৫ লক্ষেরও বেশি সামগ্রী বিক্রি করেছে Rare Planet
Sunday January 01, 2017,
2 min Read
গত একবছরে যাদের কথা আপনাদের সামনে তুলে এনেছি তাদের অনেকেই অনেক দূর এগিয়েছেন। কখনও খবরের শিরোনাম হয়েছেন, কখনও সাফল্যের শেষ হাসি হেসেছেন। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে অনেক স্টার্টআপ উদ্যোক্তা ২০১৭ শুরু হওয়ার আগেই পেয়ে গিয়েছেন সাফল্যের স্বাদ। কোনও স্টার্টআপ উদ্যোগপতির কাছে ফান্ডিংটাই সাফল্যের মাপকাঠি তো কেউ মনে করেছেন ব্যবসা বাড়ানোয় মন দেওয়ার কথা। আজ একবার ফিরে দেখব সেই সব উদ্যোগগুলির দিকে।
২০১৬ সালের শুরুর দিকে আমরা রণদীপের গল্প বলেছিলাম। রণদীপ সাহা, রেয়ার প্ল্যানেটের কর্ণধার। কলেজ ছাত্র। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। পাশাপাশি শুরু করেছে তাঁর নিজের উদ্যোগ। রেয়ার প্ল্যানেট। রেয়ারই বটে কারণ ও যেসব জিনিস বানায় এবং বিক্রি করে তা কোথাও পাওয়া যায় না। একান্তই এক্সক্লুসিভ। যদিও এরকম এক্সক্লুসিভ ঘর সাজানোর জিনিস অনেক গুলি সংস্থাই বানায় এবং বিক্রি করে কলকাতায়। তবু কোথাও রণদীপ একটু আলাদা। যেমন ওর প্রোডাক্টের ট্যাগের কিউআর কোড ট্র্যাক করে প্রোডাক্টের নাড়ি নক্ষত্র জানতে পারবেন। প্রতিদিন নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে ক্রেতাদের সামনে হাজির হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এই ছাত্র।
ঘর সাজানোর জিনিস, মানে শিল্পকর্মের নমুনা। এতদিন এসব সামগ্রী বানাতে দেখা গেছে আর্ট কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের। কিন্তু রণদীপ ছবি আকা শিখেছেন ঘরে। স্কুল কলেজের পড়াশুনোর ফাঁকে আর পাঁচজন যেমন শেখেন তেমনি। অথচ রণদীপের সৃজনশীলতাই ওঁকে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করেছে। পাশাপাশি ওকে এগিয়ে দিয়েছে ব্যবসা করার ইচ্ছে।
শুরুর গল্পটা আপনারা সবাই জানেন, সেই যে কোনও এক কলেজের ফেস্টে একটা টেবিল ভাড়া নেওয়ার গল্প। চায়ের খুড়িতে রঙচঙ করে বিক্রি করার গল্প। প্রেমে দাগা খেয়ে প্রেমকে প্রেরণায় বদলে ফেলার গল্প। সেই তো শুরু। কত হবে হাতে গোণা শখানেক শিল্পিত চায়ের খুড়ি নিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন আদ্যন্ত শিল্পী রণদীপ, এখন তিনি বেশ ডালপালা ছড়িয়ে ফেলেছেন। কলকাতার অক্সফোর্ড বুক গ্যালারির মত সম্ভ্রান্ত বিপণীতে পাওয়া যায় রণদীপের শিল্পকর্ম।
ও আর এখন একা নন। গোটা বাংলায় ছড়িয়ে রয়েছে রণদীপের শিল্পীরা। ৯৭ জন কারিগর নিয়ে হাতের কাজ যে কী কাজের জিনিস তাই দেখিয়ে দিয়েছেন এই পঁচিশ অনূর্ধ্ব ছেলেটি।