ডিজিটাল মিডিয়ার যুগ দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতও সেই স্রোতে ভাসছে। বিজ্ঞাপনদাতাদের একাংশও এখন ঝুঁকেছেন ডিজিটাল নিডিয়ার দিকে। খবরের কাগজ এখন প্রাচীন সংবাদ মাধ্যম। ১৮৭০ সালে ভারতে বেঙ্গল গেজেট নামে প্রথম সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯২৭ সালে রেডিও পরিষেবা চালু হয়। ৯০-এর দশকে এ দেশে প্রবেশ একটির পর একটি টিভি চ্যানেলের। আর এখন চলছে ডিজিটাল মিডিয়ার যুগ। ব্যাপারটা একরকম বিপ্লবের মতোনই।
এর পাশাপাশি পাল্টে যাচ্ছে মিডিয়ার সম্পর্কে সামগ্রিক ধ্যানধারণাও। এখন আপনার মুঠোয় একটি স্মার্টফোন থাকলেই আপনি বিনোদন থেকে খবরাখবর – সবই পেয়ে যেতে পারেন।
পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ভারতে মোট মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৭৭ মিলিয়ন। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে সেই অনুযায়ী, সারা দেশে স্মার্টফোনের মালিক রয়েছেন ২২০ মিলিয়ন। ২০২০ সালের ভিতর এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ৫০০ মিলিয়নে।
স্মার্টফোন বা স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ইন্টারনেট পরিষেবার সুযোগ নিচ্ছেন এ দেশের নবীন প্রজন্মের একটা বড় অংশ। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়স্ক ভারতবাসীদের একটি বড় অংশ দিনে ২ ঘন্টা ২০ মিনিট মতো স্মার্টফোনের নেট পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। অন্যদিকে, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স্ক নাগরিকদে্র একটি ব়ড় অংশ দৈনিক ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এই পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। থ্রি জি এবং ফোর জি পরিষেবা স্বল্পখরচে নেলার জন্যেই ডিজিটাল মাধ্যম এত দ্রুত গতিতে প্রসারিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভারত তো বটেই সারা বিশ্বজুড়েই এখন ডিজিটাল মিডিয়ার স্টার্ট আপগুলিতে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকাতেও পুরনো ঘরানার মিডিয়া নির্ভরতা ছেড়ে মানুষজন ডিজিটাল নিডিয়ার দিকে ঝুঁকছেন। ভারতও এখন তার শরিক।
ভারতে এই বিপ্লবাত্মক গতিকে আরও দ্রুতগানী করে তুলতে সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে রিলায়েন্সের জিও পরিষেবা। তুলনায় স্বল্পখরচের জিও পরিষেবা ক্রমাগত ব্যাপকহারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগামী কয়েক বছরের ভিতর ডিজিটাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতাদের হার অন্ততপক্ষে ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।