেক অধিগ্রহণই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধু ব্যবসা নয় বিপদে মানুষের পাশেও

এইবছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ, এবং কিছু স্টার্টআপ তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র লাভের অঙ্কই যে তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয় তা প্রমাণ করে চেন্নাই বন্যার সময় ওলা নৌকো দেয় ও উবের বিনামূল্যে যাতায়াতের সুবিধা দেয়। যোগাযোগের সুবিধা করে দিতে পেটিএম বিনামূল্যে রিচার্জের ব্যবস্থা করে। প্রতি অর্ডারে একটি করে বিনামূল্যে খাবার দেয় জোম্যোটো। ডেটা সংগ্রহের স্টার্টআপ সোশ্যালকপস চেন্নাই বন্যা ও নেপাল ভূমিকম্পের সময় ত্রাণকার্য্যে অংশ নেয়।


লেখা- আথিরা এ নায়ার

অনুবাদ-সানন্দা দাশগুপ্ত