দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের বৃত্তি দেবে এনপিআর গ্রুপ

দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের বৃত্তি দেবে এনপিআর গ্রুপ

Saturday February 20, 2016,

5 min Read

সামাজিক কল্যাণের কাজে ফের এগিয়ে এল এনপিআর গ্রুপ। বাণিজ্যিক এই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণমূলক কাজের অন্যতম সহযোগী পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার, কলকাতা চ্যাপ্টার।

image


এনপিআর গ্রুপ এবার দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তা দেবে। সংস্থার জনসংযোগ উপদেষ্টা ইনা বসু জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত এলাকার বাসিন্দা ছাত্রছাত্রীদের ভিতর ৫০ জনকে এককালীন ৫হাজার টাকা লোখাপড়ার খাতে খরচ বাবদ সহায়তা করা হবে। কেবলমাত্র দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েরা এই সহায়তা পাবেন। যে সমস্ত পরীক্ষা‌র্থী ২০১৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদেরই এই আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের ফোন নম্বর হল, ৯৮৩০৫৯৫৫৫৬।

বহু মেধাবী ছেলেমেয়ে স্ৰেফ কিছু টাকার অভাবে লেখাপড়ায় ছেদ টানতে বাধ্য হন। তাছাড়াও, বহু মেধাবী ছেলেমেয়ে দারিদ্র্য সহ্য করে বাংলার নানা প্রান্তে আধপেটা খেয়ে কোনওক্রমে লেখাপড়াটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এঁদের ভিতর অনেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করার পরেও টাকার অভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে যাতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেকথা মাথায় রেখে এই কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে ৪০ বছরের পুরনো নির্মাণকারী সংস্থা এনপিআর।

মধ্যমগ্রামে এনপিআর-এর নতুন আবাসন প্রকল্প মাঝেরগাঁও। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে বাদু রোডের ওপর নির্মিত হচ্ছে মাঝেরগাঁও। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে থাকছে ৭৩০টি অত্যাধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটির দাম ২১ লক্ষ টাকা।

এনপিআর-এর ডিরেক্টর চেতন টোডি জানালেন, এনপিআর কর্পোরেট সংস্থা হলেও সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। এজন্য সংস্থার তরফে নানা ধরনের সামাজিকভাবে কল্যাণমূলক প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া হয়। ছাত্রবৃত্তি ছাড়াও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতেও সংস্থার তরফে কাজ চলছে। কী সেই কাজ? চেতন টোডি জানিয়েছেন, প্লাস্টিক দূষণ এড়াতে মধ্যমগ্রাম ও বারাসাতের বাজার এলাকাগুলিতে দোকানিদের কাছে পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। দোকানিরা ওই ব্যাগগুলিতে কেনাকাটার জিনিসপত্র ভরে দিচ্ছেন ক্রেতাদের। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার ব্যাগ বিলি করা হয়েছে। এব্যাপারে মানুষের কাছ থেকে সাড়া মিলছে ভালোই।

পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, কলকাতা চ্যাপ্টারও এই ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। শিক্ষা ও পরিবেশ চেতনা বৃদ্ধিতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া বা পিআরএসআই। পিআরএসআই-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান সৌম্যজিত মহাপাত্র জানালেন, মাঝেরগাঁও মেরিট স্কলারশিপ ও মাঝেরগাঁও গ্রিন ফুটপ্রিন্টসে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে পিআরএসআই কলকাতা চ্যাপ্টার।

তবে, এনপিআর-এর চালু করা বৃত্তির সুযোগ আপাতত পাবেন মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলির মেধাবী ছেলেমেয়েরা। যে সমস্ত পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নীচে, সেইসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই কল্যাণমূলক কাজের জন্য লভ্যাংশের একটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। বলাবাহুল্য, সমাজকে বাদ রেখে একতরফাভাবে বাণিজ্য করাটা একঅর্থে নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে। এনপিআর গ্রুপের ডিরেক্টর চেতন টোডির কথায়, আমরা শুধুমাত্র লাভের আশায় ব্যবসা করছি না। পাশাপাশিভাবে সামাজিক কিছু দায়দায়িত্বও পালন করতে চাইছি।

অন্যদিকে, পিআরএসআই-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান সৌম্যজিত মহাপাত্র জানালেন, পিআরএসআই-এর তরফে অন্যান্য কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে এনপিআর-এর উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করা হবে। যত বেশি সংখ্যক কর্পোরেট সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করবেন, তত বেশি সংখ্যক মানুষ তাতে উপকৃত হবেন।

অবশ্য নির্মাণকাশরী সংস্থা এনপিআর-এর তরফে বলা হয়েছে, ভারতের মতো দেশে ব্যাপক হারে কল্যাণমূলক কাজের প্রয়োজন। এদেশে বহু মানুষ দরিদ্র এবং তাঁরা সাহায্যপ্রত্যাশী। তাই, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাজ সিন্ধুতে বিন্দুসমান।

তবু এও তো ঠিক, লিটল ড্রপস অব ওয়াটার মেক দ্য মাইটি ওশান .....

সামাজিক কল্যাণের কাজে ফের এগিয়ে এল এনপিআর গ্রুপ। বাণিজ্যিক এই প্রতিষ্ঠানের কল্যাণমূলক কাজের অন্যতম সহযোগী পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার, কলকাতা চ্যাপ্টার।

এনপিআর গ্রুপ এবার দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তা দেবে। সংস্থার জনসংযোগ উপদেষ্টা ইনা বসু জানিয়েছেন, মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত এলাকার বাসিন্দা ছাত্রছাত্রীদের ভিতর ৫০ জনকে এককালীন ৫হাজার টাকা লোখাপড়ার খাতে খরচ বাবদ সহায়তা করা হবে। কেবলমাত্র দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েরা এই সহায়তা পাবেন। যে সমস্ত পরীক্ষা‌র্থী ২০১৬ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদেরই এই আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের ফোন নম্বর হল, ৯৮৩০৫৯৫৫৫৬।

বহু মেধাবী ছেলেমেয়ে স্ৰেফ কিছু টাকার অভাবে লেখাপড়ায় ছেদ টানতে বাধ্য হন। তাছাড়াও, বহু মেধাবী ছেলেমেয়ে দারিদ্র্য সহ্য করে বাংলার নানা প্রান্তে আধপেটা খেয়ে কোনওক্রমে লেখাপড়াটা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এঁদের ভিতর অনেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করার পরেও টাকার অভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে যাতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে কথা মাথায় রেখে এই কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে ৪০ বছরের পুরনো নির্মাণকারী সংস্থা এনপিআর।

মধ্যমগ্রামে এনপিআর-এর নতুন আবাসন প্রকল্প মাঝেরগাঁও। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে বাদু রোডের ওপর নির্মিত হচ্ছে মাঝেরগাঁও। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে থাকছে ৭৩০টি অত্যাধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটির দাম ২১ লক্ষ টাকা।

এনপিআর-এর ডিরেক্টর চেতন টোডি জানালেন, এনপিআর কর্পোরেট সংস্থা হলেও সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। এজন্য সংস্থার তরফে নানা ধরনের সামাজিকভাবে কল্যাণমূলক প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়া হয়। ছাত্রবৃত্তি ছাড়াও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতেও সংস্থার তরফে কাজ চলছে।

কী সেই কাজ? চেতন টোডি জানিয়েছেন, প্লাস্টিক দূষণ এড়াতে মধ্যমগ্রাম ও বারাসাতের বাজার এলাকাগুলিতে দোকানিদের কাছে পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। দোকানিরা ওই ব্যাগগুলিতে কেনাকাটার জিনিসপত্র ভরে দিচ্ছেন ক্রেতাদের। ইতিমধ্যে ১৫ হাজার ব্যাগ বিলি করা হয়েছে। এব্যাপারে মানুষের কাছ থেকে সাড়া মিলছে ভালোই।

পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া, কলকাতা চ্যাপ্টারও এই ধরনের কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। শিক্ষা ও পরিবেশ চেতনা বৃদ্ধিতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির একাংশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে পাবলিক রিলেশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়া বা পিআরএসআই। পিআরএসআই-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান সৌম্যজিত মহাপাত্র জানালেন, মাঝেরগাঁও মেরিট স্কলারশিপ ও মাঝেরগাঁও গ্রিন ফুটপ্রিন্টসে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে পিআরএসশআই কলকাতা চ্যাপ্টার।

তবে, এনপিআর-এর চালু করা বৃত্তির সুযোগ আপাতত পাবেন মধ্যমগ্রাম ও বারাসাত এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলির মেধাবী ছেলেমেয়েরা। যে সমস্ত পরিবারের মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার নীচে, সেইসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই কল্যাণমূলক কাজের জন্য লভ্যাংশের একটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। বলাবাহুল্য, সমাজকে বাদ রেখে একতরফাভাবে বাণিজ্য করাটা একঅর্থে নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে পড়ে। এনপিআর গ্রুপের ডিরেক্টর চেতন টোডির কথায়, আমরা শুধুমাত্র লাভের আশায় ব্যবসা করছি না। পাশাপাশিভাবে সামাজিক কিছু দায়দায়িত্বও পালন করতে চাইছি।

অন্যদিকে, পিআরএসআই-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান সৌম্যজিত মহাপাত্র জানালেন, পিআরএসআই-এর তরফে অন্যান্য কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে এনপিআর-এর উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করা হবে। যত বেশি সংখ্যক কর্পোরেট সংস্থা সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করবেন, তত বেশি সংখ্যক মানুষ তাতে উপকৃত হবেন।

অবশ্য নির্মাণকাশরী সংস্থা এনপিআর-এর তরফে বলা হয়েছে, ভারতের মতো দেশে ব্যাপক হারে কল্যাণমূলক কাজের প্রয়োজন। এদেশে বহু মানুষ দরিদ্র এবং তাঁরা সাহায্যপ্রত্যাশী। তাই, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কাজ সিন্ধুতে বিন্দুসমান।

তবু এও তো ঠিক, লিটল ড্রপস অব ওয়াটার মেক দ্য মাইটি ওশান .....