ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা জরুরি, আপনি ভাবুন

ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা জরুরি, আপনি ভাবুন

Saturday February 25, 2017,

3 min Read

এখন সাফল্য পেতে গেলে অনেকেই বলেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর ভরসা করতেই হবে। বাজারে হাজার একটা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সংস্থা রয়েছে। সবাই দাবি করছে তারাই সেরা। তাদের ট্র্যাকশন, বা জনতার কাছে পৌঁছনোর ক্ষমতা সবার থেকে বেশি। এত দাবি দাওয়ার মাঝখানে আপনি কি একটু হতভম্ব! তুলনায় সস্তায় যে পরিষেবা দেবে সে হয়ত ভালো পরিষেবা দিতে পারবে না আপনি ভাবছেন, আর আপনার ভাবনাকে পড়ে ফেলে সব থেকে খারাপ যে পরিষেবা দিতে পারে সেও নিজের দর হেঁকে রেখেছে। আপনি আরও বিচলিত। এবার চলুন দেখে নিই সঠিক পথটা কী।

image


নিজের প্রয়োজন বুঝুন, তালিকা তৈরি করুন

প্রথমে বুঝে নিন. আপনার প্রয়োজনগুলি কী কী। তারপর অনুসন্ধান করুন সেই অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির। আপনি কি কনটেন্ট তৈরি কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এক্সপার্ট চাইছেন? অথবা আপনি কি চাইছেন ডেটা অ্যানালাইটিক্স বা ডেমোগ্রাফিক স্টাডিজের জন্যে লোক?

এ ব্যাপারে একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকায় অন্তর্গত করুন ক্রিয়েটিভ কাজের লোক। এর ভিতর থাকছে কপি রাইটিং থেকে শুরু করে ভিডিও, মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকসনের লোকজনও। এছাড়াও থাকতে পারে ই-মেল মার্কেটিং, সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্টের বিশেষজ্ঞরা। থাকতে পারেন অ্যানালিটিক্স, ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট, কোডিং কিংবা পাবলিক রিলেশন, ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ে অভিজ্ঞরাও। 

এটা একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা। নিজের প্রয়োজনগুলি বুঝে এই কাজটা সেরে নিন।

শক্তি সম্পর্কে সজাগ হোন

যে কোনও ডিজিটাল মার্কেটিং সংস্থাই সমান দড়ের নয়। হতে পারে সেই সংস্থাটি বড় সংস্থা। এর অর্থ এই নয় যে, সংস্থাটি সবচেয়ে ভালো কাজ দেবে। সবসময়ে্ বড় সংস্থার সঙ্গে কাজ করলেই যে লাভদায়ক ফল পাওয়া যাবে, তাও নয়। বরং যে সংস্থার সঙ্গে আপনার ভালোমতো সমঝোতা হবে তাদের সঙ্গে কাজকর্ম করাটাই হবে ঠিকঠাক। এক্ষেত্রে লাভের জায়গাটি হল এই, ওঁরা বাজারটাকে ভালোভাবে জানেন। আর আপনিও আদতে বাজার ধরতে চাইছেন।

অনেক সংস্থাই আছে যেগুলি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতন নয়। তাছাড়া, আপনি নিজেও হয়তো চাইছেন না ইতিমধ্যে একই ধরনের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করেছে এমন কোনও সংস্থাকে। হয়তো তাঁরা দ্রুত কাজটি সারতে পারতেন। কিন্ত সবক্ষেত্রে তাঁদের আপনার প্রয়োজনে লাগতে নাও পারে।

সাম্প্রতিক কাজগুলি খতিয়ে দেখুন 

যদি আপনি প্রচারের কাজে সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে চান, তাহলে এ ব্যাপারে গবেষণা করুন। এটা সব ধরনের মার্কেটিং সংস্থার প্রতিই প্রযোজ্য। আপনি বরং সংস্থার ব্লকগুলি দেখুন। সেইসঙ্গে তাদের কনটেন্টগুলি পরীক্ষা করুন। আপনি মনে রাখবেন সংস্থাটিতে ক্রেতা হিসাবে আপনি নিজেও একজন। ফলে বিচারের ভার আপনার নিজের হাতে। আবার পরে আপনার সংস্থাটির একইভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

তাহলে সাফল্যের শর্ত কি? এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই একটি সিদ্ধান্ত নিন। এছাড়া, সংস্থার কী করণীয় আর কী করণীয় নয়, তাও দেখে নিন। তাহলে আর অন্ধকারে থাকতে হবে না।

দাম নিয়ে ভাবুন

চূড়ান্ত মূল্য নির্ভর করে অনেকগুলি শর্তের ওপর। তবে মূল্যের ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়াই শ্রেয়। এই পদ্ধতিই তুলনায় সহজ। তবে কোনওক্ষেত্রে এটা সম্ভবপর না হলে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে যে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে দেখে নেবেন সেরা প্রতিভাগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা।

ভয় পাবেন না, পিছিয়ে যাবেন না

ভয় না পেয়ে আপনি যা করতে পারেন তা হল, নিজের সংস্থার পরিচালন নীতি সম্পর্কে সব পরিস্থিতিতেই সজাগ থাকুন। বাস্তবসম্মত হওয়া জরুরি। এ থেকে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির কোনও প্রয়োজনীয়তা আপনার আদৌ আছে কিনা। তবে শেষপর্যন্ত যদি মনে হয় সত্যিই দরকার এবং সঠিক ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি যদি আপনি খুঁজে পান তবে জানবেন এটা ভালো ছাড়া খারাপ কিছু করবে না। মোদ্দা কথা লোকে না জানলে আপনার প্রোডাক্ট বা পরিষেবার কথা কেউ কীভাবে জানতে পারবে!

আরও একটি উপদেশ আপনি আপনার সংস্থাকে তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে তুলবেন না। বরং গবেষণা চালান, নমনীয় মনোভাব বজায় রাখুন – দেখবেন আপনি সংস্থাকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে পেরেছেন।